আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)
আসসালা-মু আলাইকুম।
আমরা তাবলিগে গেলে মসজিদে থাকা অবস্থায় সপ্নদোষ হলে, নাপাকী বেডিং এ লেগে যায়। কিন্তু বেডিং তো ধোয়া সম্ভব না। এক্ষেত্রে নাপাক বেডিং নিয়ে মসজিদে অবস্থান করা বা শয়ন করা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

 عن بن أبي نجيح قال نمت في المسجد الحرام فاحتلمت فيه فسألت سعيد بن جبير فقال اذهب واغتسل يعني ولم ينهه

হযরত ইবনে আবী নাজীহ বলেন , আমি মসজিদে হারামে ঘুমিয়েছিলাম। তখন আমার স্বপ্নদোষ হল। তাবেয়ী সায়ীদ ইবনে জুবাইর রহ. কে জিজ্ঞেস করলাম, কি করব? বলেন, গোসল করে আস। অর্থাৎ তিনি তাকে মসজিদে ঘুমাতে নিষেধ করেননি। (মুসান্নাফে ইবনে আবীশাইবা হা. ৪৯২৩ )

মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে, যদি মসজিদে নাপাকী লেগে যায়, তবে যতটুকু জায়গায় নাপাকী লেগেছে, ততটুকু জায়গা ধুয়ে নিলে চলবে, সম্পূর্ণ মসজিদ ধোয়ার প্রয়োজন নেই। আর যদি মসজিদে নাপাকী না লাগে, বরং নাপাকী শুধু ঘুমন্ত ব্যক্তির নিজস্ব বিছানা বা কাপড়েই সীমিত থাকে, তাহলে মসজিদ ধোয়ার প্রয়োজন নেই।

বিছানায় নাপাক লাগলে বিছানার সেই অংশটুকু ভালভাবে ধুয়ে পাক করে নিতে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নাপাক বেডিং নিয়ে মসজিদে অবস্থান করা বা শয়ন করা জায়েজ হবেনা।

এক্ষেত্রে বেডিং এর যেই স্থানে নাপাকি লেগেছে সেই স্থান শরীয়াহ সম্মত নিয়মে ধুয়ে পাক করে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে পাক করে নেয়ার পর না শুকালেও সমস্যা নেই।
শুকানো আবশ্যক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

–1 vote
1 answer 98 views
...