ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পশ্চিমা দর্শন আর ইসলামী দর্শনের পার্থক্য এটাই যে, তারা মনে করে ঔষধ শে'ফা প্রদান করে, আর মুসলমানরা মনে করে যে, শে'ফা প্রদানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الَّذِي خَلَقَنِي فَهُوَ يَهْدِينِ
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন,
وَالَّذِي هُوَ يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِ
যিনি আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন,
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।(সূরা শু'আরা-৭৮-৮০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু পশ্চিমারা মনে করে যে, ঔষধই শে'ফা দান করে, তাই তারা এসব খোড়া যুক্তি দাড় করিয়ে চুরিকে হালাল মনে করে। কিন্তু মুসলমানরা যেহেতু মনে করে, শে'ফা প্রদানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা,ঔষধের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নাই, তাই ইসলামী আইনে এই সময়েও চুরির সুযোগ নাই। যদি ঔষধ শে'ফা দানকারী হতো, তাহলে কেন সবার উপর ঔষধ তার ক্ষমা প্রয়োগ করতে পারে না।কাজেই বুঝা গেল, ঔষধও অন্য কারো ইশারায় নাচে।
তাছাড়া কোনো কম্পানি যদি ঔষধ আবিস্কারের পর সেটা আকাশ চোয়া মূল্য নির্ধারণ করে, তাহলে সরকারের দায়িত্ব হল, ভর্তুকি দিয়ে জনসাধারণের নাগালের ভিতরে নিয়ে আসা অথবা আবিস্কারককে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে জবাবদিহিতা তলব করা। এইসব পদক্ষেপ গ্রহণ না করে চুরি করার কথা এবং হাত কাটার প্রসঙ্গ আসা মানেই, শয়তানের প্রদর্শিত রাস্তায়ই হাটা। সুতরাং এসমস্ত আলোচনার যে জায়গায় হবে, সেই আলোচনা শ্রবণ করা যাবে না।বরং সেখান থেকে উঠে যেতে হবে। সুতরাং আপনার ভার্সিটির ঐ ক্লাসগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।অথবা সেগুলোর জবাব কোনো আলেমের কাছ থেকে জেনে নিয়ে তারপর ক্লাস করে উল্টো শিক্ষককে প্রশ্ন করতে পারেন।
وَإِذَا رَأَيْتَ الَّذِينَ يَخُوضُونَ فِي آيَاتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَىٰ مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না। (সূরা আন'আম-৬৮)