আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
175 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
১. সগীরা গুনাহকে গুনাহ মনে না করলে তার বিধান কি? সে কি কাফের হয়ে যাবে?

২. আজকে সেলুনে যাওয়ার আগে মনে মনে ভাবতাম ছিলাম দাড়ি ছোট  করবো না করলে অনেক গুনাহ হবে। তখন মনে মনে ভাবতে ভাবতে মুখে বলে ফেলেছি, " দাড়ি তো আর ছাইছা ফেলতেছি না" আসলে তেমন কিছু ভেবে বলি নাই এমনিই বলে ফেলেছি এর ফলে কি আমার ইমানে সমস্যা হবে?

৩.  একটা  ওয়াজে কুফরের বিষয়ে বলতে গিয়ে শুনেছিলাম, " এছা কারনেছে নিকাহ টুট যায়ে গা" এটা শুনে মনে মনে টুটি টুটি টুটি এভাবে অনেক বার বলতে থাকি, তখন মাথার মধ্যে আমার বিয়ে ভাঙ্গার চিন্তা চলে আসে, তখনো টুটি টুটি এভাবে বলতেছিলাম, কিন্তু সংসার ভেঙ্গে ফেলছি এইরকম নিয়ত নিয়ে বলি নাই, এর ফলে কি বিবাহে সমস্যা হবে?

৪. একজন মুসলমান কে হিন্দু মনে করে আরেকজনকে বলেছলাম সে হিন্দু,  আরেকজন মুসলিম বললেও আমি বলি নাহ সে হিন্দু, (মনে হয়েছলো বিধায়) পরে জানতে পারি সে মুসলিম এর ফলে কি আমার গুনাহ বা ইমানে সমস্যা হবে?

৫. পিছনে ক্রুশের মতো একটা জিনিস দেখায় একজনকে বলি দ্বারা এটার একটা ছবি তুলি, তখন সে মজা করে বলে দাড়া খ্রিষৃটানের মতো এমন করি, করে তারা যেভাবে কাধে ক্রুশের চিন্হ দেখায় এমন দেখিয়ে বলে, এমন টা করবো?আমি তাকে ধমক দেই, বলি ধুর মিয়া। এর পরে আর কিঋু করেনাই, তার কি ইমানে সমস্যা হবে?

৬. চোখের সামনে কেও কুফরী করলে, আমি যদি তাকে না বলি যে তোমার এই কাজ কুফরী তুমি জলদি কালিমা পরো, তবে কি আমারো ইমানে সমস্যা হবে? অনেক সময় কাজটা কুফরি কিনা শিপর ও হওয়া যায় না, আবার সে কিভাবে সেটা ভেবে সরসরি বলাও যায় না

৭. https://ifatwa.info/67888/

এই লিংকের কমেন্টটা একটু দেখবেন?বড় পেরেশানি হচ্ছে

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
যে গুনাহর জন্য পার্থিব জীবনে হদ বা শাস্তি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, যেমন,নিরপরাধ মানুষ হত্যা, ব্যভিচার, চুরি ইত্যাদি। কিংবা যে পাপের জন্য পরকালে জাহান্নাম বা আল্লাহর ক্রোধ কিংবা অভিসম্পাতের কারণ বলে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, যেমন,সুদ খাওয়া, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া ইত্যাদি। এগুলো কবিরা গুনাহ। 

আর যেসব পাপের ব্যাপারে শরীয়তে কোনো শাস্তি, আল্লাহর ক্রোধ বা অভিশাপের কথা বলা হয়নি; বরং শুধুই শরীয়তে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেসব হলো সগিরা গুনাহ। 

তবে সেসব গুনাহও কবিরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত হবে, যার অনিষ্ট ও পরিণতি কোনো কবিরা গুনাহর অনুরূপ কিংবা তার চেয়েও অধিক।

আবার যেসব ছোট গুনাহ নির্ভয়ে করা হয় কিংবা নিয়মিতভাবে করা হয়, সেগুলোও কবিরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত হবে।

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

«إِنْ تَجْتَنِبُوْا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ، وَنُدْخِلْكُمْ مُّدْخَلًا كَرِيْمًا»

‘‘তোমরা যদি সকল মহাপাপ থেকে বিরত থাকো যা হতে তোমাদেরকে (কঠিনভাবে) বারণ করা হয়েছে তাহলে আমি তোমাদের সকল ছোট পাপ ক্ষমা করে দেবো এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবো খুব সম্মানজনক স্থানে’’। (নিসা’ : ৩১)

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

اِجْتَنِبُوْا السَّبْعَ الْـمُوْبِقَاتِ، قَالُوْا: يَا رَسُوْلَ اللهِ! وَمَا هُنَّ؟ قَالَ: الشِّرْكُ بِاللهِ، وَالسِّحْرُ، وَقَتْلُ النَّفْسِ الَّتِيْ حَرَّمَ اللهُ إِلاَّ بِالْـحَقِّ، وَأَكْلُ الرِّبَا، وَأَكْلُ مَالِ الْيَتِيْمِ، وَالتَّوَلِّيْ يَوْمَ الزَّحْفِ، وَقَذْفُ الْـمُحْصَنَاتِ الْـمُؤْمِنَاتِ الْغَافِلَاتِ.

‘‘তোমরা বিধ্বংসী সাতটি গুনাহ্ থেকে বিরত থাকো। সাহাবারা বললেন: হে আলাহ্’র রাসূল! ওগুলো কি? তিনি বলেন: আলাহ্ তা‘আলার সাথে কাউকে অংশীদার করা, যাদু আদান-প্রদান, অবৈধভাবে কাউকে হত্যা করা, সুদ খাওয়া, ইয়াতীম-অনাথের সম্পদ ভক্ষণ, সম্মুখযুদ্ধ থেকে পলায়ন এবং সতী-সাধ্বী মু’মিন মহিলাদের ব্যাপারে কুৎসা রটানো’’। (বুখারী ২৭৬৬, ৬৮৫৭; মুসলিম ৮৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সগীরা গুনাহ যেহেতু অকাট্য ভাবে প্রমানিত কোনো হারাম কাজ নয়,তাই সগীরা গুনাহকে গুনাহ মনে না করলে তার ঈমান চলে যাবেনা। সে কাফের হয়ে যাবেনা।

তবে সে যদি এ ধরনের মানসিকতার সহিত বারবার সগিরা গুনাহ করে,তাহলে তাহা কবিরা গুনাহ করার সমপর্যায়ের হবে।

(০২)
এর ফলে আপনার ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
এর ফলে বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এর ফলে আপনার গুনাহ হবে,তবে ঈমানে সমস্যা হবেনা।

অহেতুক কাহারো ব্যপারে না জেনে অমুসলিম বলা শরীয়তে জায়েজ নেই।

(০৫)
তার ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৬)
আপনি যদি কুফরির বিষয় ও ঈমান নবায়নের না বলেন,সেক্ষেত্রে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৭)
জী,চেক করেছি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...