আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১) আমি যখন নামায পড়তে নেই, আমার মধ্যে খুব অস্থিরতা ও তাড়া কাজ করে। যদি এমন হয় যে, নামাজের পর আমার কিছু কাজ করতে হবে, সাংসারিক কোনো কাজ যদি পড়ে থাকে অথবা এমনিতেও জরুরী কোনো কাজ বাকি নেই তবুও নামাজে দাড়ানো মাত্রই আমার মধ্যে এত বেশি অস্থিরতা ও তাড়া কাজ করতে থাকে আমার শুধু মনে হয় কতক্ষণে নামায টা আমার শেষ হবে। কোনরকম এখনের নামায টা শেষ করে নেই। আবার, ওরকম কোনো কাজ পড়ে নেই, তবুও ঠিক একই রকম লাগে।

আমি বুঝতে পারছি না, এইটা কি কোনো ওয়াসওয়াসা জনিত সমস্যা আমার? নাকি মানসিক কোনো সমস্যা হচ্ছে?

এমনকি দেখা যাচ্ছে, নামাজের মাঝে হয়তো সালাম ফেরানোর পর কিছুটা সময় বসে আছি, তখন এমন অস্থিরতা ও তাড়া কিছুই কাজ করে না। নিয়্যাত বাধা মাত্রই এমন হতে শুরু করে।

এর জন্য আমি তিন বার করে আউযুবিল্লাহ পড়ে বাম দিকে ( থুথু ইশারা করে দেই) তাও কোনো পরিবর্তন হয়না।

২) নামায পড়ার সময় আমার প্রতি ওয়াক্তে ই সন্দেহ হয়, লাগে যে আমি মনে হয় একটা সিজদাহ দিছি, আবার রুকু সিজদা তে তাজবিহ যখন পড়ি। তখন ও কতবার পড়লাম একবার ও আমার মনে থাকে না।
প্রতি ওয়াক্তে যখন সিজদাহ নিয়ে সন্দেহ লাগে আমি সাহু সিজদা দেই, কিন্তু সাহু সিজদা দিতে গিয়েও বেশিরভাগ সময়ই আমার মধ্যে ওই একই সন্দেহ কাজ করে।

আমি কি করতে পারি??? খুব পেরেশানিতে পড়ে আছি আমি।

৩) আমার হাসব্যান্ড যেখানে চাকরি করছেন,সেটা সোলার নিয়ে কাজ করে। আমার হাসব্যান্ড এর প্রশ্ন হচ্ছে, তার প্রতিষ্ঠানের এমডি যিনি তিনি হিন্দু। একজন হিন্দুর আন্ডারে কি চাকরি করা জায়েজ হবে? ইনকাম হালাল হবে তো??

৪) কারো নাম যদি হয় " নাবিলা রহমান মিতু" এইটা কি কুরআনিক নাম? যতদূর জানি, কুরআনে " মিতু" শব্দ দিয়ে মৃত্যু বোঝানো হয়েছে। তাহলে এই নাম কি ভালো কোনো অর্থবহ নাম হতে পারে? সবটুকু নাম কি সঠিক আছে অর্থের দিক থেকে? উল্লেখ্য যে, ডাকনাম মিতু। আর অফিসিয়াল নাম " নাবিলা রহমান মিতু" কেও কেও, নাবিলা বলেও সম্বোধন করে থাকে।

উস্তাদ,সবগুলোর উত্তর দিবেন কষ্ট করে!

খুব জরুরী প্রশ্নগুলি।

জাযাকাল্লাহু খায়রান।

1 Answer

+1 vote
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এটি শয়তানের পক্ষ থেকে আসে।

এক্ষেত্রে নামাজে মনোযোগী হতে হবে।
নামাজে মনোযোগী হওয়ার পদ্ধতি জানুনঃ- 

(০২)
আপনি মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করবেন।
এরপর আগত কোনো সন্দেহকে পাত্তা দিবেননা।

হ্যাঁ যদি প্রবল ধারনা হয় যে আপনি রুকু আদায় করেননি,বা সেজদাহ কম আদায় করেছেন,সেক্ষেত্রে নামাজের মধ্যেই সেই রুকু বা সেজদাহ আদায় করে শেষে সেজদায়ে সাহু দিবেন।

(০৩)
ইসলামে অমুসলিমদের সাথে উদারতা ও সদ্ব্যবহারের শিক্ষা রয়েছে। তাদের সাথে যদিও বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতার সম্পর্ক স্থাপন করতে নিষেধ করা হয়েছে, কিন্তু সহানুভূতি, সৌজন্য, আতিথেয়তা, ব্যবসা-বানিজ্য ও লেন-দেনমূলক আচরণ করতে নিষেধ করা হয় নি। সেহেতু কোন মুসলিম কোনো অমুসলিমের সাথে ব্যবসা করলেও তার নামাজ, রোজা, কুরবানি ইত্যাদি ইবাদতের কোনো ক্ষতি হয় না।  

তবে যদি এই লেন-দেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে মুসলমানদের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তবে তা জায়েয থাকে না। রাসূলুল্লাহ ﷺ খোলাফায়ে রাশেদীন ও অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক গৃহীত কর্মপন্থা থেকে এটি প্রমাণিত হয়। (মাআ’রিফুল কুরআন-২/৫, জাওয়াহিরুল ফিকহ ২/ ১৭৯)

★★ইসলামের দৃষ্টিতে অমুসলিমদের সাথে ক্রয়-বিক্রয় এবং দুনিয়াবি লেনদেন করায় শরী‘আতে কোনো আপত্তি নেই। সুতরাং নিম্নে অমুসলিমদের সাথে কেনাবেচা শরিকানায় ব্যবসা অর্থের বিনিময়ে শ্রমিক হিসাবে তাদের  কাজ করা ও সাধারন  দুনিয়াবি সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে কুরআনের আয়াত, হাদীস এবং আলেমদের উক্তি তুলে ধরা হলো,

আল্লাহ তা‘আলা বলেন আল্লাহ তা‘আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।(সুরা বাক্বারাহ আয়াত নং ২৭৫)।
এখানে আল্লাহ তা‘আলা ব্যবসা করার জন্য মুসলিম ও কাফির আলাদা করেননি বরং সাধারণভাবে ব্যবসাকে বৈধতা দিয়েছেন। সুতরাং তা জায়িয মুসলিম-অমুসলিম সবার সাথে যদি এ ক্ষেত্রে অন্য হারাম বিষয় জড়িত না হয়। 

হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণীত তিনি বলেন রসুল (সাঃ) যবের বিনিময়ে তাঁর বর্ম বন্ধক রেখেছিলেন। (বুখারি-ইঃফাঃবাঃ) ৪০ বন্ধক হাঃ১৫৭৬)। 


হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণীত তিনি বলেন, রসুল (সাঃ) জনৈক ইহুদির নিকট থেকে নিদির্ষ্ট মেয়াদে খাদ্য শস্য খরিদ করেন এবং নিজের বর্ম তার কাছে বন্ধক রাখেন। (বুখারী হাঃ৪৮/বন্ধক) পরিচ্ছে ৪৮/২যে ব্যক্তি নিজ বর্ম বন্ধক রাখে,হাঃ২৫০৯)।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কাজ যদি হালাল হয়,সেক্ষেত্রে একজন হিন্দুর আন্ডারে চাকরি করা জায়েজ হবে। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামীর ইনকাম হালাল হবে। 

(০৪)
نَابِل [نبل]
[নাবিল] নাবিলাহ শব্দের অর্থঃ-
তীর নিক্ষেপকারী
তীরন্দাজ

হুবহু মিতু নামের আরবি অর্থ পাইনি।
মুতু শব্দের অর্থ তোমরা মারা যাও।
মিতু নামের বাংলা অর্থ: ছোট এক,মূল্যবান এক।

এ নাম রাখা যাবে। 

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (44 points)
উস্তাদ,শুকরিয়া। জাজাকাল্লাহু খায়রন ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 180 views
...