আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

১.আমি একজন কে আরবী পড়াই৷ছাত্রীর বাবা ব্যাংকার।এখন আমি টিউশান করিয়ে যে হাদিয়া পাই সেটা কি হালাল নাকি হারাম?গত ৫-৬মাসে যে টাকা টা হাদিয়া পেয়েছি তা কি হালাল হয়েছে?


২.আমার বোনজামাই ব্যাংকার।অনেক সময় আমার বড়বোন এর বাসায় যেতে হয়৷গিয়ে যে খাবার টা খাই তা কি হালাল হবে?

যেহেতু আমার সহোদর তাই তার বাসায় না গিয়ে উপায় নেই,,তাহলে আমার কি করা উচিত।


৩.কেও একজন যদি হানাফি মাযহাব এর হয় কিন্তু সিজদাহ্ র ক্ষেত্রে মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও জড়োসড়ো ভাবে না দিয়ে ছেলেদের মতো দেয় তাকে কিভাবে বুঝাতে পারি,,

আমি বিভিন্ন হাদিস দেখালেও তার ভাষ্যমতে এগুলো তো সিহাসিত্তার হাদিস না,,আর যেহেতু মেয়েরা ঘরে নামাজ পড়ে তাই ছেলেদের মতো সিজদাহ্ দিলেও তার শরীর এর অবয়ব কেও দেখছে না।

আমার প্রশ্ন,তার কি এইজন্য কোনো গুনাহ হবে কারণ আমি জানি কোনো মাযহাব মানলে তা পুরোপুরি মানা লাগে,,যদি তার গুনাহ না হয় তাহলে আর কিছু বলব না,,

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/13794/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
কাজ যদি বৈধ হয়,তাহলে বিনিময়ে হারাম উপার্জনকারীর কাজ হওয়ার দরুণ উক্ত কাজ হারাম হবে না। ঐ ব্যক্তি তার হারাম উপার্জন থেকে বিনিময় দিলেও উক্ত বিনিময় গ্রহণ করা কোনো মুসলমানের জন্য হারাম হবে না। তবে কোনো হারাম কাজ করা আঞ্জাম দেয়া কখনো কোনো মুসলমানের জন্য জায়েয হবে না। 

عن سويد بن غفلة أن بلالا قال لعمر : إن عمالك يأخذون الخمر والخنازير في الخراج ، فقال : لا تأخذوها منهم ، ولكن ولوهم بيعها ، وخذوا أنتم من الثمن- قال أبو عبيد : " يريد أن المسلمين كانوا يأخذون من أهل الذمة الخمر والخنازير من جزية رءوسهم وخراج أرضيهم بقيمتها ثم يتولى المسلمون بيعها ، فهذا الذي أنكره بلال ونهى عنه عمر ، ثم رخص لهم أن يأخذوا ذلك من أثمانها إذا كان أهل الذمة المتولين لبيعها ; لأن الخمر والخنازير مال من أموال أهل الذمة ولا يكون مالا للمسلمين .

মর্মার্থ- হযরত উমর রাযি. আহলে যিম্মা কাফির থেকে তাদের বিদ্যমান হারাম মালকে বিক্রি করে সেই মালের মূল্যকে জিযয়া হিসেবে গ্রহণ করার অনুমোদন দিয়েছেন। 
(আহকামু আহলিয-যিম্মাহ-১/১৮৩, এ’লাউস-সুনান-১৪/১৩৪, কিতাবুন-নাওয়াযিল-১২/৫১৭))

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বেতন নেওয়া জায়েজ আছে, তবে হারাম সম্পদ উপার্জন করে বলে পুরোপুরি জেনে থাকলে কোনো খাবার ইত্যাদি হাদিয়া হিসেবে গ্রহন করবেননা।

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
আপনি টিউশনি করে যেই হাদিয়া পান,সেটি হালাল।
গত ৫-৬মাসে যে টাকা টা হাদিয়া পেয়েছেন, তা হালাল হয়েছে।

তবে এক্ষেত্রে তাদের কোনো খাবার ইত্যাদি হাদিয়া হিসেবে গ্রহন করবেননা।

(০২)
তার বাসায় গিয়ে খাবার খাওয়া হালাল হবেনা।
এক্ষেত্রে যেই পরিমাণ খাবার খাবেন,সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে তার পূর্ণ সুন্নাত অনুসরণ করা হবেনা।
তবে আপনি যেহেতু তাকে বুঝিয়েছেন,তারপরেও সে যেহেতু মানছেনা,তাই তাকে আর কিছু বলার দরকার নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...