আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in পবিত্রতা (Purity) by (29 points)
১.গত ১৪ই মার্চ এশার সালাতের পর হালকা  হলুদ স্রাব দেখা যায়। এরপর একাধিকবার এরকম স্রাব দেখা যায়।বসে থাকলে বা নড়াচড়া কম করলে তেমন ভাবে কোন স্রাব নির্গত হত না কিন্তু বেশি হাঁটাচলা করলেই হলুদ স্রাব দেখা দিত   ।১৭ই মার্চ তেমনভাবে কোন হলুদ স্রাব দেখা যায়নি সারাদিনে তাই আমি গোসল করে সালাত আদায় করি।কিন্তু আবারো ১৭ ই মার্চ রাতে এশার সালাতের পর কিছুটা স্রাব দেখা যায় যার রং নিয়ে আমি নিশ্চিত নই এটা হলুদ নাকি সাদা। আমি সাধারণত টিস্যু ব্যবহার করি তো যখন আমি স্রাব দেখি সেই স্রাবযুক্ত টিস্যু  আমি রেখে দেই পরবর্তীতে সেই স্রাব যুক্ত টিস্যুটি  শুকানোর পর মনে হচ্ছে এটা হালকা  হলুদ স্রাব আবার মনে হচ্ছে  ঘন সাদা স্রাব।আজকে ১৯ মার্চ সম্পূর্ণ রক্তযুক্ত লাল স্রাব দেখা  গিয়েছে। এখন আমি হায়েজ কোন দিন থেকে গণনা করব।
গত মাসে আমার হায়েজের তারিখ ছিল ১১ ফেব্রুয়ারি
২.সালাতের মাঝে দোয়া সুরা পড়ার সময় আমার হলকের মধ্যভাগে  কিছুটা কফ জমে যায় যা সাধারণত আমি গিলে ফেলি কারণ এত বারবার কফ ফালানো সম্ভব নয় সালাতের মাঝে। সামনে যেহেতু রমাদান রোজা রাখবো ইনশাআল্লাহ সে ক্ষেত্রে আমি কি করবো আমি  গিলে ফেলব নাকি সালাত রত অবস্থায় ফেলে দিব।

৩.সালাতের মধ্যে সূরা ফাতিহার পর আমরা যে অন্য একটা সূরা মিলাই সেই সূরা তিলাওয়াত সময় যদি ভুল হয়ে যায় আমি যদি আবার সেটাকে সঠিক করে পরি তাহলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে। সালাতে দরুদ এবং দোয়ায়ে মাসুরায় ভুল হলে সেটাকে যদি সঠিক করে বলি তাহলে কি সাহুসেজদা দিতে হবে।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ১৪ই মার্চ এশার ওয়াক্ত থেকে হায়েজ গননা করবেন।
এক্ষেত্রে ১৯ মার্চ সম্পূর্ণ রক্তযুক্ত লাল স্রাব দেখা  গিয়েছে,এটা যেহেতু হায়েজ শুরু হওয়ার দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যেই হয়েছে,তাই সেটি হায়েজ।
এই সময়ে নামাজ পড়া যাবেনা।

তার মানে ১৪ই মার্চ থেকে নিয়ে ১৯ মার্চ সম্পূর্ণ হায়েজ ধরতে হবে।
এরপর আর হায়েজ না আসলে সেক্ষেত্রে গোসল করে নামাজ শুরু করে দিতে হবে।

দশদিন পরেও যদি এমন কিছু আসে,তাহলে সেটিকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরা হবে। 
তখন নামাজ পড়তে হবে।
আরো জানুনঃ 

(০২)
রোযা রাখা অবস্থায় যদি আপনি সেই কফ গিলে ফেলেন,এতে রোযার সমস্যা হবেনা।
তবে আপনি চেষ্টা করবেন নিজের কাছে একটি রুমাল রাখার।
যখন কফ আসবে,তখন সেই রুমাল বের করে অল্প সময়ের মধ্যে এক হাত দিয়ে সেই রুমালে কফ মুছে রেখে দিবেন।

বিস্তারিত জানুনঃ  

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই সাহু সেজদাহ দিতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 95 views
...