আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমি টেলিগ্রাম ব্যবহার করি। এর মধ্যে সব ইসলামিক কোর্স দ্বীনি কমিউনিটি ইত্যাদি সব আছে

আমার বাসায় বাবা-মা কে এই ব্যাপারে জানাইনি।

আব্বু আগেই বলে দিয়েছিল ভর্তি পরীক্ষার ভালো কোথাও চান্স পেলে সব করতে দিবে।

কিন্তু দ্বীনি সোহবতে থাকা খুব জরুরি। মাঝে সব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল।আমার অফলাইনে দ্বীনি সার্কেলে থাকা সম্ভব নয়।পরিবারেও কেউ সাপর্টিভ নয়।

আমার টেলিগ্রামে বেশিরভাগ কোর্স,হালাকা রয়েছে।আজ ফোন ব্যবহার করার সময় আম্মু এসে পরে তাই ফোন লুকিয়ে রাখি।কিন্তু আম্মু দেখে ফেলে আর আমি মিথ্যা কথা বলি যে আমি পড়ালেখার কাজ করছি। কারণ আম্মু আমাকে ওয়ার্নিং দিয়েছিল যাতে এমন কিছু না দেখে (ইসলামিক ধরণের কোর্স ইত্যাদি)

এখন আমার করণীয় কি?  মিথ্যা বলার জন্য কি কাফফারা দিতে হবে?

আমার কি গুণাহ হয়েছে?

জাযাকাল্লাহু খইরন উস্তাদ

1 Answer

0 votes
by (717,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)

ইমাম বাগাবী রাহ লিখেন,
" ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺍﻟﺨﻄﺎﺑﻲ : ﻫﺬﻩ ﺃﻣﻮﺭ ﻗﺪ ﻳﻀﻄﺮ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻓﻴﻬﺎ ﺇﻟﻰ ﺯﻳﺎﺩﺓ ﺍﻟﻘﻮﻝ ، ﻭﻣﺠﺎﻭﺯﺓ ﺍﻟﺼﺪﻕ ﻃﻠﺒﺎً ﻟﻠﺴﻼﻣﺔ ﻭﺭﻓﻌﺎً ﻟﻠﻀﺮﺭ ،ﻭﻗﺪ ﺭﺧﺺ ﻓﻲ ﺑﻌﺾ ﺍﻷﺣﻮﺍﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻴﺴﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻔﺴﺎﺩ ، ﻟﻤﺎ ﻳﺆﻣﻞ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻼﺡ ، 
আবু সুলাইমান খাত্তাবী রাহ বলেছেনঃ
কিছু বিষয় এমন রয়েছে যেথায় অনেক সময়
ক্ষতি দূরকরণার্তে ও সুষ্ঠ সমাধান তলব করতে
মানুষ কিছু বাড়িয়ে ও সত্য-মিত্যার সংমিশ্রণে কথা বলতে বাধ্য হয়, ।এমন পরিস্থিতিতে ইসলাহের আশা কিছু বিষয়ে সামান্য বেশকম করে মিথ্যা বলা জায়েয আছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/466

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো নারী যদি বেদিন পরিবারে থেকে লুকিয়ে দীন পালন করে। এমন অবস্থায় যদি পরিবারের কাছে ধরা পড়ে যায় আর বিপদ থেকে বাচার জন্য যদি মিথ্যা কথা বলে তাহলে তার গুনাহ হবে না।কাফফারা আসবে না। কেননা না বললে তাকে দীন পালন করতে দিবে না। তবে সাধারণত মিথ্যা বলাতে না গিয়ে এমন ভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে বলতে হবে যে, মা খুশি থাকেন এবং দ্বীন শিক্ষাও হয়ে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 61 views
...