আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
গত প্রশ্নের লিংক দিতে পারছি না।আপনি বলছেন  ওয়াস ওয়াসার রোগির তালাক হই না।কিন্তু হুজুর অইখানে যেসব প্রশ্ন করছি সব ত ওয়াস ওয়াসার সমস্যা হওয়ার পর ঘটে নাই।আমি সাভাবিক থাকা অবস্থাই ঘটছে।আর কিছু ঘটছে মাসালা জানার পর। আমি ত সব বরননা করছি হুজুর।আপনি ত সব প্রশ্ন পরছেন।

শুধু ওয়াস ওয়াসার রোগির তালাক হই না বললে হুজুর আমার ভিতর থেকে চিন্তা যাচ্ছে  না।কারন কিছু বিষয় আছে মাসালা জানার আগে ঘটছে যখন  আমি সাভাবিক ছিলাম।
আচ্ছা হুজুর কোন লোক ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত হলে তার অতীতে মানে যখন সে সাভাবিক ছিল তখন কার তালাক ও কি পতিত হবে না।তখন কার ঘটনা ও কি গ্রহণ যোগ্য না। আমি বুজতেছি না।আমাকে শুধু বলা হচ্ছে ওয়াস ওয়াসার রোগির কোন তালাক হই না।কিন্তু আমি জা প্রশ্ন করসি সব ত ওয়াস ওয়াসা অবস্থায় ঘটে নাই।অনেক আগে ঘটছে। আমি কিছু বিষয় আসে জেগুলা মনে করতে পারি।আপনি একটু গত প্রশ্ন পরে বলেন যে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা

আপনি একটু আবার প্রশ্ন গুলা পরে বলেন আগে জা ঘটেছিল মানে জা প্রশ্ন করছি সে অনুযায়ী তালাক পতিত হবে কিনা।সব ক্ষেত্রে ওয়াস ওয়াসার রোগি না ধরে উত্তর দিলে আমি সাভাবিক জীবন যাপন করতে পারতাম। প্লিজ হুজুর সাহায্য করুন।আমি বরননা অনুযায়ী সংসার করতে পারব কিনা?

1 Answer

0 votes
by (687,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/69445/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

https://ifatwa.info/69159/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

وفی الدر المختار مع رد المحتار:

"قال لها أنت طالق إن شئت فقالت شئت إن شئت أنت، فقال: شئت ينوي الطلاق أو قالت شئت إن كان كذا لمعدوم) أي لم يوجد بعد كإن شاء أبي أو إن جاء الليل وهي في النهار (بطل) الأمر لفقد الشرط..(وإن قالت شئت إن كان الأمر قد مضى) أراد بالماضي المحقق وجوده كإن كان أبي في الدار وهو فيها، أو إن كان هذا ليلا وهي فيه مثلا (طلقت) لأنه تنجيز (قال لها أنت طالق متى شئت أو متى ما شئت أو إذا شئت أو إذا ما شئت فردت الأمر لا يرتد ولا يتقيد بالمجلس ولا تطلق) نفسها".
(ج:٣,ص:٣٦,ط: دار الفكر)
সারমর্ম:-
যদি স্বামী বলে যে তুমি তালাক যখন যখন চাইবে অর্থাৎ যখন তুমি চাইবে তখন তালাক,,,,তারপর বিষয়টি ফিরিয়ে নিতে চাইলে ফিরিয়ে নেয়া যাবেনা।
এবং মজলিসের সহিত সীমাবদ্ধ থাকবেনা। 

আরো দলিল জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি স্বামীকে বলেছেন,ডিভোর্স দিয়া দিও তখন যদি হাসবেন্ড বলে, তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও বা ভালো  না লাগলে ছাইড়া দিও বা মন চাইলে ছাইড়া দিও।

আসলে এখানে আপনার স্বামী নিশ্চিত ভাবে কোনো শব্দটি বলেছে?

যদি "তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও" বলে,সেক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরণ মতে এর দ্বারা স্ত্রীর তালাকের অধিকার মজলিসের সাথে সীমাবদ্ধ থাকবে।

যদি "ভালো না লাগলে ছাইড়া দিও বা মন চাইলে ছাইড়া দিও" এই বাক্য বলে,তাহলে এক্ষেত্রে এর অর্থ দ্বারায় যখন তুমি চাইবে তখন তালাক দিও।
 সুতরাং সেক্ষেত্রে স্ত্রীর তালাকের অধিকার মজলিসের সাথে সীমাবদ্ধ থাকবেনা।
বরং স্ত্রী চাইলে পরবর্তীতেও নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করতে পারবে। 

আসলে এখানে আপনার স্বামী নিশ্চিত ভাবে কোনো শব্দটি বলেছে? সেটি নিশ্চিত হোন,আপনি যদি সন্দেহে থাকেন যে আসলেই এগুলো বলেছে কিনা? সেক্ষেত্রে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করুন,সে আসলে কি বলেছিলো? সেও যদি এগুলো বলেছে কিনা,এই মর্মে সন্দিহান হয়,সেক্ষেত্রে আপনি তালাক অধিকার পাবেননা।
আর যদি কোন বাক্য বলেছে,সেই ব্যপারে সন্দিহান হয়,কোনো দিকেই নিশ্চিত না হয়, সেক্ষেত্রে আপনার তালাকের অধিকার মজলিসের সাথে সীমাবদ্ধ থাকবে,এমনটি ধরে নিবেন।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি সাময়িক সময়ের জন্য তালাকের অধিকার পেলেও সেই সময়ের মধ্যে তালাক হবে হওয়ার মতো কোনো বাক্য বলেননি,তাই এতে তালাক হবেনা।

আপনার স্বামীও তালাক প্রদান করেনি,যে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছিলো,এটি তো মিথ্যা স্বীকারোক্তি,এর দরুন তালাক হয়না।

সুতরাং পূর্বের প্রশ্নের সমস্ত বিবরণ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে কোনো তালাক পতিত হয়নি।
আপনাদের ঘর সংসার আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 
নিশ্চিন্ত মনে ঘর সংসার চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...