আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. হজ্জ্বের সময় যে পশু কুরবানী করা হয় তাতে কি ওয়াজিব কুরবানী আদায় হয়ে যায়? নাকি দেশে আলাদা করে কুরবানির ব্যবস্থা করা জরুরী?
২. হজ্জ্বের খরচ বাবদ সমস্ত জমা টাকা দেওয়া হয়ে গেছে, এখন সম্পদ বলতে দেড়-দুই ভরি স্বর্ণ আর কয়েক হাজার টাকা। কুরবানী কি ওয়াজিব?
৩. এক ব্যক্তি হজ্জ্বের রেজিস্ট্রেসনের আগে তাঁর সমস্ত জমা টাকা রেডি করলেন হজ্জ্বের খরচের জন্য। কিন্তু রেজিস্ট্রেসনের পর দেখা গেলো এবার হজ্জ্বের খরচ আরো বেড়েছে, আরো টাকা লাগবে, কিন্তু উনার হাতে অত টাকা বাড়তি নাই। এক্ষেত্রে কি তিনি বাড়তি টাকাগুলো ঋণ করে হজ্জ্ব করতে পারবেন? এভাবে ঋণ করে হজ্জ্ব করা কি জায়েজ?

৪. রাসুলের শানে কেউ বই লিখে, তারপর সেই বই এর নাম যদি রাখা হয় "সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম", এতে কি কোন নিষেধাজ্ঞা আছে?

৫. এক মহিলা নিজের গরুর দুধ বিক্রি করেন বাড়ি বাড়ি যেয়ে। উনি উনার গরুকে যে ঘাস খাওয়ান, তা যদি উনার নিজের জায়গার ঘাস না হয়, এবং যাদের জমির ঘাস গরু খাচ্ছে, সেই জমির মালিকের অনুমতি আছে কি না সে ব্যপারে যদি ক্রেতার কোন ধারণা না থাকে, তবে কি সেই দুধ ক্রয় করা এবং খাওয়া ক্রেতার জন্য জায়েজ হবে? ক্রেতার জন্য কি এটা আবশ্যক যে সে গরুর ঘাস এর জায়েজ নাজায়েজ এর বিষয়ে খোঁজ না করে দুধ কিনতে পারবে না??


উত্তর দিয়ে উপকৃত করবেন।

জাযাকুমুল্লাহ খাইরান।
by (31 points)
৬. সৌদি সরকার হাজিদের সাথে ৫ লিটার পানি আনার জন্য যে টাকা নেয়, তার বাইরে আরো পানি আনতে চাইলে হাজিদেরকে ছোট বোতল কিনতে আনতে হয়। কিন্তু কেউ যদি চায় যে সে তার ব্যক্তিগত ব্যবহারের দুই তিনটা বোতলে যমযমের পানি ভরে লাগেজে করে দেশে নিয়ে আসবে, তবে কি সেটা নাজায়েজ হবে?

যমযমের পানি তো মানুষের জন্যে আল্লাহর নিয়ামত, যে যত পারে নিবে, এর উপরে এভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা কি  সরকার কর্তৃপক্ষের জন্য জায়েজ?
by (678,880 points)
(০৬)
এটি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অনুমোদিত না হলে বৈধ হবেনা।
কেননা বৈধ ক্ষেত্রে সরকারের আইন মানা ওয়াজিব।

তবে এভাবে পানি নিয়ে আসলে সেক্ষেত্রে তাহা পান করা হারাম হবেনা।
হালালই থাকবে।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
https://ifatwa.info/46511/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ  রয়েছে,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

কুরবানির দিনগুলো অর্থাৎ যিলহজ্বের ১০, ১১ ও ১২ এই ৩ দিন পুরো সময় কেউ যদি মুসাফির অবস্থায় থাকে, তাহলে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব নয়।
(বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৯)

فى الدر المختار: (عَلَى حُرٍّ مُسْلِمٍ مُقِيمٍ) بِمِصْرٍ أَوْ قَرْيَةٍ أَوْ بَادِيَةٍ عَيْنِيٌّ، فَلَا تَجِبُ عَلَى حَاجٍّ مُسَافِرٍ؛ فَأَمَّا أَهْلُ مَكَّةَ فَتَلْزَمُهُمْ وَإِنْ حَجُّوا،
সারমর্মঃ
আযাদ,মুসলমান, মুকিমের উপর কুরবানী ওয়াজিব
হজ রত মুসাফিরের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়,তবে যারা মক্কা বাসী,তাদের উপর কুরবানি ওয়াজিব।     

তবে একটি মাসয়ালাঃ-
যে সকল হাজী মক্কা,মিনা ও মুযদালেফা মিলে কুরবানীর সময় ১৫ দিন থাকবে তারা মুকীম। নেসাবের মালিক হলে হজ্বের কুরবানী ব্যতীত তাদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানীও ওয়াজিব। আর যারা মুসাফির থাকবেন তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। (ফাতাওয়া হিন্দীয়া ৫/২৯৩)

হজ্বে তামাত্তু/কেরানকারীর উপর দমে শোকর আবশ্যক হয়। যেটি কুরবানীর দিনসমূহে আদায় করতে হয়। সেই সাথে তার উপর যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, আর তিনি মুকীম হন, তাহলে তার উপর ঈদুল আযহার কুরবানীও আবশ্যক হবে।
,
তাই তার উপর দু’টি কুরবানী করা আবশ্যক হবে।

স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ থেকে যারা গমণ করে থাকেন, তারা হজ্বে তামাত্তু/কেরানেরই নিয়ত করে থাকেন, পনের দিনের বেশি অবশ্যই মক্কায় বসবাস করে থাকেন, অর্থাৎ তারা মুকীম হয়ে যান। 

তার উপর দু’টি কুরবানী করা আবশ্যক। একটি হজ্বের তামাত্তু/কেরান এর দমে শোকর। আরেকটি হল, কুরবানী।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাংলাদেশী হাজী সাহেবগন যেহেতু তামাত্তু'/কেরান আদায় করে থাকে,এক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি পনের দিনের বেশি অবশ্যই মক্কায় বসবাস করে থাকে,সেক্ষেত্রে তার উপর দু’টি কুরবানী করা আবশ্যক।
২টিই মক্কায় আদায় করতে পারে,অথবা একটি মক্কায়, আরেকটি দেশে ব্যবস্থা করবে। 

(০২)
এই টাকা যদি তার দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত হয়,আর যদি পনের দিনের বেশি অবশ্যই মক্কায় বসবাস করে থাকে,সেক্ষেত্রে তার উপর কুরবানী করা আবশ্যক।

(০৩)
এক্ষেত্রে তিনি বাড়তি টাকাগুলো ঋণ করে হজ্জ্ব করতে পারবেন। এভাবে ঋণ করে হজ্জ্ব করা  জায়েজ।

(০৪)
এতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।

(০৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই দুধ ক্রয় করা এবং খাওয়া ক্রেতার জন্য জায়েজ হবে।
ক্রেতার জন্য এটা আবশ্যক নয় যে সে গরুর ঘাস এর জায়েজ নাজায়েজ এর বিষয়ে খোঁজ করবে।

বরং খোঁজ না করেও সে দুধ কিনতে পারবে।
সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...