আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
১/তালাক সন্দেহে স্বামীকে নতুন করে বিয়ের কথা বলেলে করবে না,তাই স্ত্রী বললো কাজি কি বলছে শুনি নি আমি ঠিক করে,তবে আমি নিশ্চিত বিয়ে হইছে।তাও যেহেতু আমি ওয়াসওয়াসার রুগি মন শান্ত করার জন্য তোমাকে আবার নতুন করে বিয়ে করতে চাই।
এসব কথা দ্বারা কি সমস্যা হবে?বললো যে কাজীর কিছু শুনে নি,আসলে তো তা মিথ্যা ছিলো।
২/ কাল সারা সন্ধ্যা এসব তালাক সন্দেহে অনেক কেঁদেছে স্ত্রী।শুধু সন্দেহ হয়।পরে ঘুমালো, ভোরের দিকে সারাক্ষন ঘুমের মাঝে উল্টাপাল্টা দেখলাম এসব তালাক নিয়ে।যেহেতু তাকে তালাকের  অধিকার দেওয়া হয়েছে তাই আরও বেশি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়ে গেছে।
আর ভোরে ঘুমে তালাক নিয়া দেখলো অনেক কিছু।

গভীর ঘুমে ছিলো মেবি প্রথমদিকে বাট পরে ঘুমের ঘোরে ছিলো।
এখন ঘুমের ঘোরে যদি স্ত্রী তালাক নিয়ে থাকে তাহলে কি তালাক হবে?
৪/ ঘুমটা কি সবসময় গভীর হতেই হবে?কখনও কখনও তো আমা চোখ টেনে খুলতে পারি না ঘুমের জন্য।আবার আশেপাশের জিনিস শুনি।ঐ অবস্থায় কেউ তালাক দিলে কি তালাক হবে?

৫/ পুরোপুরি সজাগ না পুরোপুরি ঘুমও না এ অবস্থায় কি তালাক হয়?

৬/ ঘুমের ঘুরের মাঝে ঠোঁট খুলে উচ্চারন করে তালাক দিয়ে যদি আবার গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় তাহলে কি তালাক হবে?

৭/স্ত্রীর তালাক সন্দেহ নিয়া স্বামী মান-অভিমান করলো রাত্রে।পরে তারা ঘুমায়া গেলো।স্ত্রী কষ্ট পাচ্ছে এটা তার নিজের অন্যায় ভেবেই।
এরপর ঘুমের মাঝে সে তালাক নেওয়ার ব্যাপারে উল্টাপাল্টা দেখলো।সে শিউর না তখন ঘুমের গভীরতা কেমন ছিলো।বাট মুখ নাড়িয়ে বলেছে।এতে কি তালাক হবে?(তার তালাকের অধিকার আছে শর্ত হলো,পুরুষত্বহীন,নিরুদ্দেশ,শারিরিক মানসিক নির্যাতান,বনিবনা না হলে)
এখন স্ত্রী যদি তালাক দিয়েও থাকে সজাগ থাকা অবস্থায় তাহলে কি তালাক হবে?যেহেতু তারা ঘুমাবার আগে মান-অভিমান করে ঘুমিয়েছে।আর স্ত্রী মনে করে এটা তার নিজের দোষ,স্বামীর না।

৮/স্ত্রী আরও ঝগড়া হলেও তো তালাক দিতে পারবে না যদি না কাবিননামার শর্ত পাওয়া যায় তাই না?
৯/ এই যে স্ত্রীর সন্দেহ হচ্ছ,ঘুমের মাঝে সে তালাক নেওয়ার ব্যাপারে কি বললো না বললো শিউর না।তবে উচ্চারন করেছে ঠোঁট নাড়িয়ে,এটা স্পষ্ট মনে আছে।বাট আসলে কি বলেছে মনে নাই।আবার মনে হচ্ছে সে বলছে মেয়েরা তালাক দিলে হয় না গ্রহন করতে হয় এমন কথা বলেছে।
আবার মনে হচ্ছে নিজে কি নিয়ে নিলো নাকি।
এমন সন্দেহের সমাধান কি?সন্দেহ কি পুরোপুরি ছেড়ে দিবো?

1 Answer

0 votes
by (684,040 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এসব কথা দ্বারা সমস্যা হবেনা।

(০২)
https://ifatwa.info/63840/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ঘুমন্ত ব্যাক্তির তালাক কার্যকর হয়না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَبْلُغَ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يعقل

‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি (কিয়ামত দিবসে) দায়-দায়িত্বমুক্ত। ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে না ওঠা পর্যন্ত, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালেগ না হওয়া পর্যন্ত এবং নির্বোধ ব্যক্তি (বুদ্ধি-বিবেচনার) জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত।
(সহীহ : তিরমিযী ১৪২৩, আবূ দাঊদ ৪৪০৩।)

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا, عَنْ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ, وَعَنِ الصَّغِيرِ حَتَّى يَكْبُرَ, وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ, أَوْ يَفِيقَ».

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছেঃ ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়।

(আবূ দাউদ ৪৩৯৮, নাসায়ী ৩৪৩২, ইবনু মাজাহ ২০৪১, আহমাদ ২৪১৭৩, ২৪১৮২, দারেমী ২২৯৬।)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(৪.৫.৬.৭)
প্রশ্নের বিবরণ উপরোক্ত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।

(০৮)
এট সঠিক।

(০৯)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
সন্দেহ পুরোপুরি ছেড়ে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...