আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
277 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
১. বিয়েতে মেয়েদের ছবি ছেলে পক্ষকে দেবার বিধান কি? কোনো ক্ষেত্রে কি এর বৈধতা আছে? না, সর্বাবস্থায় দেওয়া অনুচিত বা অবৈধ হবে?

২. বাবা ব্যাংকার ছিলেন, সেই অনুপাতে আয় ছিলো হারাম। কিন্তু এখন পেনশনে আছেন। এই পেনশনের টাকায় কেনা খাবার কি উপার্জনে সক্ষম ছেলে খেতে পারবে? বাবার সুদে লোন নিয়ে করা বাড়িতে কি সেই ছেলের জন্য থাকা বৈধ হবে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছা করে নেয়,তাহলে ঐ মহিলাকে দেখতে পারবে।কথা বলতে পারবে।

হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,

(إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ ، فَإِنْ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى مَا يَدْعُوهُ إِلَى نِكَاحِهَا ، فَلْيَفْعَلْ)

যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চায়,তাহলে সে যেন যযথাসম্ভব ঐ মহিলাকে দেখে নেয়।(সুনানু আবি দাউদ-২০৮২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।
(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)

★বিয়ের প্রস্তাব প্রদানের পূর্বে বায়োডাটা প্রেরণ করা যাবে।তবে ছবি প্রেরণ করা যাবে না।বরং পাত্র পক্ষের কোনো এক মহিলা সরাসরি পাত্রীকে দেখে আসবেন।
আর প্রস্তাব দেয়ার পর সরাসরি দেখবে।

তবে ছবি পাঠানো,পাত্রির ছবি দেখা জায়েজ নয়।

বিবাহের জন্য ছবি তোলা কেনো জায়েজ নয়,বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো পিতার উপার্জন যদি পুরাটাই  বা অধিকাংশই হারাম হয়, তাহলে সন্তানের নিজের সামর্থ থাকলে পিতার হারাম উপার্জন ভোগ করা জায়েজ নয়।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার যদি সামর্থ থাকে, বৈধ কোনো উপার্জন যদি আপনি করতে পারেন, তাহলে নিজেই কামাই করে জীবন চালানো আপনার জন্য জরুরী।

বিস্তারিত জানুনঃ 

★ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকে।
যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত  বাবার সুদে লোন নিয়ে করা বাড়িতে ছেলে এবং পরিবারের সকলের জন্য থাকা বৈধ হবে।
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...