আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
১.মসজিদে অনেক সময় মিলাদ পড়ানো হয়,কারো ভালো ফলাফল,সাফল্য কিংবা মৃত ব্যক্তির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে।তারপর কিছু খাবার দেওয়া হয়। আব্বু এসব মিলাদের খাবার বাসায় নিয়ে আসে।এখন এই খাবার কি খাওয়া যাবে?অনেক সময় স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানেও এমন মিলাদ মাহফিল হয়,সেসব খাওয়া যাবে?


২.যদি খাওয়া যায় তাহলে যে মিলাদটির ব্যবস্থা করেছে,তার ইনকাম হালাল নাকি হারাম তা তো জানা থাকে না,তার দেওয়া এসব খাবার কি খাওয়া জায়েজ হবে?তার ইনকাম সোর্স কি সেটা তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করাও সম্ভব হয় না।

যদি জায়েজ না হয় তাহলে ওই খাবারটি ফেলে দিলে কি গুনাহ হবে?


৩.এরকমভাবে যাদের ইনকাম সোর্স জানিনা,তাদের থেকে কোনো খাবার বা হাদিয়া গ্রহণ না করলে তারা যদি কষ্ট পায় এতে কি আমার গুনাহ হবে?

৪.বেশিরভাগ মিষ্টির দোকানদার হিন্দু।তারা তো পাক নাপাক বুঝে না।তাদের থেকে মিষ্টি কিনলে,যদি সেটায় নাপাকি থেকে থাকে যা আমি জানিনা,সেটা খেলে কি আমার গুনাহ হবে?ইবাদত কবুল হ‌ওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদি এই সব খাবার গায়রুল্লাহর নামে উৎসর্গ করা না হয়, তাহলে সেগুলো আপনি ভক্ষণ করতে পারবেন।যদিও ভক্ষণ না করাই উত্তম।আর যদি আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয়, তাহলে তখন কিন্তু এইসব খাবার ভক্ষণ করা জায়েয হবে না।
حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح: (ص: 693)
"واعلم أن النذر الذي يقع للأموات من أكثر العوام وما يؤخذ من الدراهم والشمع والزيت ونحوها إلى ضرائح الأولياء الكرام تقربا إليهم فهو باطل وحرام اه قال في البحر لوجوه منها أنه نذر لمخلوق ولا يجوز لأنه عبادة والعبادة لا تكون لمخلوق ومنها أن المنذور له ميت والميت لا يملك ومنها أنه إن ظن أن الميت يتصرف في الأمور دون الله تعالى كفر"


(২)
কারো মালের উৎস হালাল না হারাম? সে সম্পর্কে জানা সম্ভব না হলে হালালই গণ্য করতে হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

(৩)
কেন আপনি গ্রহণ করবেন না। গ্রহণ করার তো রুখসত রয়েছে। কেননা হালাল হওয়াই প্রত্যেক মালের মূলকথা।

(৪)
 নাপাকি আছে কি না? সে সম্পর্কে হিন্দু ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন।যদি সম্ভব না হয়, তাহলে হিন্দুদের দোকানকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। সর্বোপরি একজন মুসলমানের জন্য উচিৎ হল, তিনি মুসলমানের কাছ থেকেই খাবার ক্রয় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...