আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (15 points)
১)কোনো খাবার যেমন গরুর মাংস তা হালাল।কিন্তু ধরুন এমন কেউ রান্না করলো যার হাত নাপাক হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে।

(আমার পরিবার হানাফী মাযহাব অনুযায়ী আমল করে না।তারা পাক নাপাকীর মাসআলা সম্পরকেও জানে না মানে না। প্রায় সময়ই এমন বালতি থেকে পানি ব্যবহার করে যাতে নাপাকীর ছিটা পরে।শুধু আমিই গোসলের সময় প্রতিদিন মগ বালতি ধুয়ে গোসল করি।তারা নাপাক কাপড় ও কাপড়ের বালতিতে একবার ধোয়।এ মাসআলাও জানে না যে বালতিতে তিনবার ধুতে হয়। এখন আমার মা বাথরুম থেকে এসে মাংস রান্না করে ওই বালতির পানি ব্যবহার করে এসে।এরপর হয়তো একবার হাত ধুয়েছিল।)

এখন ওই মাংস খাওয়া কি জায়েজ?যদি নাজায়েজ হয় আর আমি যদি জায়েজ মনে করে খাই তাহলে কি ঈমান ভঙ্গ হবে?

২)কারো মুখ যদি নাপাক হয়।নাপাক মুখে খাবার খাওয়া কি হারাম হবে?কেউ যদি হারাম না মনে করে খায় তাহলে কি কুফরী হবে?

৩)কাউকে কুৎসিত বলা কি কুফরী?

কারণ সূরা ত্বিনে  আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করার কথা বলেছেন।

মানুষ তো প্রায়ই একজন আরেকজনের চেহারা নিয়ে কটু মন্তব্য করে।এতে কি আয়াত অস্বীকারকারী হিসেবে গণ্য হবে?এতে কি কুফরী হবে?

1 Answer

0 votes
by (677,960 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নিশ্চিত ভাবে না জেনে অযথা সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো কিছুকে নাপাক বলার সুযোগ নেই।
,
যেই মূলনীতি নিম্নোক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ " لَا يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا " . - صحيح : 

‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার অযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সলাত ছাড়বে না।

বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহ বশতঃ উযু করতে হবে না, হাঃ ১৩৭), মুসলিম ৩৬২ (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর উযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হলেও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়িয,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৬)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ

ব্যাখ্যা: قَوْلُهٗ (حَتّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَو يَجِدَ رِيْحًا) (যতক্ষণ না সে বায়ু বের হওয়ার শব্দ বা নির্গত বায়ুর গন্ধ পাবে ততক্ষণ নামাজ ছেড়ে আসবে না)। এর অর্থ হলো যতক্ষণ না সে শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়া বা অন্য যে কোন পন্থায় তার বায়ু নির্গত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করবে না বা ছেড়ে আসবে না। তবে এতে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়াটিই শর্ত নয়।

এ হাদীস আরও প্রমাণ করে যে, শারী‘আতের কোন বিষয়ে সন্দেহের মাধ্যমে সুনিশ্চিত বিষয় বাতিল হয়ে যাবে না। অতএব যার সন্দেহ হবে বায়ু নির্গত হয়েছে কিনা তবে সে তার অজু ভঙ্গ না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকবে। নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত এ সন্দেহ তার কোন ক্ষতি করবে না। আর এটি অন্যান্য বিষয়েও সমভাবে প্রযোজ্য।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত গোশতের তরকারী হারাম/নাপাক হবেনা।

(০২)
মুখে নাপাকি লেগে থাকলে মুখ না ধুয়ে খাবার খেলে ঐ নাপাকি খাওয়া হয়ে যায়,তাই এটি হারাম হবে। 

এমতাবস্থায় কেহ যদি হারাম মনে না করে খায়,তাহলে এতে কুফরি হবেনা। 

তবে মৌখিক ভাবে সেই নাপাকিকে হালাল বললে কুফরি হবে।

(০৩)
কাউকে কুৎসিত বলা কুফরী নয়। 
এতে আয়াত অস্বীকারকারী হিসেবে গণ্য হবেনা। 
এতে কুফরী হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...