আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
৭ রমাদানের দিন আমার পিরিয়ড শেষ হয়েছে তারপর ১৭ রমাদান থেকে ইস্তিহাযা শুরু হয়েছে ২২ রমাদান আমার পিরিয়ডের মধ্যবর্তী সময়সীমার ১৫ দিন পূরণ হয়েছে
অনেক কনফিউজড হয়ে গিয়েছি আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করবো রমাদান এজন্য অনেক টেনশন হচ্ছিল দ্বিধা ধন্দে আমি গতকাল এবং আজকে রোজা, নামায, কুরআন পড়েছি আজকে মাগরিবের নামায পর্যন্ত পড়েছি

এমত অবস্থায় আমার কি ৩ দিন ৩ রাত অপেক্ষা করে দেখে তারপর কি ইবাদত কন্টিনিউ করা উচিত?

এরপর যদি দেখা যায় এটা হায়েজ না তাহলে কি এই দুদিন রাখা রোজা কাযা করতে হবে?
আর যদি এটা হায়েজ হয়ে থাকে তাহলে কি আমার রোজা, নামায এবং কুরআন পড়ার কারণ কি গুনাহ হয়েছে? সম্পূর্ণটাই আমি ভুলবশত করে ফেলেছি আল্লাহুম্মাগফিরলি
এখন আমার করণীয় কি হবে?
২/ হায়েজ অবস্থায় কি মোবাইল থেকে কুরআন পড়া যাবে?  এবং যতটুকু হিফয আছে ততটুকু কি পড়া যাবে?
তাড়াতাড়ি উত্তর দিলে অনেক উপকৃত হতাম ইন শা আল্লাহ
আল্লাহ আপনাদের উত্তম জাযা দান করুন।

1 Answer

0 votes
by (685,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
স্রাব বের হওয়ার অবস্থা দেখে এখন আপনার প্রবল ধারনা কি হচ্ছে?
যদি আপনার প্রবল ধারনা হয় যে এভাবে স্রাব নুন্যতম তিন দিন বা তার বেশি আসবেই?
সেক্ষেত্রে আপনি নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে পারেন।

এক্ষেত্রে তিন দিনের কমেই যদি স্রাব আসা বন্ধ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে এই কয়দিনের নামাজ রোযার কাজা আদায় করবেন।

আর যদি আপনার প্রবল ধারনা হয় যে এই স্রাব তিন দিনের কমেই বন্ধ হয়ে যাবে,সেক্ষেত্রে আপনি নামাজ রোযা অব্যাহত রাখবেন।

এক্ষেত্রে যদি স্রাব আসা তিন দিন তিন রাত পূর্ণ হয় বা তার চেয়ে বেশি হয়,সেক্ষেত্রে এ কয়দিন নামাজ রোযা আদায়ের দরুন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।

আর যদি কোনোদিকেই প্রবল ধারনা না হয়,সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক নামাজ রোযা চালিয়ে যাবেন।

যদি স্রাব আসা তিন দিন তিন রাত পূর্ণ হয় বা তার চেয়ে বেশি হয়,সেক্ষেত্রে এ কয়দিন নামাজ রোযা আদায়ের দরুন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।

(০২)
হায়েজ অবস্থায় মোবাইল থেকে কুরআন পড়া যাবেনা।এবং যতটুকু হিফয আছে, ততটুকুও পড়া যাবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَأْتِي الْخَلاَءَ فَيَقْضِي الْحَاجَةَ ثُمَّ يَخْرُجُ فَيَأْكُلُ مَعَنَا الْخُبْزَ وَاللَّحْمَ وَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَلاَ يَحْجُبُهُ - وَرُبَّمَا قَالَ وَلاَ يَحْجُزُهُ - عَنِ الْقُرْآنِ شَىْءٌ إِلاَّ الْجَنَابَةُ .

আবদুল্লাহ ইবনু সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) এর নিকট গেলাম। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানায় গিয়ে তাঁর প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে বের হয়ে এসে আমাদের সাথে রুটি ও গোশত খেতেন, কুরআন তিলাওয়াত করতেন এবং তাঁকে কোন জিনিস এ থেকে বিরত রাখতো না। রাবী কখনো বলতেন, গোসলের প্রয়োজন হয় এরূপ নাপাক অবস্থা ব্যতীত কোন জিনিস তাঁকে কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত রাখতো না।

তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ১৪৬, নাসায়ী ২৬৫-৬৬, আবূ দাঊদ ২২৯, আহমাদ ৬২৮, ৬৪০, ৬৮৮, ৮৪২, ১০১৪, ১১২৬, ইবনু মাজাহ ৫৯৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৪৬০, যঈফ আবূ দাউদ ৩১, ইরওয়াহ ১৯২, ৪৮৫।
   
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...