আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।

 https://ifatwa.info/67691/
https://ifatwa.info/67849/

১।  উপরোক্ত ২ লিংকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, ওনার সঠিক মনে পড়তাছে না উনি সঠিক এই কথা বলছে কিনা, কিন্তুু ওনার এখনো ভয় হইতাছে, যদি ঈমানের কোন সমস্যা হয়। উনি আল্লাহর কাছে মাফ চাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই ভয় কাটতাছে না কোন ভাবে ওস্তাদ ওনার এখন কি করা উচিত????

২। ওস্তাদ এর ফলে ওনার আমল কোন নষ্ট হবে কি???
৩। সতর্কতার জন্য যদি উনি কালেমা শাহাদাত বারবার পড়ে ঈমান নবায়ন করে তাহলে হবে কি??

৪। ওস্তাদ উনি আল্লাহর কাছে কিভাবে মাফ চাইবেন??  আল্লাহ কি তাকে মাফ করবে???

৫।এখন এই নিয়ে ওনার মনে ওয়াসওয়াসা তৈরি হচ্ছে, এখন কি করা যায় ওস্তাদ এই জন্য??
৬। ওস্তাদ মেহেরবানি করে একটু দোয়া কইরেন যাতে এই ধরনের বিপদে যেন না পড়ে।।।।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


পূর্বের ফতোয়াতে বলা হয়েছিলো,
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ   

প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
তবে সে যদি আসলেই উক্ত বাক্য বলে থাকে,সেক্ষেত্রে তার ঈমান চলে না গেলেও এটি তার ঈমানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর মূলক বাক্য।
,
তাই ভবিষ্যতে কোনো ভাবেই যেনো এহেন বাক্য না বলে,সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরেও উক্ত ব্যাক্তির মনে অস্থিরতা আসলে সেক্ষেত্রে তিনি ঈমান নবায়ন করতে পারে।

মুখে শুধু কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে।

(০২)
এর ফলে তার কোনো আমল নষ্ট হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ, তাহলে হবে।
সতর্কতার জন্য যদি তিনি কালেমা শাহাদাত একবার পড়ে ঈমান নবায়ন করতে পারবে।

(০৪)
হ্যাঁ, আল্লাহ তাকে মাফ করবেন।
আল্লাহর কাছে লজ্জিত অনুতপ্ত স্বরে ক্ষমা চাইবে,আর বলবে যে জীবনেও আর এহেন বাক্য বলবেনা।

(০৫)
তিনি তওবা করবেন।
অস্থিরতা আসলে সেক্ষেত্রে তিনি ঈমান নবায়ন করতে পারে।

মুখে শুধু কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে।

(০৬)
জী,তার জন্য দোয়া করবো,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
ঈমান নবায়ন করার পর ও যদি অস্থিরতা আসে তাহলে কি করবে ওস্তাদ, মেহেরবানি করে কমেন্ট এর রিপ্লাই দিন।। 
by (684,760 points)
এক্ষেত্রে অস্থিরতাকে পাত্তা দেয়া যাবেনা।
by (9 points)
অনিচ্ছাকৃত  ভাবে এই কথা গুলো ওনার হঠাৎ মাথায় চলে আসে, মনে হয় ওনার বাম কানে কে যেন এইসব কথা বলছে, এর ফলে কি ওনার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?? 
কেন এইরকম মাথায় আসছে বা মনে হচ্ছে উনি কিছু বুঝতাছে না, ওস্তাদ দয়া করে একটু জানান কষ্ট করে, খুব পেরেশানি আছেন উনি। বিষয় টা জানা খুবই জরুরি 
by (684,760 points)
এর ফলে উনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...