আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,
কেউ একজন ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন শুধুমাত্র এক শাসকের সমালোচনা করার জন্য, হয়তো উদ্দেশ্য থাকে মানুষের কাছে সত্য উন্মোচন করা। কিন্তু সমালোচনার মধ্যে শাসককে নিয়ে ঠাট্টা মশকরা, অনবরত দোষগুলো কটু ও নেতিবাচক ভাষায় সমালোচনা করতে থাকে(শাসক জালেম তাই দোষ মনে করেনা এমন দৃষ্টিভঙ্গি)।  ফতোয়াতেই জেনেছি শাসকের দোষের সমালোচনা করা যেতে পারে যদি সেটা প্রকাশ্যে হয়।
প্রশ্ন ১ঃ অনবরত এভাবে সমালোচনা কি জায়েজ আছে?
প্রশ্ন ২ঃ নিয়মিত এই ধরণের সমালোচনা শুনা জায়েজ আছে? হোক সেটা এনালাইসিস বা ব্যক্তিগত কারণে।
প্রশ্ন ৩ঃ বিষয়টা থেকে কিভাবে কাউকে ফেরানো যায় বা বুঝিয়ে বলা যায় হিকমাহের সাথে(প্রসঙ্গ ২ নং প্রশ্ন)

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
কোনো মুসলমানের অগোচরে তার এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা, যা শুনলে সে তা অপছন্দ করবে।এটা গীবত। গীবতের ব্যখ্যা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1715


হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ). 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2114

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো শাসক যদি প্রকাশ্যে ফিসক ও গোনাহের মধ্যে লিপ্ত থাকে, তাহলে ঐ শাসকের সমালোচনা করা যাবে।তবে শাসক পর্যায়ের কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রুশের দরুণ বা রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার নিয়তে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা যাবে না।এটা সর্বদাই অনুচিৎ ও নীতি বহির্ভূত কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।যার অনুমোদন শরীয়তে নাই।

(১) ইউটিউব চ্যানেলে খুলে রাজনৈতিক বা এডসেন্সের জন্য অনবরত কারো সমালোচনা করা জায়েয হবে না।বাড়ানে কমারো ব্যতিত শুধুমাত্র বাস্তব চিত্র তুলে ধরা যেতে পারে।

(২)নিয়মিত এই ধরণের সমালোচনা শুনা জায়েয হবে না। হোক সেটা এনালাইসিস বা ব্যক্তিগত কারণে।

(৩) হিকমাহর সাথে দুনিয়া ও আখেরাত লাভক্ষতি দেখিয়ে, কাউকে ফিরানোর চেষ্টা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...