আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

আমি একজন খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত মানুষ।

হুজুর আমার বিষয় টা একটু ধোর্য দিয়ে দেখবেন । আমি আশা করছি যে শান্তি মুলুক উত্তর পাবো।

আমার মন খুব বিচলিত , আমার ঈমান নিয়ে কিছু সংশয় হয়, সেই জন্য অনেক দিন আগে আপনাদের ওয়েব সাইড এ প্রশ্ন করেছিলাম । প্রশ্নের উত্তর ছিল ঈমান চলে যাবে না তবে সতর্কতা মূলক তৌবা করে কালেমা সাহাদাত পড়ে নিতে হবে।

আপনাদের ওয়েব সাইড এ টোটাল ২ বার প্রশ্ন করেছিলাম , এই যে দুবার প্রশ্ন করেছিলাম বিয়ের পর। দুটো প্রশ্নের ঘটনা আমার বিয়ের আগের ।

আমার বিয়ে করা ৭ মাস হলো।

একটা প্রশ্ন যখন আমি নবম ক্লাস এ পড়ি বয়স ১৩ কি ১৪ হবে।

প্রশ্নের লিংক:-- https://ifatwa.info/65732/

৪,৫,৬, নম্বর প্রশ্নে দেখবেন সেই উল্লেখিত উত্তরে ছিল কিছু হবে না । আমি তৌবা করেছি ও কালেমা সাহাদাত পড়ে নিয়েছি।

এই ঘটনার পর অনেক বছর কেটে জাই আমার বয়স ২০ তখন মারাক্তক মাথার ও মানসিক রোগ হয় সমস্ত বর্ণনা প্রশ্নে করা আছে লিংক দেওয়া হলো নিচে,

https://ifatwa.info/66109/

এই ঘটনার পর আমার অনেক টা দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান হয় , তখন আমি অনেক কান্না করি আল্লাহ কাছে তৌবা করেছি। এইগুলো হালকা মনে পড়ছে, কিন্তু আল্লাহর কাছে খুব কেঁদেছিলাম আর অনুতপ্ত হয়েছিলাম।

সমস্ত ঘটনা আমার বিয়ের আগের হুজুর। আমি তারপর ৩ বছর মাথার রোগে ও মানসিক ওয়াসওয়াসা নিয়ে খুব কষ্ট পেয়েছি। তার পর নামাজ পড়তাম আল্লাহর কাছে মাফ চাইতাম ।

হুজুর আমি যখন একটু সুস্থ হলাম তখন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলাম , এবং বাড়িতে বলে ইসলামিক শরিয়ত অনুযায়ী আমি বিয়ে করে নিলাম , আমি মাঝে মাঝে তৌবা করতাম ।

হটাৎ আমার মনে হয় আমি ১৩ - ১৪ বছর আগে ভুল করেছি ও যখন মানসিক অসুস্থ হয় তখনও ভুল করেছি এইটা আমার মনে হতে থাকলো ।

দিয়ে আপনাদের কে প্রশ্ন করি । আপনাদের উত্তরে বলা হয়েছে , ঈমান চলে যাবে না ও বলা হয়েছে সতর্কতা মূলক তৌবা করে কালেমা সাহাদাত পড়ে নিতে আমি তাই করেছি। আখন আমার আল্লাহর প্রতি খুব ভয় ও পাপ দেখে খুব ভয় লাগে।

হুজুর বিয়ের পর প্রশ্নের উত্তরে ঈমান যখন যায়নি তখন বৈবাহিক সম্পর্ক ও ঠিক আছে । আর বিয়ে করার আগে ও আমি তৌবা করেছি আমার মনে পড়ছে না যদিও তবে আমি আল্লাহর কাছে কেঁদেছিলাম মানসিক রোগের সময় তৌবা করেছি। আর বিয়ের পর সেই রকম কোনো সমস্যা হয়নি। ঈমান নিয়ে কোনো প্রশ্ন হলে করেছি , তাতে আমার ঈমান ঠিক আছে। ওয়াসওয়াসা জন্য করেছি লাম । এখন জানতে চাচ্ছি ,,,,,,

হুজুর আমার ওয়াসওয়াসা র জন্য বার বার ঈমান নিয়ে ভয় হয় আর বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যাবে বলে খুবই খুবই চিন্তা হয়। কিন্তু সমস্ত কিছুর উত্তরে আমার ঈমান ঠিক আছে । ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে। হুজুর ঈমান ও

বৈবাহিক সম্পর্ক তো ঠিক আছে তাইনা , শেষ হয়ে যাবো হুজুর

আল্লাহ কসম খুবই আশা করে আছি আমি যে হয়ত আমার চিন্তা দূর হবে । আল্লাহ যেনো আমাকে নিরাশ না করে

হুঁজুর আমাকে চিন্তা মুক্ত করুন সামনে রোজা আসছে।

১. হুজর আমার ঈমান ও আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?

হুজর আমাকে আর বার বার রোগাক্রান্ত হয়ে চিন্তা করতে হবে না তো??

সব কিছু ঠিক আছে তো??

২. হুজুর আমি নামাজ পড়তাম মাত্র ২ টো সূরা জানতাম অনেকবছর থেকে এইভাবেই নামাজ পড়েছি। আমি  আত্তেহেতু ও দুরুদ শরীফ কিছু মাস আগে মুখস্ত করার চেষ্টা করেছিলাম দিয়ে সেইভাবে মুখস্ত হয়নি , দিয়ে নামাজ পড়তে গিয়ে কিছুটা ঠিক পড়তাম আর কিছু টা ভুল পড়া হয়ে যেত।
হুজুর আমি এখন ঠিক করছি ভালো করে পড়ার মুখস্ত করার।
২.১. হুজুর আগে যে নামাজে  কিছু ঠিক কিছু ভুল  উচ্ছরণ করে পড়েছি  এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে??

২.২. আখন মুখস্ত করতে কিছুদিন সময় লাগবে এতদিন আমি কি ভাবে নামাজ পড়ব???  হুজুর এমনি সবার দেখা দেখি আর যা জানি তাই দিয়ে নামাজ পড়লে হবে??

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
আপনার ঈমান ও আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।

আপনাকে বার বার রোগাক্রান্ত হয়ে চিন্তা করতে হবে না।
সব কিছু ঠিক আছে।

(২.১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَن جَابِرٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا التَّشَهُّدَ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ من الْقُرْآن: «بِسم الله وَبِاللَّهِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ أَسْأَلُ اللَّهَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ» . رَوَاهُ النَّسَائِيّ

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে আমাদেরকে কুরআনের কোন সূরাহ্ শিক্ষা দিতেন, ঠিক সেভাবে তিনি আমাদেরকে তাশাহুদও শিখাতেন। তিনি বলতেন, ‘‘বিসমিল্লা-হি ওয়া বিল্লা-হি, আততাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াসসলাওয়া-তু ওয়াত্ব ত্বইয়্যিবা-তু আসসালা-মু ‘আলায়কা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু, ওয়ারহমাতুল্ল-হি ওবার-কা-তুহু, আসসালা-মু ‘আলায়না- ওয়া‘আলা- ‘ইবা-দিল্লা-হিস্ স-লিহীন। আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রসূলুহু। আস্আলুল্ল-হাল জান্নাতা ওয়া আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনান্না-র।’’
(নাসায়ী ১১৭৫.মিশকাত ৮১৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

(২.২)
যতটুকু জানেন,ততটুকুই বলবেন। আর শেষে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...