আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
১. আজকে অটোরিক্সা করে কোথাও যাচ্ছিলাম। আমাদের গ্রামের এক মুরুব্বি কারো নাম না নিয়ে বলছিলেন - আমি নিজের মতো করে বলছি যতটুকু বুঝেছি" উনি বলছিলে"---

আমরা যখন নামাজের কথা বলি কাউকে তখন কেউ কেউ বলে তুমি কোথাকার এত বড়ো নামাজি এমন কিছু কথা উনি বলছিলেন।  আর অটো ড্রাইভার সাহেব বলছিলেন উনি যখন উনার বন্ধুদের দাওয়াত দেন তখন একই উত্তর দেয় যে কোথাকার নামাজি তারা। যাইহোক এসব শুনে আমি একটু পরে পন্ডিতি করে বললাম কিছু লোকের দুনিয়াও নেই আখিরাত ও নেই। এরাই এই সব লোক। এই কথা বলার পর থেকেই আমার কেমন কেমন ভয় ভয় করছে আমার আমল নষ্ট হয়ে গেছে কিনা?

বা আমি কী যদিও এটা মনে আসে না তবুও জিগ্গেস করছি এই কথার কারনে কী কাফের হয়ে গেলাম।
আর ড্রাইভারের বন্ধুদের কাছে কী ক্ষমা চাইতে হবে?  চাইলেও কার কাছে চাইবো উনি তো কারো নাম নেননি। এক্ষেত্রে করনীয় কী দয়া করে বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ رَجُلَيْنِ كَانَا فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ مُتَحَابَّيْنِ أَحدهمَا مُجْتَهد لِلْعِبَادَةِ وَالْآخَرُ يَقُولُ: مُذْنِبٌ فَجَعَلَ يَقُولُ: أَقْصِرْ عَمَّا أَنْتَ فِيهِ فَيَقُولُ خَلِّنِي وَرَبِّي حَتَّى وَجَدَهُ يَوْمًا عَلَى ذَنْبٍ اسْتَعْظَمَهُ فَقَالَ: أَقْصِرْ فَقَالَ: خَلِّنِي وَرَبِّيَ أَبُعِثْتَ عَلَيَّ رَقِيبًا؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا يَغْفِرُ اللَّهُ لَكَ أَبَدًا وَلَا يُدْخِلُكَ الْجَنَّةَ فَبَعَثَ اللَّهُ إِلَيْهِمَا مَلَكًا فَقَبَضَ أَرْوَاحَهُمَا فَاجْتَمَعَا عِنْدَهُ فَقَالَ لِلْمُذْنِبِ: ادْخُلِ الْجَنَّةَ بِرَحْمَتِي وَقَالَ لِلْآخَرِ: أَتَسْتَطِيعُ أَنْ تَحْظِرَ عَلَى عَبْدِي رَحْمَتِي؟ فَقَالَ: لَا يَا رَبِّ قَالَ: اذْهَبُوا بِهِ إِلَى النَّار . رَوَاهُ أَحْمد
২৩৪৭-[২৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী ইসরাঈলের মধ্যে দু’ ব্যক্তি পরস্পর বন্ধু ছিল। তাদের একজন ছিল বড় ’আবিদ আর অন্যজন ছিল গুনাহগার। ’আবিদ তাকে বলত, তুমি যেসব (গুনাহের) কাজে লিপ্ত আছো তা হতে বিরত থাক। গুনাহগার বলত, আমাকে আমার ’রবের’ কাছে ছেড়ে দাও। পরিশেষে একদিন ’আবিদ গুনাহগার ব্যক্তিকে এমন একটি বড় গুনাহের কাজে লিপ্ত পেলো, যা তার কাছে খুবই গুরুতর বলে মনে হল এবং বলল, বিরত থাকো। সে বলল, আমাকে আমার ’রবের’ কাছে ছেড়ে দাও। তোমাকে কী আমার জন্য পাহারাদার করে পাঠানো হয়েছে? ’আবিদ ব্যক্তি বলল, আল্লাহর কসম! তোমাকে কক্ষনো আল্লাহ ক্ষমা করবেন না এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা তাদের কাছে একজন মালাক (ফেরেশতা) পাঠালেন। সে তাদের উভয়ের রূহ কবয করল। তারা উভয়েই আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হলো। তখন গুনাহগার ব্যক্তিকে আল্লাহ বললেন, আমার রহমতের মাধ্যমে তুমি জান্নাতে প্রবেশ করো। আর ’আবিদ ব্যক্তিকে বললেন, তুমি কি আমাকে আমার বান্দার প্রতি রহম করতে বাধা দিতে পারো? সে বলল, ’না, হে রব’। তখন আল্লাহ বললেন, একে জাহান্নামে প্রবেশ করাও।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৩৪৭ আবূ দাঊদ ৪৯০১, আহমাদ ৮২৯২, শু‘আবূল ঈমান ৬২৬২, ইবনু হিব্বান ৫৭১২, সহীহ আল জামি‘ ৪৪৫৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কারো আমল কম থাকলে, দ্বীনের বুঝ কম থাকলে, তার জন্য দু'আ করা হবে। তবে তাকে নিয়ে বিদ্রুপ আলোচনা করা কখনো পছন্দনীয় নয়। সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। যদি আপনি ক্ষমা চেয়ে নেন,তাহলে আপনার আমল বা ঈমানে কোনো প্রকার ক্ষতির সম্ভাবনা আর অবশিষ্ট থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...