আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (22 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।

জনৈক স্বামী তার স্ত্রীকে মাঝে মাঝে কিছু কিছু কথা বলার সময় ভেংগায়। মাঝে মাঝে এভাবে বলে,"এহহ,বলছে তোমারে।" এই কথাগুলো ইসলাম/ঈমান সম্পর্কিত, স্বামীর দ্বীনের বুঝ আছে,কিন্তু কোনো বিষয়ে তার মতামতের অন্যদিকে স্ত্রী একটা মতামত নিয়ে বললে যুক্তিতে হেরে যাওয়া বা বিবিধ কারণে এমনটা করে। হুবহু বাক্যগুলো মনে নেই কিন্তু উদাহরণ দিচ্ছি-স্ত্রীকে স্বামী বললো,তুমি তাহলে এই ছুটিতে বান্ধবীর সাথে তোমার আম্মুর বাসায় যাও। আমি তো যেতে পারছি না। স্ত্রী বলল-না,মাহরাম ছাড়া যাওয়া যাবে না। মেয়ে থাকলে হবে না,মাহরাম পুরুষ লাগবে। তখন স্বামী রাগে ভেংগায় এভাবে,"হুমমম,মাহরাম পুরুষ লাগবে।" এটা একটা উদাহরণ। আরও উদাহরণ দেয়া যায়, স্ত্রী বলে,একাজ তো করা যাবে, এটা ইসলাম অনুযায়ী না করাই উত্তম। স্বামী বললো,"থাকুক।" বা,"বলসে তোমারে!?"

 এরকম মাঝে মাঝেই ইসলামের কোনো একটা বিধানের কথা স্ত্রী কথা বলার সময় জুড়ে দেয়,তখন স্বামী এমন করে। এমন না যে,সে ইসলামকে ছোট করতে এমন করে,বা বিধানের সত্যতা জানলে অস্বীকারও করবে না,ঠান্ডা মাথায় থাকলেও হয়তো এমন করবে না। সাময়িক অস্বীকার করে  ভেংচি দিয়ে,কিন্তু দলিল/প্রমাণ দেখালে ঠিকই মানবে,দ্বীনের বুঝ আছে যেহেতু। উনার স্বভাব বা ফিতরাতই মনে হয় এমন। একটু মতের অমিল হলে ভেংগিয়ে কথা বলে,সাথে সাথে। পরে স্ত্রী বুঝায়,এভাবে বলতে হয়না। বা ইসলামিক কোনো বিষয়ে স্ত্রী জ্ঞান দিতে গেলেও এভাবে ভেংগায়। তার কাছে নাকি নিজেকে ছোট লাগে স্ত্রীর কাছ থেকে শিখলে। স্ত্রীর ইলম বেশি,তাই তার খারাপও লাগে ইলম কম। আর নিজে থেকে জানতে চায়,স্ত্রীর থেকে না।স্ত্রীর কথায় সাথে সাথে রিয়েকশন করে জবাব দিতে গিয়েও এভাবে কিছু বলে ফেলে যা ইসলামের বেয়াদবি।
আমি মা লা বুদ্দা মিনহু নামক কিতাবে ঈমান ভংগের,কুফরি কালাম ইত্যাদির মাসয়ালগুলো পড়েছিলাম,তাই সন্দেহ হচ্ছে। এভাবে কি স্বামীর ঈমান ভেংগে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে?কী করার এখন?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ পড়েছি, উক্ত বিবরণমতে স্বামীর ঈমান ভঙ্গ হবে না, এবং বিবাহও ভঙ্গ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (721,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...