আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
১.সলাতে ভুল হলে ভুলে সাহ সিজদা না দিয়ে সেই সালাতের ফরজ সালাতে চলে গেলে তখন কি করণীয়?

২.পিরিয়ডের সময় মুজা লাগিয়ে কুরআন স্পর্শ করে অর্থ পড়া যাবে?

৩.নফল ইতেকাফ কথা বললে কি ভেঙে যাবে?
মা-বাবা বা কেউ কথা বলতে চাইলে বললে কি ভেঙে যাবে?

৪.ফসলের যাকাত আদায় না করলে কি ত্বলিবে ইলমের জন্য তা হারাম হবে?তা কি করণীয় তখন যদি সে বলছিলো আদায় করার জন্য পরিবার আাদায় করেনি?
৫.ফসলের যাকাত কি যারা ফসল পাবে তাদের সবাইকে দিতে হবে?

৬.ইমুজি ব্যবহার করা কি জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এক্ষেত্রে ফরজ সালাতের পর আগের সেই সালাত আবারো আদায় করতে হবে।

(০২)
অপবিত্র অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা জায়েজ নেই।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ [٥٦:٧٩

 যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। {সূরা ওয়াকিয়া-৭৯}

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেনঃ রাসূল সাঃ আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৬৮০, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৮৩০, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস নং-২০৯, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১৩২১৭, আল মুজামুস সাগীর, হাদীস নং-১১৬২, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-৪৬৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৬৬}

عن عبد الله بن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال:”لا يمس القرآن إلا طاهر“.
رواه الطبراني في الكبير والصغير ورجاله موثقون.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। {মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৫১২}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হ্যাঁ, এভাবে অর্থ পড়া যাবে।
তবে শুধু সেটি যদি তাফসিরের কিতাব না হয়,সেখানে যদি আয়াতও থাকে,সেক্ষেত্রে এভাবে সেই কুরআন স্পর্শ না করার পরামর্শ থাকবে। 

(০৩)
ইতেকাফের স্থানে থেকে নফল ইতেকাফ অবস্থায় কথা বললে সেটি ভেঙ্গে যাবেনা।
মা-বাবা বা কেউ কথা বলতে চাইলে বলতে পারবে। 
তবে সেই রুম/মসজিদ থেকে বাহিরে গিয়ে কথা বলবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে সেই তালিবের ইলমের কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৫)
আমাদের দেশের লোকদের উপর ফসলের যাকাত আবশ্যক কিনা,সে ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। 

তাই সতর্কতামূলক যারা ফসলের মালিক,তাদের জন্য ফসলের যাকাত আদায় করা উচিত।

(০৬)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 180 views
...