আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
প্রশ্ন১: সূরা মুমতাহিনা-র ৪নং আয়াতে কি কেনায়া বাক্য রয়েছে? কোনো ব্যাক্তির স্ত্রীর যদি কখনো ঈমান চলে যায় এবং সেই অবস্থায় ঐ ব্যাক্তি উক্ত আয়াত নামাজে বা অন্য সময় নিয়তের সাথে তিলাওয়াত করলে বা শুনলে কি কোনোরুপ তালাক পতিত হবে?

প্রশ্ন২: পবিত্র কুরআনে কোথাও এমন কোনো দুআ বা আয়াতের উল্লেখ আছে কি যেখানে কেনায়া বাক্য সংবলিত আছে? সেক্ষেত্রে নামাজে বা অন্য সময় সেরকম আয়াত তিলাওয়াত করা বা শোনার সময় নিয়ত থাকলে বৈবাহিক সম্পর্কে কি কোনো সমস্যা হবে?

প্রশ্ন৩: সূরা ফাতিহা যেহেতু সমগ্র কুরআনের সারসংক্ষেপ সেহেতু সূরা ফাতিহা পড়লে কি কোনো কেনায়া বাক্য উচ্চারণের সম্ভাবনা রয়েছে? সেক্ষেত্রে নামাজে বা অন্য সময় সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা বা শোনার সময় নিয়ত থাকলে বৈবাহিক সম্পর্কে কি কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (686,800 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

قَدۡ کَانَتۡ لَکُمۡ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ فِیۡۤ اِبۡرٰہِیۡمَ وَ الَّذِیۡنَ مَعَہٗ ۚ اِذۡ قَالُوۡا لِقَوۡمِہِمۡ اِنَّا بُرَءٰٓؤُا مِنۡکُمۡ وَ مِمَّا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ۫ کَفَرۡنَا بِکُمۡ وَ بَدَا بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃُ وَ الۡبَغۡضَآءُ اَبَدًا حَتّٰی تُؤۡمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَحۡدَہٗۤ اِلَّا قَوۡلَ اِبۡرٰہِیۡمَ لِاَبِیۡہِ لَاَسۡتَغۡفِرَنَّ لَکَ وَ مَاۤ اَمۡلِکُ لَکَ مِنَ اللّٰہِ مِنۡ شَیۡءٍ ؕ رَبَّنَا عَلَیۡکَ تَوَکَّلۡنَا وَ اِلَیۡکَ اَنَبۡنَا وَ اِلَیۡکَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۴﴾ 

অবশ্যই তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তার সাথে যারা ছিল তাদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। যখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল, “তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদত কর তা হতে আমরা সম্পৰ্কমুক্ত। আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করি। তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হল শক্ৰতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য; যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহতে ঈমান আন। তবে ব্যতিক্রম তাঁর পিতার প্রতি ইবরাহীমের উক্তিঃ আমি অবশ্যই তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব; আর তোমার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আমি কোন অধিকার রাখি না। ইবরাহীম ও তার অনুসারীগণ বলেছিল, হে আমাদের রব! আমরা আপনারই উপর নির্ভর করেছি, আপনারই অভিমুখী হয়েছি এবং ফিরে যাওয়া তো আপনারই কাছে।
(সুরা মুমতাহিনা ০৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সূরা মুমতাহিনা-র ৪নং আয়াতে কেনায়া বাক্য নেই। কোনো ব্যাক্তির স্ত্রীর যদি কখনো ঈমান চলে যায় এবং সেই অবস্থায় ঐ ব্যাক্তি উক্ত আয়াত নামাজে বা অন্য সময় নিয়তের সাথে তিলাওয়াত করলে বা শুনলে কোনোরুপ তালাক পতিত হবেনা।

(০২)
সামগ্রিক ভাবে পবিত্র কুরআনে কোথাও এমন কোনো দুআ বা আয়াতের উল্লেখ নেই।
তবে কোনো আয়াত কাটছাঁট করে শুধু তালাকের বাক্য বললে তো তালাক হবে।

কুরআনে তো তালাক শব্দ অনেক স্থানেই রয়েছে। 

সেক্ষেত্রে নামাজে বা অন্য সময় সেরকম আয়াত তিলাওয়াত করা বা শোনার সময় নিয়ত থাকলে বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৩)
সূরা ফাতিহা পড়লে কোনো কেনায়া বাক্য উচ্চারণের সম্ভাবনা নেই।
সেক্ষেত্রে নামাজে বা অন্য সময় সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা বা শোনার সময় নিয়ত থাকলে বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
প্রিয় মুফতি সাহেব
জবাবগুলো আরেকটু বুঝার স্বার্থে এই জিজ্ঞাসাটি করছি-

উপরের ১নং, ২নং এবং ৩নং প্রশ্নে বর্ণিত নিয়ত বলতে তালাকের নিয়ত বুঝালে প্রশ্নগুলোতে বর্ণিত ক্ষেত্রে কি কোনো তালাক পতিত হবে?
by (686,800 points)
উপরের ১নং, ২নং এবং ৩নং প্রশ্নে বর্ণিত নিয়ত বলতে তালাকের নিয়ত বুঝালেও প্রশ্নগুলোতে বর্ণিত ক্ষেত্রে  কোনো তালাক পতিত হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...