আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
মুহতারাম মুফতি সাহেব,

আসসালামু আলাইকুম ৷

পাক পবিত্রতা সম্পর্কিত আমার বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে ৷ প্রশ্নগুলো লেখার আগে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন যে, আমি ওয়াসওয়াসা রোগী ৷
ঈমান - আক্বীদা নিয়ে যদিও বেশি ওয়াসওয়াসায় ভুগি তারপরও পাক-পবিত্রতা বিষয়ক মাসআলা বুঝতে না পারার কারণে, শরীআতের পরিভাষার সঠিক ব্যাখ্যা না জানার কারণে এবং যে কোন কাজ সুচারুরূপে করার মানসিকতা থেকে আমার মনে পবিত্রতা বিষয়ক অনের প্রশ্ন জাগে ৷
আমার যেহেতু বেশ কিছু প্রশ্ন আছে ৷ আমি পয়েন্ট আকারে লিখছি ৷ এতগুলো প্রশ্ন একসাথে করেছি, আমাকে দয়া করা মাফ করবেন ৷
১৷ তরল নাপাকের ক্ষেত্রে এক দিরহাম কতটুকু পরিমাণকে ধরা হবে? বিস্তৃতির পরিমাণটি অনুগ্রহপূর্বক বিস্তারিত বলবেন ৷ ইন্চি বা সেন্টিমিটারের হিসাবে বললে আমার বুঝতে একটু সুবিধা হত ৷

২৷ বীর্য কী তরল নাপাক?
৩৷ মল (বিষ্ঠা) নাপাকের ক্ষেত্রে এক দিরহাম কতটুকু পরিমাণকে ধরা হবে? অনুগ্রহপূর্বক বিস্তারিত বলবেন ৷
৪৷ বাসার দরজায় রং করা হয়েছিল ৷ রং টা যে পুরো শুকায়নি তা বুঝতে পারিনি ৷ দরজায় হাত লেগে যাবার সময়ে চিটচিটে মনে হতেই হাত সরিয়ে ফেলি ৷ আঙুলে রং লাগার কোন স্পষ্ট লক্ষণ বুঝা যাচ্ছিল না ৷ ঐ অবস্হায় ওযু করে জুমুআর জামাতে অংশগ্রহণ করি ৷ এখন মনে হচ্ছে যে হয়ত রঙের স্তর পড়েছে কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না ৷ যদি বর্ণহীন স্তর পড়েও থাকে সেটা বুঝার কী কোন উপায় আছে? মানে কীভাবে বুঝব যে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছাচ্ছে  না কী পৌঁছাচ্ছে না?
 ঐ অবস্হায় জুমুআর পরিবর্তে তবে কী এখন আমাকে জোহরের সালাত আদায় করতে হবে?

৫৷  এক ফোঁটা মূত্র কোন বালতির মধ্যে রাখা ৪০ লিটার পানির মধ্যে পড়লে শুনেছি পুরো পানি নাপাক হয়ে যাবে ৷ সেক্ষেত্রে বালতির পানির নাপাকীর মাত্রা/ তীব্রতা কী প্রকৃত মূত্রের নাপাকীর সমান হবে না কী কম হবে?
৬৷ কোন কাপড় তিনবার ধোয়ার ব্যাপারে একটি প্রশ্ন রয়েছে ৷ কতটুকু ধোয়াকে একবার ধোয়া বলা হবে? কেউ হয়ত একটি অন্তর্বাস এক মিনিটে একবার ধুচ্ছে , আমার ২ মিনিটেও একবার ধোয়া হচ্ছে না ৷ তখন একবার বলতে একবারই যে হয়েছে তা কীভাবে বুঝব?  আমার তো ইতমিনান আসে না সহজে, ইতমিনান আসলেও ৩-৫ মিনিট লেগে যাবে একটা নাপাক অন্তর্বাস 'একবার' ধুতেই ৷

৭৷ কীভাবে বুঝব যে কোন নাপাক ধোয়ার কাজটি আমার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে? ' কষ্টসাধ্য ' বিষয়টি বোঝার ক্ষেত্রে শরীআতের মাপকাঠি কী?
৮৷ প্রস্রাব করার পরে আমি তলপেটে চাপ দিই, নড়াচড়া করি এবং লিঙ্গের গোড়া থেকে অগ্রভাগ পর্যন্ত চাপ দিতে দিতে ফোঁটাগুলো বের করে দিই, একই সাথে টয়লেট টিস্যু ব্যবহার করি  এবং টিস্যু ব্যবহার করার পরে আর কোন প্রস্রাব আসে না, লিঙ্গের অগ্রভাগও টিস্যু ব্যবহার করার কারণে শুকনো হয়ে যায় (শুকিয়ে যায়) ৷
এ অবস্হায় -
৮-ক) আমি যদি পানি ব্যবহার করি তবে যে পরিস্হিতি হয় সেটা হল আমার লিঙ্গের ছিদ্র বেশ চওড়া এবং পানি ব্যবহারের সময় ছিদ্র দিয়ে পানি  সবসময়ই মূত্রনালিপথে প্রবেশ করে ৷ এমন হয় যে টিপলে নালিপথ থেকে এর ফোঁটা পানি বেরিয়ে আসে ৷

 এই পানিটাও কী মূত্র হিসেবে গণ্য হবে?

অথবা নাপাক হিসেবে গণ্য হবে?
যদি নাপাক হিসেবে গণ্য হয় তবে নালিপথে ঢুকে যাওয়া পানি কয়বার বের করে দিলে আর নাপাক বলা হবে না?
এরপর আমি টিস্যু দিয়ে লিঙ্গ শুকিয়ে কাপড় পড়লে পরনের কাপড়টা কী আর নাপাক হবে?

৮-খ)  আমি যদি পানি ব্যবহার না করি তবে গরমের দিনে লিঙ্গ ঘেমে গিয়ে কাপড় আর উরুর চামড়ায় লাগলে সে জায়গা গুলো কী নাপাক হয়ে যাবে? উল্লেখ্য, (টিস্যু ব্যবহারের আগে) প্রস্রাব করার পরে   কখনো কখনো প্রস্রাব  লিঙ্গের ছিদ্র থেকে আধা সেন্টিমিটার গড়িয়ে পড়ে, কখনো কখনো দেড় সেন্টিমিটার পর্যন্ত গড়িয়ে পড়ে ৷ উভয় ক্ষেত্রেই কী একই হুকুম হবে?

৯৷ আমার লিঙ্গের ছিদ্র বেশ চওড়া হবার কারণে মূত্রনালির ভেতরের প্রাচীরটি পরনের অন্তর্বাস/ লুঙ্গির সাথে মাঝে মাঝে আটকে যায় এবং কাপড় ধরে টান দিলে একটা চিটকে অনুভূতি হয়ে কাপড়টা ছিদ্র থেকে উঠে আসে ৷ সাধারণত সালাত আদায় করার সময় বিষয়টি ভালভাবে বুঝা যায় ৷ অন্য সময়ও হয় টুকটাক ৷
ওযু করার পরে এরূপ ঘটলে কী ওযু ভেঙে যাবে?
যদি ওযু ভেঙে যায় তবে আমার  অবস্হার জন্য কোন সহজ সমাধান আছে কী?

১০৷ আমার লিঙ্গের ছিদ্র বেশ চওড়া হবার কারণে গোসল করার সময়ও কিছু পানি (এক ফোঁটার মত) মূত্রনালিতে প্রবেশ করে ৷ গোসল করলে তো আলাদাভাবে ওযু করার প্রয়োজন হয় না ৷ কিন্তু, আমার যেহেতু মূত্রনালিতে পানি ঢুকে যায় এবং সেটা টিপেই হোক অথবা টিস্যু ব্যবহার করেই হোক পানি টা বের করতে হয় এবং যেহেতু মূত্রনালিপথে কিছু বের হলে ওযু ভেঙে যায়,  তাই আমাকে কী গোসলের পরে পুনরায় ওযু করতে হবে?
১১৷  আমার যেহেতু টিস্যু ব্যবহার করার ফলে লিঙ্গের মাথায় প্রস্রাব একেবারে শুকিয়ে যায় এবং প্রস্রাবের নতুন কোন ফোঁটা আসে না ৷ এ এবস্হায় লিঙ্গ ধোয়ার সময়ে ধোয়া পানির ছিটা পায়ের টাখনু / গোড়ালিতে পড়ে অনেক সময়ে ৷ এ পানিটা কী নাপাকে গলীজা না কী নাপাকে খফীফা? না কী পাক ধরা হবে?
১২৷ মলত্যাগের পরেও টিস্যু ব্যবহার করার কারণে সাদা টিস্যুতে মলের যখন আর  কোন দাগ আসে না তখন পানি ব্যবহার করি ৷ এক্ষেত্রও ধোয়া পানির ছিটা পায়ের টাখনু / গোড়ালিতে গিয়ে পড়ে অনেক সময়ে ৷ এ পানিটা কী নাপাকে গলীজা না কী নাপাকে খফীফা? না কী পাক ধরা হবে?
১৩৷  উপরের ১১ ও ১২ নং এর ক্ষেত্রে ছিটিয়ে পড়া পানিকে সতর্কতাবশত নাপাক ধরে নিয়ে পবিত্রতা অর্জন করতে গিয়ে আমার যেটা হয় তা একটু কষ্ট করে পড়ুন আর আমাকে এর সমাধানটিও বলুন ৷
টয়লেটের প্যান গুলোর গঠনগত কারণে ব্যবহৃত পানি পায়ের নলা, টাখনু অথবা গোড়ালিতে গিয়ে পড়ে ৷ আবার কখনো কখনো কীভাবে যেন উরুর পাশে বা কোমরের পেছনেও পানির ছিটা পড়ে ৷ সত্যিই ছিটা পড়ে বেশিরভাগ সময়ে, যদিও ওয়াসওয়াসা ভাবতাম এক সময়ে ৷
তো সেগুলো বদনার পানি দিয়ে ধুইতে গেলে দেখা যায় যে ঐ প্রথম ছিটা পানি ধোয়ার পানিটার ছিটাও গায়ে পড়ে ৷ যেহেতু, বদনার পানি অল্প পানি ৷ অল্প পানিটা ছিটার পানিকে ধুইতে গিয়ে তো নিজেই নাপাক হচ্ছে (এটা হয়ত আমার কম বুঝের কারণে, আপনারা সঠিকটা ধরিয়ে দিন) আর নাপাকের ছিটাও তো নাপাক ৷ এবার প্যান থেকে উঠে এসে কোমর থেকে ধুয়ে ফেলি ৷ কিন্ত, শরীর যদিও পাক হল কিন্তু শরীরের নাপাক ধোয়া পানির ছিটা তো টয়লেটের বালতি, নিচু ট্যাপ, দেয়াল ইত্যাদিতে পড়েছে ৷ এখন আমি এক এক করে বালতি, ট্যাপ এগুলোও ধুই ৷ এগুলো ধোয়ার পানি আবার পায়ে পড়ে ৷ তখন পা ধুই ৷ এরপরে স্যান্ডেল ধুই, এরপরে বাথরুমের মেঝেতে পানি ঢালি ৷ এভাবে আমার মূত্র আর মলত্যাগের পরে ওয়াশরুম থেকে বের হতে ৩৫ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট সময় লাগে ৷ কিডনি স্টোন অপারেশনের রোগী হবার কারণে আমাকে প্রচুর পানি পান করতে বলা হয়েছে ৷ আমি দিনে আটবার টয়লেটে গেলেই তো চার সাড়ে চার ঘন্টা সময় চলে যাচ্ছে ৷ কাজকর্মেও পিছিয়ে পড়ছি ৷
আমার এতকিছুর পেছনে কারণ হল উপরের ১১ নং আর ১২ নং এর উত্তর না জানা,  পাক নাপাকীর পরিসীমা আর বিভিন্ন অবস্হার হুকুম না জানা ৷
মুহতারাম, উপরের প্রতিটি পয়েন্টেই এক বা একাধিক প্রশ্ন করেছি ৷ এ জাহিলকে ধৈর্য সহকারে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বাধিত করার অনুরোধ রইল ৷

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي هريرة رضي الله عنه  عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

قال محمد فى الآثار: أخبرنا أبو حنيفة رح عن حماد عن ابراهيم قال: إذا كان الدم قدر الدرهم والبول وغيره فأعد صلاتك، وإن كان أقل من قدر الدرهم فأمض على صلاتك، ص-28) فإن قلت: هذا إنما يدل على عفو الأقل عن الدرهم دون قدر الدرهم ومذهب الحنفية أوقدر الدرهم عفو ايضا، احاديث الإكتفاء بالأحجار فى الإستنجاء تفيد كون قدر الدرهم عفو، لأن موضع الاستنجاء مقدر به، (اعلاء السنن-1/405

এক দিরহাম নির্দিষ্ট করার সূরত হল, হাতের তালু সোজা করে রেখে তার উপর এক ফোটা পানি ফেলা, হাত নড়ানো বা কাত করা ছাড়া যতটুকু স্থান পরিব্যপ্ত হবে ততটুকুই হল এক দিরহামের আয়তন। 
,
এতটুকু পরিমাণ তরল গলীজ নাপাক হলে উক্ত কাপড়সহ নামায আদায় জায়েজ হবে।

আর যদি গলীজ নাপাকটি শক্ত হয় , তাহলে এক দিরহামের ওজন পরিমাণসহ নামায আদায় জায়েজ হবে। এক দিরহামের ওজনের পরিমান বর্তমানে প্রায় তিন গ্রাম। {কানযুদ দাকায়েকের টিকা-১৫-১৬}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তরল নাপাকের ক্ষেত্রে এক দিরহাম বর্তমান ৫ টাকার কয়েন পরিমাণ ধরবেন।

(০২)
বীর্য তরল নাপাক।

(০৩)
এক্ষেত্রে এক দিরহামের ওজনের পরিমান বর্তমানে প্রায় তিন গ্রাম। 

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, 
"আঙুলে রং লাগার কোন স্পষ্ট লক্ষণ বুঝা যাচ্ছিল না"

সুতরাং আপনার অযু নামাজ হয়ে গিয়েছে  
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

(০৫)
সেক্ষেত্রে বালতির পানির নাপাকীর মাত্রা/ তীব্রতা প্রকৃত মূত্রের নাপাকীর সমান হবেনা, কম হবে।

(০৬)
এক্ষেত্রে পানির মধ্যে রেখে ভালোভাবে কচলিয়ে নিয়ে নিংড়াবেন। তাহলে এটিকে একবার ধোয়া হবে। 

(০৭)
ধোয়া তো কষ্টসাধ্য নয়,বরং নিংড়ানো কষ্টসাধ্য হয়। 
যেমন তোশক,লেপ ইত্যাদি। 

যেগুলো নিংড়ানো কষ্টসাধ্য,এগুলো সকলেই বুঝবে। 

(০৮)
ক,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এই পানিটাও মূত্র হিসেবে গণ্য হবেনা।
অথবা নাপাক হিসেবে গণ্য হবেনা।

তবে সতর্কতামূলক আপনি সেই পানিকেই ধুয়ে ফেলবেন,তারপর আর কোনো সন্দেহ না করা চলে আসবেন।

খ,
লিঙ্গের ছিদ্র থেকে এক দিরহাম সমপরিমাণ (৫ টাকার কয়েন সমপরিমাণ)  বা তার চেয়ে বেশি  ছড়িয়ে গেলে সেটি পানি দ্বারা ধোয়া ওয়াজিব, আবশ্যক। 
এক্ষেত্রে পানি ব্যবহার না করলে শরীর নাপাকই থাকবে।

সুতরাং এক্ষেত্রে যদি আপনি পানি ব্যবহার না করেন, সেক্ষেত্রে গরমের দিনে লিঙ্গ ঘেমে গিয়ে কাপড় আর উরুর চামড়ায় লাগলে সে জায়গা গুলো নাপাক হয়ে যাবে।

আর যদি লিঙ্গের ছিদ্র থেকে ৫ টাকার কয়েন থেকে কম ছড়িয়ে যায়,সেক্ষেত্রে টিস্যু ব্যবহার যথেষ্ট,পানি ব্যবহার না করলেও সমস্যা হবেনা।
তবে সুন্নাতের খেলাফ হবে।

এমতাবস্থায় যদি আপনি পানি ব্যবহার না করেন, সেক্ষেত্রে গরমের দিনে লিঙ্গ ঘেমে গিয়ে কাপড় আর উরুর চামড়ায় লাগলে সে জায়গা গুলো নাপাক হয়ে যাবে।

(০৯)
ওযু করার পরে এরূপ ঘটলে ওযু ভেঙে যাবেনা।

আপনি ইস্তেঞ্জা করার সময় ভালোভাবে পানি দিয়ে উক্ত স্থান ধুয়ে ফেলবেন।
তাহলে আর এতে কোনো সমস্যা হবেনা 

(১০)
আপনি সেই পানি নিজে টিপে বের করবেননা।
এক্ষেত্রে বের করতে চাইলে গোসলের মাঝেই বের করবেন।
গোসলের শেষে নয়।

কেননা তাহা পেশাবের সাথে মিশে যাওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে।

(১১)
যখন লিঙ্গে পেশাব ছিলো,সেক্ষেত্রে প্রথমবার লিঙ্গ ধোয়া পানি নাপাক।
এই পানি পায়ের  টাখনু/গোড়ালি সহ শরীর,কাপড়ের যেখানেই লাগবে,নাপাক হয়ে যাবে।

তবে প্রথমবার লিঙ্গ ধোয়ার পর পরবর্তী বার আবারো লিঙ্গ ধোয়া হলে সেই পানি নাপাক নয়।

এই ২য় বারের পানি পায়ের টাখনু/গোড়ালি সহ শরীর,কাপড়ের কোথাও লাগলে নাপাক হবেনা 

(১২)
এই পানির ছিটা কোথাও লাগলে সেখানে পায়খানার কোনো গন্ধ/চিন্হ পাওয়া না গেলে নাপাক হবেনা।

(১৩)
উপরোক্ত দুটি জবাব অনুযায়ী আমল করুন,আশা করি আর বেশি সময় ব্যয় করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
মুহতারাম, 
আরেকটু ক্লিয়ার হতে চাইছিলাম ৷ কোন বেআদবী হয়ে গেলে মাফ করবেন অনুগ্রহ করে ৷

৪ নং এর ক্ষেত্রে আঙুলের চিটচিটে ভাবটা আঙুল সরিয়ে আনার পরেও ১০-১৫ সেকেন্ডের মত অনুভূত হচ্ছিল যদিও চোখে কিছু বোঝা যাচ্ছিল না ৷ এ অবস্হায় আঙুলে স্তর পড়েছে মনে করব না কী স্তর পড়ে নি মনে করব? পরের ঐ কিছুক্ষণের চিটচিটে ভাবটা নিয়ে মনে খটখট করছে ৷

৮ এর খ নং এর জন্য লিঙ্গের ছিদ্র কয়েন এর কেন্দ্রে বিবেচনা (কল্পনা)  করব নাকি কয়েন এর কিনারে ৷

১০ নং এর ক্ষেত্রে মনে করুন ইস্তিনজা করা, পানি ব্যবহার করা সবই হয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে গোসল শেষে শরীর মোছার সময়ে তো গামছা দিয়ে হোক অথবা লুঙ্গি লেগে হোক - মূত্রনালির ভেতরের পানিটা বাইরে বেরিয়ে গিয়ে কাপড়ে শোষিত হবে ৷  এক্ষেত্রে কী ওযুটি ভেঙে যাবে? আমার আবার গোসল করার পরে টয়লেট টিস্যু দিয়ে লিঙ্গের অগ্রভাগের পানি শুকিয়ে ফেলার অভ্যাস আছে ৷ 

১২ নং এর ক্ষেত্রে গন্ধ অথবা চিহ্ন যেকোন একটা বিবেচনা করলেই হবে না কী দুটোকেই বিবেচনা করতে হবে? স্বাভাবিক দৃষ্টি দিয়েই বিবেচনা করব না কী সূক্ষ্মভাবে অনুসন্ধান করে দেখব? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 95 views
...