আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
338 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

গত প্রশ্নে হাসবেন্ড যদি বলে ডিভোর্স দিয়া দিও বা ছাইড়া দিও তাহলে নাকি সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে। এ বিষয় এ সবাই এক মত।

১.হাসবেন্ড যদি এই অধিকার দেওয়ার মাসালা না জানে। আর অইসব কথা দারা ভবিষ্যৎ বুজিয়া থাকে।কিন্তু মুখে ত বলছে যে ছাইড়া দিও বা ডিভোর্স দিয়া দিও তাইলে সাময়িক অধিকার দেওয়ায় বুজাবে।

২। যদি বলে এমনেই বলসি।সে দিবে না দেইখা বলসে আর আমিও দিব না ভাবসে কারন আমাদের সম্পর্ক অনেক ভাল।মাজে মাজে আমার অনেক রাগ হইলে বলতাম।তার পর ঠিক হইয়া  যাইত।অই কথা দিয়া যদি ভবিষ্যৎ নিরদেশ করে তাইলে কি সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে। ডিভোর্স সাথে সাথে দেওয়া জাই এই বিষয়  যদি না জানে।

৩.সে জানেই না মেয়েদের নিজের উপর তালাক নিতে হই।সেএই মাসালায় জানে না।সে অইসব কথা দিয়া তারে ছাইড়া দিতে বলছে। আমি যেন  তারে ছাইড়া দেই।এমন টা বুজাইছে।আর আমিও তাই ভাবসি তারে ছাইড়া দিতে বলছে। তাহলেও কি অধিকার দেওয়া বুজাবে।যেহেতু সকল কাজ নিয়তের উপর নির্ভর করে।

৪।বউ যদি বলে তুমার সাথে কোন সম্পর্ক নাই।তখন আমি অধিকার দেওয়া বা নিজের উপর নিতে হই এসব জানতাম না।তাই বেশি সম্ভব মনে হই আমি নিজের উপর বলি নাই।হাসবেন্ড কেই ইজ্ঞিত করসি।কিন্তু এখন আমি ওয়াস ওয়াসার রোগি। আমার এখন নিয়ত নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।যে আসলে কি নিয়তে বলসিলাম কার দিকে ইংগিত করসিলাম।আবার মনে হই যে আমি যেহেতু জানতাম ই না তাইলে নিজের  উপর নিব কেন।নিয়ত নিয়ে এরকম সন্দেহ হইলে কি ধইরা  নিব।

৫।আমি আগে শুধু তালাকের সুন্নত  নিয়ম জানতাম।কেনায়া তালাক জানতাম না।কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানার পর গুগল এ অনেক গাটাগাটি করছি তালাক বিষয়  এ অনেক ওয়াজ শুনছি।তখন থেকে চিন্তা ঢুকছে।এভাবে একদিন এই পেজ এর সন্ধান পায়।তখন অনেকের তালাক বিষয় প্রশ্ন আর উত্তর দেখে চিন্তা বেরে জাই।মনে হতে থাকে আমার সাথেও এগুলা হইছে।আমিও অনেক প্রশ্ন করি এখানে।একটার সমাধান  পাইলে অন্য একটা মনে আসে।আর হাসবেন্ড  কে খালি সেসব নিয়ে বার বার জিজ্ঞেস  করতে থাকি।সে একি কথা অনেকবার বললেও আবার শুনতে ইচ্ছে হইত।যখন বলত তখন ভালো লাগত কিছু ক্ষন পর আবার চিন্তা হইত।রাতে ঘোম থেকে অস্থির হয়ে উঠতাম এগুলা মনে হইয়া।এভাবে এক ২ মাস গেসে হইত।তখন এই পেজ থেকে মাসালা জানতে পারি মেয়েরা এভাবে বললে তালাক হই।তখন আমি শুধু কাবিন নামার বিষয় জানতাম যে আমার অধিকার নাই।এই অবস্থায়।হটাৎ করে মাথায় শুধু তালাকের চিন্তা চলে আসে। চেষ্টা করতাম না বলতে।কিন্তু মনে আসত তালাক নিয়া ফেল নিয়া ফেলসি।যখন তালাক বলসি তখন মনে হইছে অধিকার নাই বললে কিছু হবে না।যখন মনে আসত বা মুখে আসত মাঝে মাাঝে আস্তাগফিরুল্লাহ পরতাম।আবার বলতাম না।আবার বলতাম নিলাম না দিলাম।মানে অনেক উল্টা পাল্টা বলতাম।মানে এগুলা বললে যে কোন সমস্যা হতে পারে মাথায়  আসত না।তখন ভাবতাম অধিকার  নাই বললে কিছু হবে না। সরাাসরি বলসি। আবার চিন্তা  হত আল্লাহ  কি বইলা ফেললাম।আমি তালাক নেওয়ার নিয়তে  এগুলা বলি নাই মানে আমি যে সংসার করবো  না এই নিয়তে বলি নাই।আমার অধিকার  নাই বললে কিছু হবে না।এত বার মনে আসত দেইখা শুইয়া পরতাম গুমানোর চেষ্টা করতাম।অন্য দিকে মনযোগ দেওয়ার চেষ্টা করতাম।কিছু দিন পর এইটা চইলা যাই আবার হাসবেন্ড  এর দিক থেকে জা হইছে তা নিয়া মাসালা  নেওয়া শুরু  করি।এখন পরজন্ত এসব থেকে বার হইতে পারতেসি না।এখন ৭ মাস চলে।এখনো মনে এগুলা আসে।মাসালা জানি তার পর ও ভিতর  থেকে বার হইনা। হাসবেন্ড বা কেও সাভাবিক কথা বল্লেও চিন্তা  হই।

এখন খুব খারাপ  অবস্থা।আমল থেকে অনেক দূরে চলে গেছি।আমল করতে গেলে মনে হই যে এমনেই জেনার পাপ হচ্ছে আমল কইরা কি হবে।

ক।উপরের বর্ণনা অনুযায়ী আমি কি সে সময় ওয়াস ওয়াসার রোগি ছিলাম।আমার বলাই কি কোন  সমস্যা  হবে না।চিন্তা বাদ দিয়া আমি কি সংসার করে যাব
by (48 points)
যেহেতু সে মাসালাই জানে না সেহেতু মজলিস এর ভিতরে বা বাইরে অধিকার দেওয়া বুজব কেমনে। সে তালাক দিবে না তাই অইভাবে বলসে।সে উলটা নিয়তে অইগুলা বলছে যে আমি যেন তারে ছাইড়া দেয়। 

1 Answer

0 votes
by (677,960 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

https://ifatwa.info/69159/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

وفی الدر المختار مع رد المحتار:

"قال لها أنت طالق إن شئت فقالت شئت إن شئت أنت، فقال: شئت ينوي الطلاق أو قالت شئت إن كان كذا لمعدوم) أي لم يوجد بعد كإن شاء أبي أو إن جاء الليل وهي في النهار (بطل) الأمر لفقد الشرط..(وإن قالت شئت إن كان الأمر قد مضى) أراد بالماضي المحقق وجوده كإن كان أبي في الدار وهو فيها، أو إن كان هذا ليلا وهي فيه مثلا (طلقت) لأنه تنجيز (قال لها أنت طالق متى شئت أو متى ما شئت أو إذا شئت أو إذا ما شئت فردت الأمر لا يرتد ولا يتقيد بالمجلس ولا تطلق) نفسها".
(ج:٣,ص:٣٦,ط: دار الفكر)
সারমর্ম:-
যদি স্বামী বলে যে তুমি তালাক যখন যখন চাইবে অর্থাৎ যখন তুমি চাইবে তখন তালাক,,,,তারপর বিষয়টি ফিরিয়ে নিতে চাইলে ফিরিয়ে নেয়া যাবেনা।
এবং মজলিসের সহিত সীমাবদ্ধ থাকবেনা। 

আরো দলিল জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি স্বামীকে বলেছেন,ডিভোর্স দিয়া দিও তখন যদি হাসবেন্ড বলে, তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও বা ভালো  না লাগলে ছাইড়া দিও বা মন চাইলে ছাইড়া দিও।

আসলে এখানে আপনার স্বামী নিশ্চিত ভাবে কোনো শব্দটি বলেছে?

যদি "তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও" বলে,সেক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরণ মতে এর দ্বারা স্ত্রীর তালাকের অধিকার মজলিসের সাথে সীমাবদ্ধ থাকবে।

যদি "ভালো না লাগলে ছাইড়া দিও বা মন চাইলে ছাইড়া দিও" এই বাক্য বলে,তাহলে এক্ষেত্রে এর অর্থ দ্বারায় যখন তুমি চাইবে তখন তালাক দিও।
 সুতরাং সেক্ষেত্রে স্ত্রীর তালাকের অধিকার মজলিসের সাথে সীমাবদ্ধ থাকবেনা।
বরং স্ত্রী চাইলে পরবর্তীতেও নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করতে পারবে। 

আসলে এখানে আপনার স্বামী নিশ্চিত ভাবে কোনো শব্দটি বলেছে? সেটি নিশ্চিত হোন,আপনি যদি সন্দেহে থাকেন যে আসলেই এগুলো বলেছে কিনা? সেক্ষেত্রে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করুন,সে আসলে কি বলেছিলো? সেও যদি এগুলো বলেছে কিনা,এই মর্মে সন্দিহান হয়,সেক্ষেত্রে আপনি তালাক অধিকার পাবেননা।
আর যদি কোন বাক্য বলেছে,সেই ব্যপারে সন্দিহান হয়,কোনো দিকেই নিশ্চিত না হয়, সেক্ষেত্রে আপনার তালাকের অধিকার মজলিসের সাথে সীমাবদ্ধ থাকবে,এমনটি ধরে নিবেন।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এই প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে হাসবেন্ড বলেছেন, ডিভোর্স দিয়া দিও বা ছাইড়া দিও।
এক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রীকে সাময়িক অধিকার দেওয়া বুঝাবে।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রীকে সাময়িক অধিকার দেওয়া বুঝাবে।

তবে এক্ষেত্রে স্বামী যদি এ বাক্য দিয়ে ভবিষ্যতেও স্ত্রীকে তালাকেত অধিকার প্রদানের নিয়ত করে,তাহলে ভবিষ্যতেও স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে।

(০৩)
হ্যাঁ, অধিকার দেয়া বুঝাবে।
তবে তাহা সাময়িক হবে।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৫)
আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী,তাই আপনার বলায় তালাক হবেনা।
এক্ষেত্রে চিন্তা বাদ দিয়া আপনি সংসার করে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...