আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)

আমার ভাতিজার জন্মের সময় আমার এক আত্মীয় কিছু প্রাইসবন্ড গিফট করেন। এখন এই প্রাইস বন্ড থেকে প্রাপ্ত টাকা কি হালাল হবে ?

এবং বিদেশ থেকে রেমিটেন্স ঢুকলে সরকার যে ৫% প্রণোদনা দেয় সেটা গ্রহণ করা কি হালাল হবে  ?

1 Answer

0 votes
by (63,440 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/1495   নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

সব রকম লটারী হারামের অন্তর্ভুক্ত না।বরং ঐ সমস্ত লটারী-ই হারামের অন্তর্ভুক্ত, যা দ্বারা কোনো হক্ব বা যোগ্যতা কিংবা মালিকানাকে নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু যদি পূর্ব থেকেই হক্ব বা অধিকার প্রতিষ্টিত থাকে।কিন্তু উভয় সমান সমান হওয়ার ধরুণ কাউকে অগ্রাধিকার দেওয়া যাচ্ছেনা-এমতাবস্তায় একজনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য লটারির মাধ্যমে তাকে নির্ধারণ করা হয়,তাহলে এ প্রকার লটারী অবৈধ হবে না।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1505

কিন্তু আমাদের সমাজে সাধারণত কুপন কেটে যে লটারী দেয়া হয়, সেটা নিম্নোক্ত আয়াতের অধীনে থাকার ধরুণ পরিস্কার হারাম বলেই সাব্যস্ত হবে।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺨَﻤْﺮُ ﻭَﺍﻟْﻤَﻴْﺴِﺮُ ﻭَﺍﻷَﻧﺼَﺎﺏُ ﻭَﺍﻷَﺯْﻻَﻡُ ﺭِﺟْﺲٌ ﻣِّﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﻓَﺎﺟْﺘَﻨِﺒُﻮﻩُ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﻔْﻠِﺤُﻮﻥَ

হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।(সূরা মায়েদা-৯০)

এবং প্রাইজবন্ড ও হারাম।কেননা এখানে ঋণের বিপরিতে প্রাইজবন্ড দেয়া হচ্ছে, যদিও লটারীর মাধ্যমে দেয়া হোক না কেন? সুতরাং ঋণের বিপরিতে পুরুস্কার যাকে প্রাইজবন্ড বলা হয়,সেটা হারাম হিসেবেই সাব্যস্ত করা হবে।

কারো কাছে প্রাইজবন্ডের কোনো কুপন থাকলে, তিনি তারাতারি সেটাকে টাকায় রূপান্তরিত করে নেবেন।টাকায় রূপান্তরিত করার পূর্বে যদি কোনো পুরুস্কার লেগে যায়,তাহলে উক্ত পুরুস্কারকে গ্রহণ করা যাবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

. আমাদের দেশে প্রচলিত দশ টাকা/বিশ টাকার মূল্যের যে লটারী কুপুনেরর প্রচলন রয়েছে, এগুলো পরিস্কার হারাম। প্রাইজবন্ডও হারাম। চায় লটারী বা প্রাইজবন্ড গুলো একা একা কেউ ক্রয় করুক বা অনেকজন মিলে ক্রয় করুক। সর্বাবস্থায় হারামই হবে। প্রাইজবন্ড থেকে প্রাপ্ত পুরস্কার / টাকা গ্রহণ করাও বৈধ নয়।

২. হুন্ডি বা চোরাই পথে লেনদেন না করে, ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে উৎসাহিত করতে সরকার এই % বোনাসের সিস্টেম জারি করেছে। এতেকরে রেমিটেন্স তথা বৈদেশিক মুদ্রার সুষ্ট হিসাব রাখা সম্ভব হবে।যদ্ধরূণ ভবিষ্যতে দেশের টাকার মান বাড়বে।সুতরাং সরকারি এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

এখন ফেকহী দিক নিয়ে আমরা একটু চিন্তাভাবনা করি।প্রশ্ন হল, এই ২% কি সুদ হবে?

প্রতিউত্তরে বলা যায় যে, সুদ হলো,ঋণ দিয়ে বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করা।যেমন উসূলে ফিকহের সুপ্রসিদ্ধ মূলনীতি

كل قرض جر نفعا فهو ربا

প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসে সেটাই সুদ।

এখানে কিন্তু ব্যাংকে ঋণ রাখা হচ্ছে না। বরং বৈধ পদ্ধতিতে লেনদেনের জন্য সরকার পুরুস্কার দিচ্ছে। আর সরকারি পুরুস্কার বৈধ। কেননা সরকারী আয়ের সকল উৎস হারাম নয়। বরং বলতে অধিকাংশ উৎসই হালাল। সুতরাং ব্যাংক মারফত বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনতে সরকার যে % বোনাস দিচ্ছে সেটা জায়েযই হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1384

মুসলিম অমুসলিম যে কারো নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে। হাদিয়ার ফযিলত সম্পর্কে হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

ﻭﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : « ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘﺒﻞُ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻭﻳُﺜﻴﺐُ ﻋﻠﻴﻬﺎ »

তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ হাদিয়া গ্রহণ করতেন।এবং তার বিনিময়/প্রতিদান ও দিতেন।(সহীহ বুখারী-২৪৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...