আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
459 views
in ওয়াসওয়াসা by (1 point)
আমি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। আমি আর প্রশ্ন করব  না এইটাই লাস্ট । আমি খুবই মানসিক  অশান্তিতে  আছি। আমি জানি আপনাদের মূল্যবান  সময়  নষ্ট  করি।  ভাই আমার ৫ মাসের একটা  বাচ্চা  আছে । আমি আর এই মানসিক চাপ নিতে  পারছি না।
আমার আগের প্রশ্নঃhttps://ifatwa.info/72458/

https://ifatwa.info/71735/

১.) ওয়াসওয়াসা রুগী তালাক দিলে তালাক হয় না।  কিন্ত সে  মুখে যা উচ্চারন করেছে  তা যদি লিখে রাখে  তাহলে  লেখার কারনে তালাক  হবে?       
২) আমার মসজিদে বিয়ে হয়।  কাজি যখন
কাবিননামা   লিখেছে তখন  আমার স্বামী সেখানে ছিল না। পরে যখন আসছে কাজি তাকে ১৮ নং ছকের
অধিকারের  কথা জিজ্ঞেস করেনি। তাকে স্বাক্ষর
করতে বলায় সে শুধু স্বাক্ষর করেছে।
এখন প্রশ্ন আমার স্বামী যখন ছিল না তখন যদি কাজি ১৮ নং ছক  সম্পর্কে  আলোচনা  করে এবং  স্বামীকে না জানিয়ে কাজি বা অন্য কেউ যদি অধিকার লিখে দেয় তাহলে আমি অধিকার পাবো?

প্রশ্ন ২.১)   কাবিননামায় নাকি ১৮ নং ছকে  স্বাক্ষর
  করতে হয়, কাজি যদি  স্বামীকে জিজ্ঞেস  না  করে
ওখানে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় তাহলে  আমি  তালাকের
 অধিকার  পাবো?
২.২) মুফতি লুৎফর রহমান  ফরাজি  বলছেন  জীবনে একবার ১৮ নং ছক সম্পকে জানলে অধিকার পাওয়া
 হয়। আমার স্বামী  বিয়ের  আগে  ১৮ নং ছকের
অধিকারের  কথা  জানতো ।
এখন কাজি যদি  স্বামীকে জিজ্ঞেস  না  করে অধিকার দেয় তাহলে অধিকার  পাওয়া  হবে?
৩)স্বামী  যদি  এমন কথা বলে  যাতে স্ত্রীর তালাক
 গ্রহনের
অধিকার  পাওয়া  হয়।  কিন্ত তার তালাক   গ্রহণের
অধিকার  দেওয়ার নিয়ত ছিল না। তাহলে কি স্ত্রী  তালাক গ্রহনের
অধিকার পাবে?যেমনঃ
 ( তোমার  যা ইচ্ছে  করো।

পান আমি খাবোই এবং যে থাকতে  চায়  থাকবে  আর  যে  থাকতে  চায়  না  সে যেন  চলে যায়।
ভালো  লাগলে  থাকো  না থাকলে  যাও।
যার ইচ্ছে  থাকবে  যার  ইচ্ছে  চলে যাইবে।)

৪) তালাক গ্রহনের অধিকার নিয়ে আলোচনা চলছিল। তখন স্বামী  বলছে  অধিকার  দিলাম। (কিন্ত তার নিয়ত ছিল না অধিকার  দেওয়ার।)
এতে কি অধিকার পাবো?  অই মজলিস না সারাজীবন এর জন্য?

৭) আমার যতটুকু  মনে পড়ে স্বামী  বলছে  তুমি যখন
 ইচ্ছে তখন তালাক গ্রহনে করতে পারবে। আমি একেবারে শিওর  না সে এটা বলছে  কিনা।
স্বামী  বলছে  আমি এটা বলি  নায় ।
এখন স্ত্রী যদি তালাক  দেয় তাহলে  তালাক  হবে?

প্রশ্ন ৮)  তালাক গ্রহনের অধিকার নিয়ে আলোচনা
চলছিল। তখন স্বামী  বলছে  তুমি  যা ইচ্ছে করো।
( তার আমাকে তালাক দেওয়ার নিয়ত ছিল না)
এখন প্রশ্ন স্বামী যে বলছে  তুমি  যা ইচ্ছে করো। এ
 কথায় কি স্বামীর পক্ষ থেকে কোনো তালাক হবে?
প্রশ্ন ৭) অন্যের গীবত বা মনে কষ্ট দিয়ে কথা  করতে চাই  না  তারপরও  তাদের সামনাসামনি  গিবত বা মনে কষ্ট  দিলে তাদের কাছে মাফ চাইতে হবে নাকি আল্লাহর কাছে মাফ চাইলেই হবে?

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ওয়াসওয়াসা রুগী তালাক দিলে তালাক হয় না।  সে মুখে যা উচ্চারন করেছে, তা যদি লিখে রাখে  তাহলে লেখার কারনেও তালাক হবে না।

(২) আমার মসজিদে বিয়ে হয়। কাজি যখন
কাবিননামা লিখেছে তখন আমার স্বামী সেখানে ছিল না। পরে যখন আসছে কাজি তাকে ১৮ নং ছকের
অধিকারের কথা জিজ্ঞেস করেনি। তাকে স্বাক্ষর
করতে বলায় সে শুধু স্বাক্ষর করেছে।

আপর স্বামী যখন ছিল না তখন যদি কাজি ১৮ নং ছক  সম্পর্কে  আলোচনা  করে এবং  স্বামীকে না জানিয়ে কাজি বা অন্য কেউ যদি অধিকার লিখে দেয়, তাহলে আপনি অধিকার পাবেন না।

(৩)কাবিননামায় ১৮ নং ছকে স্বাক্ষর করতে হয়, কাজি যদি  স্বামীকে জিজ্ঞেস  না করে ওখানে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়, তাহলে  আপনি  তালাকের অধিকার  পাবেন না।

(৪) 
কাজি যদি  স্বামীকে জিজ্ঞেস  না  করে অধিকার দেয়, তাহলেও আপনি অধিকার পাবেন না।

(৫)স্বামী যদি এমন কথা বলে যাতে স্ত্রীর তালাক
 গ্রহনের অধিকার পাওয়া  হয়। কিন্ত তার তালাক গ্রহণের অধিকার দেওয়ার নিয়ত ছিল না। তাহলেও স্ত্রী  তালাক গ্রহনের অধিকার পাবে না।

(৬) তালাক গ্রহনের অধিকার নিয়ে আলোচনা চলছিল। তখন স্বামী  বলছে  অধিকার  দিলাম। (কিন্ত তার নিয়ত ছিল না অধিকার দেওয়ার।)
এতে স্ত্রী অধিকার পেয়ে যাবে। যদি এমন শব্দ ব্যবহার করে,যাদ্বারা ঐ মজলিসকেই বুঝায় তাহলে স্ত্রীর অধিকার মজলিস পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে। আর হ্যা,  সারাজীবনের জন্য শব্দকে ব্যবহার করলে, সারা জীবনই স্ত্রী অধিকার পাবে।

(৭) আমার যতটুকু  মনে পড়ে স্বামী  বলছে  তুমি যখন
 ইচ্ছে তখন তালাক গ্রহনে করতে পারবে। আমি একেবারে শিওর না সে এটা বলছে কিনা।
স্বামী  বলছে  আমি এটা বলি  নাই ।
তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।

(৮)  তালাক গ্রহনের অধিকার নিয়ে আলোচনা
চলছিল। তখন স্বামী  বলছে  তুমি  যা ইচ্ছে করো। একথার দ্বারা স্ত্রী সাময়িক অধিকার পাবে।মজলিস শেষ হয়ে গেলে তালাকের অধিকারও শেষ হয়ে যাবে।

( ৯) অনিচ্ছায় কারো গীবত হয়ে গেলে, এবং সেই গীবত তার কাছে না পৌছলে,শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে মাফ চাইলেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...