আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।

১। যতটুকু জানি ডেলিভারি হওয়ার সময় ওই রুমে এইটা ভিজিয়ে রাখলে মায়ের কষ্ট কম হয় বাচ্চা ডেলিভারি করাতে।
এইটা বলে আমি যদি মরিয়ম ফুল বিক্রি করি তাহলে কি আমার কোন গুনাহ হবে??
২। মরু অঞ্চলের ক্ষণজন্মা উদ্ভিদ মরিয়ম ফুল। মধ্যপ্রাচ্য ও সাব-সাহারার বিস্তীর্ণ মরুময় অঞ্চলে বছরের পর বছর শুকনো গাছ মাটি আঁকড়ে থাকে। মরুভূমির অসহনীয় গরমের মধ্যে থাকা শুকনো এই গাছ এবং নির্জীব পাথরের মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। কখনও বৃষ্টির পরশ পেলে জীবন ফিরে পায় এবং এর বংশ বিস্তার ঘটে। এই গাছের ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, দস্তা এবং লোহা। বিশেষত, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম একসঙ্গে পেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। এর কোন নেতিবাচক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। প্রসবকালীন সময় এই ফুল বিশেষ প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করতে হয়। এতে প্রসূতি মায়ের প্রসব বেদনা লাঘব হয় এবং দ্রুত ও সহজে ডেলিভারী সম্পন্ন হয় বলে কথিত আছে । সুতরাং ঔষধি গাছ হিসাবে চিকিৎসার জন্য এই ফুল থেকে উপকার গ্রহণ করা যাবে।

যেহেতু এই গাছের ফুলে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, দস্তা ও লোহা। বিশেষত, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম একসঙ্গে পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ঔষধি গাছ হিসেবে চিকিৎসার জন্য এই ফুল থেকে উপকৃত হতে বাধা নেই।

এই কথা গুলো বলে বিক্রি  করলে কি কোন গুনাহ হবে ওস্তাদ???  টাকা কি হালাল হবে.??

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


মরিয়ম ফুলের ফজিলত সংক্রান্ত কোনো হাদীস নেই।
এর কোনো ফজিলত হাদীসে আছে বলে দাবী করা মিথ্যার শামিল।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، ح وحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْمَعْنَى، عَنْ بَيَانِ بْنِ بِشْرٍ، قَالَ: مُسَدَّدٌ أَبُو بِشْرٍ: عَنْ وَبَرَةُ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قُلْتُ لِلزُّبَيْرِ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُحَدِّثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا يُحَدِّثُ عَنْهُ أَصْحَابُهُ، فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ لِي مِنْهُ وَجْهٌ وَمَنْزِلَةٌ، وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ: مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ صحيح

আব্দুল্লাহ ইবনুস যুবায়র (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি যুবায়র (রাঃ)-কে বললাম, আপনি অন্যান্য সাহাবীদের মতো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস বর্ণনা করেন না কেন? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তাঁর নৈকট্য লাভ করেছি, তাঁর সাহচর্যে থেকেছি। কিন্তু আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করলো, সে (জাহান্নামের) আগুনে তার বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নিলো।
(আবু দাউদ ৩৬৫১,বুখারী)
,
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّكُمْ مَنْصُورُونَ وَمُصِيبُونَ وَمَفْتُوحٌ لَكُمْ فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَلْيَتَّقِ اللَّهَ وَلْيَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَلْيَنْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ  তোমরা অবশ্যই সাহায্যপ্রাপ্ত হবে, বিপদগ্ৰস্তও হবে এবং তোমাদের মাধ্যমে অনেক জায়গা বিজিতও হবে। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি সেই যুগ পায় তাহলে সে যেন আল্লাহ্ তা'আলাকে ভয় করে এবং সৎকাজের আদেশ দেয় ও অসৎ কাজে বাধা প্রদান করে। আর যে লোক ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার উপর মিথ্যারোপ করে সে যেন জাহান্নামেই তার থাকার জায়গা তৈরী করে নেয়।

(সহীহ, তিরমিজি ২২৫৭ সহীহাহ (১৩৮৩), দেখুন হাদীস নং (২৮০৯)।)

আবূ ঈসা রহঃ বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
https://ifatwa.info/12656/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
একটি পদ্বতি হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী (রহ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি গর্ভপাত আসন্ন নারীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, সাড়ে দশ মাশা (প্রায় ১০গ্রাম) পরিমান গোলাপ ফুলের পাঁপড়ি ১২৫ গ্রাম পরিমান পানিতে ভিজিয়ে রেখে, ছাকার প্রয়োজন না হয় এমন ভাবে পিশে তার সঙ্গে মিসরি বা মিষ্টি জাতীয় কিছু মিশিয়ে সকালে শ্বাস বন্দ করে পান করালে গর্ভবতী নারীর দুই তিন গুন শক্তি বৃদ্বি পায়, ফলে সহজে ডেলিভারি হয়। (বেহেস্তি যেওর খন্ড: ৯, পৃষ্ঠা: ৫৪)।
,
আশা করা যায়, উক্ত পদ্বতি অবলম্বন করলে আল্লাহ তায়ালা গর্ভপাত সহজ করবেন ইনশাআল্লাহ! কারণ তিনি প্রত্যেক জিনিসকে বিভিন্ন গুন দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। যা বর্ণনা করার অপেক্ষা রাখে না।
,
বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে জানা যায় যে,   মরু অঞ্চলের ক্ষণজন্মা উদ্ভিদ মরিয়ম ফুল। মধ্যপ্রাচ্য ও সাব-সাহারার বিস্তীর্ণ মরুময় অঞ্চলে বছরের পর বছর শুকনো গাছ মাটি আঁকড়ে থাকে। মরুভূমির অসহনীয় গরমের মধ্যে থাকা শুকনো এই গাছ এবং নির্জীব পাথরের মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। কখনও বৃষ্টির পরশ পেলে জীবন ফিরে পায় এবং এর বংশ বিস্তার ঘটে। এই গাছের ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, দস্তা এবং লোহা। বিশেষত, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম একসঙ্গে পেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। এর কোন নেতিবাচক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। প্রসবকালীন সময় এই ফুল বিশেষ প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করতে হয়। এতে প্রসূতি মায়ের প্রসব বেদনা লাঘব হয় এবং দ্রুত ও সহজে ডেলিভারী সম্পন্ন হয় বলে কথিত আছে । সুতরাং ঔষধি গাছ হিসাবে চিকিৎসার জন্য এই ফুল থেকে উপকার গ্রহণ করা যাবে।
.
যেহেতু এই গাছের ফুলে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, দস্তা ও লোহা। বিশেষত, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম একসঙ্গে পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ঔষধি গাছ হিসেবে চিকিৎসার জন্য এই ফুল থেকে উপকৃত হতে বাধা নেই।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।
তবে বিষয়টি কোনো এক হাকিমের কথা,সেটি বলে দিবেন।

(০২)
এই কথা গুলো বলে বিক্রি  করলে কোন গুনাহ হবেনা। টাকা হালাল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...