আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,

আসমানি কিতাব সম্পর্কে আমি জানি যে, তাওরাত যাবুর ইনজিল ও কোরআন।
বাইবেল সম্পর্কে আমি শুধু জানি যে, তা বিকৃতি করা হয়েছে। এবং তা খ্রিস্টানের কিতাব।
আমি একটা ভিডিওতে দেখলাম যে, একজন বলছেন মুল যে বাইবেল সেটা আসমানি কিতাব, যেটা আল্লাহর পাঠানো।
এটা দেখার পর থেকে আমার মনে হতে থাকে যে, তাহলে বাইবেল কি আসমানি কিতাব?
ইনজিল কে কি বাইবেল বলা হয়?
এসব প্রশ্ন মাথায় আসছিল। এবং এই বিষয়টি ক্লিয়ারভাবে না জানার জন্য ঈমান হারিয়ে যাবে কিনা সেই ভয়ে মসজিদে যাবার পর আমি উচ্চারন করে বলছিলাম যে,
হে আল্লাহ তোমার আসমানি কিতাবের উপর আমার বিশ্বাস আছে। বাইবেল সম্পর্কে আমাকে জানতে হবে।

(১) এরকম মনে হওয়া ও উচ্চারন করে বলার জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে শায়েখ??
(২) বাইবেল ও ইনজিল সম্পর্কে আমাদের কি ধারনা থাকতে হবে?

(৩) আমার মায়ের পাক-নাপাকের সুচিবায়ু রোগ থাকার কারনে ঘরের কোথাও পাখিতে পায়খানা করলে মা খুবই পেরেশান হয়ে যায় । আমাকে জিগ্গাসা করে কিভাবে ও কয়বার ধুতে হবে পাক করার জন্য। আজ খাবারের সময় মা আমাকে একটা হাত ধোয়া পাএে আমাকে ভাত রাখতে বলাই আমি রেগে গিয়ে বললাম যে, ঘৃনা করে না?

তখন মা বললো ধোয়া জিনিস ঘৃনা করবে কেন?

তখন আমি বলতে গেলাম যে, পাখির পায়খানা দেখলে ঘৃনা করে,আর এখন কিছু হচ্ছে না?

এই কথা মনে আসার পর মনে হচ্ছে, আমি মনে হয় ইসলামের পাক নাপাকের বিষয়টা নিয়ে কুটুক্তি করতে গেলাম। যদিও আমি বলি নি।

পরে আবার আমি আপনার কাছে প্রশ্ন করার উদ্দেশ্যে এই কথাগুলি ভাবার সময় উচ্চারন করলাম কিনা তা সন্দেহ হচ্ছে।

এতে কি আমার ঈমানে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
শশুড় বাড়ি গেলে আপনাকে কাফফারা দিতে হবে।

(২)
নবী ইউনুস আঃ মাছের পেঠে কোনো আগাত করেননি, এ কথা হয়তো সত্য হতে পারে। এমনটা বলার জন্য আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
সে যদি তার মাতাপিতার অনুমতি নিয়ে নিয়ে আসে, তাহলে আপনার জন্য জায়েয হবে।

(৪)
না, এতেও আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৫)
মনে কনফিউশন আসার কারণে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৬)
না, আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৭)
এতেও আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৮)
যখনই মনে কোনো বিরূপ ধারণা আসবে, সাথে সাথেই আপনি তাওবাহ করে নিবেন।আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না, ইনশা'আল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...