আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আমি একটা ছেলেকে পছন্দ করতাম।। আমার মা একদিন সেই ছেলেকে বলছে আমার মেয়েকে বৌ বলে ডাকতে পারো না ছেলে জবাবে কি বলছিল তা নিয়ে আমার মা তিনটা উত্তর দিছে যখন হবে তখন দেখবো, যখন হবে তখন ডাকবো, যখন হবে তখন দেখা যাবে। কিন্তু আমি বার বার করে জিজ্ঞেস করছি বৌ বা হ্যা ওকে আচ্ছা বা বৌ বলে ডাক ডাকছিলো কি না সে বলছে না। আমি রেগে তাকে বলছি তুমি তো ঠিক করে বলতে পারতিসো না শায়েখ দের কাছে প্রশ্ন করলে তো তারা ঐ ছেলের সাথে কথা বলতে বলবেনে। এরপর দুইজন শায়েখ এর সাথে কথা বলি। তারপর আমার পুরো ঘটনা মনে পড়ে। ঘটনাটা পুরনো আমার মনে পড়ে যে আমার মা আমাকে বলছিল সে ঐ ছেলের সাথে কথা বলছে সে তাকে বলছে আমার মেয়েকে বৌ বলে ডাকতে পারো না উত্তরে  ঐ ছেলে তাকে বলছে যখন হবে তখন দেখবো। এরপর আমার মা আমাকে বলছিল এই ছেলের সাথে যোগাযোগ না রাখতে এটা পুরো ঘটনা। আমি ১০০% শিওর। আর আমি জানতাম না যে আমার মা এমন কোন কথা বলবে। তাকে আমি এগুলো বলতে বলি নাই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে

(১) এখন ঐ ছেলের কি কথা বলা প্রয়োজন যেখানে আমার পুুুরো ঘটনা মনে পড়ছে?

(২) আমার মাকে মনে পরা ঘটনা খুলে বলছি সে বলছে আমি কিছু জানিনা। আমার যা বলার বলছি আমার ওতো কথা মনে থাকে না।  আমি আর কিছু বলবো না / জানি না। আমি তখন রেগে বলছি তুমি ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানো না। আমার মায়ের এমন কথায় কি আমার এখন কার বৈবাহিক জীবনে কোন সম্যসা হবে যেখানে আমার পুরো ঘটনা মনে পড়ছে?
(৩)  আমি কখনো আমার মাকে ঐ ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে করায় দাও বা বিয়ে দিয়ে দাও বলছি কি না একটু ওয়াসওয়াসায় পড়ি। কিন্তু আমার ১০০% মনে পড়ে যে আমি এমন কথা বলি নাই। মাকেও জিজ্ঞেস করছি ১ বার সে বলছে না বলো নাই। আর জিজ্ঞেস করি নাই৷ তারপর আবারও জিজ্ঞেস করছি সে কুুুরআন শরীফ ছুয়ে বলছে না বলো নাই। আর আমার জানার জন্য প্রশ্ন হলো যেখানে আমার মনে আছে আমি তাকে বিয়ে দিয়ে দাও বলি নাই সে ও না বলছে তারপরও এমন প্রশ্ন মনে আসে সে যদি বলতো হ্যা বিয়ে দিয়ে দাও বলছো,বা আমার মনে নাই বা আমার পুরানো কথা মনে পড়ে না বা জানি না। তাহলে কি আমার মায়ের এই মিথ্যা কথা বলার জন্য বা আমার প্রথম দিকে সন্দেহ আসার জন্য কি আমার এখন কার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সমস্যা হতো? আমার মায়ের আমার মতো ওয়াসওয়াসার সম্যসা নাই। আর আমি ১০০% শিওর আমি তাকে ঐ ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দাও এমন কথা বলি নাই।

(4)শায়েখ আমার মনে এসব প্রশ্ন আসতিসে। আমার মায়ের ঘটনা মনে থাকুক বা না থাকুক আমার মনে আছে আমি এর উপর  আমল করলে আমার এখনকার বিবাহিত জীবনে কোন সম্যসা হবে কি? আমার অন্য একজনের সাথে বিয়ে হইছে।

(৫)  আমার আম্মা যে  কনফিউজড ছিল কিন্তু সে শিওর ছিল কখনো ঐ ছেলে হ্যা বা কবুল বা সম্মতিসূচক কিছু বলে নাই কিন্তু পরবর্তী তে আমাদের মনে পরে দুজনের সব। আর সব থেকে বড় কথা আমি শিওর আমি আমার মাকে বিয়ে দিয়ে দাও বা এমন কিছু বলি নাই। আমর ঘটনা মনে আছে আমার আমাকে বলছিল ছেলে টা যখন হবে তখন দেখবো বলছিল। এখন আমার মায়ের বা আমি যে আমার মাকে জিজ্ঞেস করছিলাম  এরকম ভুলে যাওয়ার জন্য কি আমার বর্তমান বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে কি?

(৬) আমার বিবাহিত জীবন শুদ্ধ তাই তো শায়েখ?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


বিবাহের ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]


قال في "كشاف القناع" (5/ 37) : "ولا ينعقد النكاح إلا بالإيجاب والقبول ، والإيجاب هو اللفظ الصادر من قِبَل الولي أو من يقوم مقامه كوكيل.

সারমর্মঃ

ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ হবেনা।

ইজাব হলো যে শব্দটি অভিভাবক অথবা তার স্থলাভিষিক্ত এর থেকে বের হয়,যেমন উকিল।    

এমন সব শব্দে বিবাহ সংঘটিত হবে। যেমন বলা, (زوجت أو نكحت) আমি বিবাহ করলাম বা বিয়ে দিলাম। অথবা বলা, (قبلت هذا النكاح) আমি এ বিয়ে কবুল করলাম। অথবা (تزوجتها) আমি তাকে বিয়ে করলাম, বা (تزوجت) আমি বিয়ে করলাম, অথবা (رضيت) এ বিয়ে আমি রাজি আছি।

প্রস্তাব (الإيجاب): অলী তথা অভিভাবক অথবা যিনি তার স্থলাভিষিক্ত হবেন তার পক্ষ থেকে বিয়ে করার বা বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া। 

★ কবুল (القبول): স্বামী বা তার স্থলাভিষিক্ত থেকে বিয়ে কবুল করার শব্দ। যেমন বলা, (قبلت) আমি বিয়ে কবুল করলাম বা (رضيت هذا النكاح) এ বিয়ে আমি রাজি আছি বা শুধু কবুল করেছি বলা।

আরো জানুনঃ 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এখন ঐ ছেলের সাথে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
আপনার মায়েরএমন কথায় আপনার এখনকার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবেনা। 

(০৩)
আপনার মায়ের এই মিথ্যা কথা বলার জন্য বা আপনার প্রথম দিকে সন্দেহ আসার জন্য আপনার এখনকার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সমস্যা হতোনা।

(০৪)
আপনি এর উপর  আমল করলে আপনার এখনকার বিবাহিত জীবনে কোন সমস্যা হবেনা। 

(০৫)
এরকম ভুলে যাওয়ার জন্যআপনার বর্তমান বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৬)
হ্যা,আপনার বিবাহিত জীবন শুদ্ধ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...