আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম,

অনেকে ওস্তাদজি বলতেছেন, যে রমজান শুমার দিনে শুরু হবে সে রমজানের ১৫ই রমজান শুমার দিনে একটা বিকট শব্দ হবে। যার ফলে অনেক মানুষ মারা যাবে। এটা কোন রমাজানে হবে তা কেউ জানে না।

দেশের এক বড় আলেম ও একথা বলেছেন।

আমার প্রশ্ন হল- আমাদের দেশে শুক্রবার রমজান শুরু হয়েছে.... কিন্তু সৌদিআরব, মালয়েশিয়া বৃহস্পতিবার রমজান শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ সময় একদিন আগে রমজান শুরু হয় সৌদিআরব, মালয়েশিয়াতে। তাহলে হাদিসের ব্যাখ্যাটা কিভাবে হবে?

প্লিজ জানাবেন......

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

 عن فيروز الديلمي أن النبي صلى الله عليه وسلم قال:" يكون في رمضان صوت ، قالوا: يا رسول الله، في أوله أو في وسطه أو في آخره؟ قال: لا، بل في النصف من رمضان ، إذا كانت ليلة النصف ليلة الجمعة يكون صوت من السماء يصعق له سبعون ألفاً ، ويخرس له سبعون ألفاً ، ويعمى له سبعون ألفاً ، ويصم له سبعون ألفاً ، قالوا: يا رسول الله فمن السالم؟ قال: من لزم بيته ، وتعوذ بالسجود ، وجهر بالتكبير لله ، ثم يتبعه صوت آخر ، فالصوت الأول صوت جبريل عليه السلام ، والصوت الثاني صوت الشيطان ، فالصوت في رمضان ، والمعمعة في شوال ، وتمييز القبائل في ذي القعدة ، ويغار على الحاج في ذي الحجة ، والمحرم وما المحرم؟ أوله بلاء على أمتي ، وآخره فرج لأمتي ، الراحلة في ذلك اليوم بقتبها ينجو عليها المؤمن خير من دسكرة تُغِل مائة ألف"
 হযরত ফিরোজ দায়লামি (রাঃ)  বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “কোন এক রমজানে আওয়াজ আসবে।”সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! রমজানের শুরুতে? নাকি মাঝামাঝি সময়ে? নাকি শেষ দিকে?” রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “না, বরং রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। ঠিক মধ্য রমজানের রাতে। শুক্রবার রাতে আকাশ থেকে একটি শব্দ আসবে। সেই শব্দের প্রচণ্ডতায় সত্তর হাজার মানুষ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলবে আর ৭০ হাজার বধির হয়ে যাবে।”
সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! আপনার উম্মতের কারা সেদিন নিরাপদ থাকবে?”
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “যারা নিজ নিজ ঘরে অবস্থানরত থাকবে, সিজদায় লুটিয়ে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং উচ্চ শব্দে আল্লাহু আকবর বলবে। পরে আরও একটি শব্দ আসবে। প্রথম শব্দটি হবে জিব্রাইল (আঃ) এর, দ্বিতীয়টি হবে শয়তানের। ঘটনার পরম্পরা এরূপঃ (Red nova বিস্ফোরণের) শব্দ আসবে রমজানে। ঘোরতর যুদ্ধ সংঘটিত হবে শাওয়ালে। আরবের গোত্রগুলো বিদ্রোহ করবে জুলকা’দা মাসে। হাজী লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটবে জিলজ্জ মাসে। আর মুহাররমের শুরুটা আমার উম্মতের জন্য বিপদ। শেষটা মুক্তি। সেদিন মুসলমান যে বাহনে চড়ে মুক্তি লাভ করবে, সেটি তার কাছে এক লাখ মূল্যের বিনোদন সামগ্রীতে পরিপূর্ণ ঘরের চেয়েও বেশি উত্তম বলে বিবেচিত হবে।”(মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৩১০,তাবারানি-১৮/৩৩২)

উক্ত হাদীস চুড়ান্ত পর্যায়ের যঈফ। এমনকি কেউ কেউ মাওযু পর্যন্ত বলেছেন।এই বর্ণনা দ্বারা দলীল পেশ করা যাবে না।
قال الهيثمي في مجمع الزوائد (7/310): رواه الطبراني ، وفيه عبد الوهاب بن الضحاك وهو متروك" انتهى.
فالحديث ضعيف جداً لا يعتمد عليه. وما له من شواهد فإنها كلها ضعيفة جداً لا يتقوى بها.

وذكره العلامة ابن القيم رحمه الله في " المنار المنيف " (ص/98) في أحاديث لا تصح في التواريخ المستقبلية ، قال : " كحديث : يكون في رمضان هدة توقظ النائم ، وتقعد القائم ، وتخرج العواتق من خدورها ، وفي شوال مهمهة ، وفي ذي القعدة تميز القبائل بعضها من بعض ، وفي ذي الحجة تراق الدماء ، وحديث : يكون صوت في رمضان إذا كانت ليلة النصف منه ليلة جمعة ، يصعق له سبعون ألفا ، ويصم سبعون ألفا " انتهى


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...