আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (9 points)
প্রিয় শায়েখ,
আসসালামু আলাইকুম
আমি এই বছর শেষ মুহুর্তে হজ্জ এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছি।
আমার স্যালারী একাউন্ট এ বেতন এর টাকা জমা ছিল। কোন ডিপজিট স্কিম নেই নি, বেতন পাই, পরে থাকে একাউন্ট এ।
কিন্তু এখন বের করলাম, যে বেতনের মধ্যে অই একাউন্ট এ খুব সামান্য ইন্টারেস্ট যোগ হয়ে গেছে।
উদাহরন সরুপ, গত কয়েক বছরে আমার ১০ লাখ টাকা জমছে, ইন্টারেস্ট হয়েছে আনুমানিক (আমি গুন্তে পারি নি গত তিন বছরের ইন্টারেস্ট) ২৫০০০ - ৩০০০০।
১। আমি খুব পেরেশানির মধ্যে আছি, যেহেতু হজের পুর্ব শর্ত হচ্চে, হালাল অর্থ হতে হবে, তাহলে কি আমার সব টাকাই ত্রুটিযুক্ত হয়ে গেল।
খুব মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছি। কি করতে পারি বিস্তারিত বলবেন দয়া করে।
২। আমার হজ্জের কিছু বাকি টাকা কাল্ক/পরশু দিব, আড়াই লাখ টাকা,
এখন কারো কাছে করজে হাসানা ও পাচ্ছি না।
একজন বিধর্মির কাছে চাইছিলাম, উনি বলেছে আমাকে ২ মাস এর জন্য দিবে, যা আমি আসলে ২ মাস পরে ম্যানেজ করে দিতে পারবো।
বিধর্মি এর কাছ থেকে কি টাকা নেয়া জাবে?
৩। আমি এটা ও জানি যে, জুন মাস শেষে আমি, জায়গা বিক্ক্রির টাকা পাব, যা আনুমানিক ৮ লাখ। হজ্জের খরচ কাভার করে।
প্লীজ বিস্তারিত বলবেন।

1 Answer

+1 vote
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হারাম টাকায় হজ্জ করলে তাহা কবুল হয়না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا خَرَجَ الرَّجُلُ حَاجًّا بِنَفَقَةٍ طَيِّبَةٍ، وَوَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ، فَنَادَى: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، نَادَاهُ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ: لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، زَادُكَ حَلَالٌ، وَرَاحِلَتُكَ حَلَالٌ، وَحَجُّكُ مَبْرُورٌ غَيْرُ مَأْزُورٍ، وَإِذَا خَرَجَ بِالنَّفَقَةِ الْخَبِيثَةِ، فَوَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ، فَنَادَى: لَبَّيْكَ، نَادَاهُ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ: لَا لَبَّيْكَ وَلَا سَعْدَيْكَ، زَادُكَ حَرَامٌ وَنَفَقَتُكَ حَرَامٌ، وَحَجُّكَ غَيْرُ مَبْرُورٍ»

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন কোন ব্যক্তি হালাল সম্পদ নিয়ে হজ্জ করতে বের হয়। বাহনে পা রাখে। উচ্চারণ করে: লাব্বাইক! আল্লাহুম্মা লাব্বাইক! তখন আসমান থেকে ঘোষক ঘোষণা দেয়: লাব্বাইক ওয়া সা’দাইক তথা তোমার কল্যাণ হোক। তোমার আসবাব হালাল। তোমার বাহন হালাল। আর তোমার হজ্ব মকবুল।

আর যদি হারাম সম্পদ নিয়ে হজ্বে বের হয়। বাহনে পা রাখে। আর মুখে বলে: লাব্বাইক! তখন আসমান থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা দেয়: লা লাব্বাইক ওয়া লা সা’দাইক তথা তোমার লাব্বাইক মকবুল নয়। তোমার আসবাব হারাম। তোমার ভরণপোষণের ব্যয় হারাম। তোমার হজ্বও মকবুল নয়। [মু’জামে আওসাত, হাদীস নং-৫২২৮]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে স্যালারী একাউন্ট এ বেতন বাবদ তথা 
মূলধন যতটুকু জমানো হয়েছে। সেই মূল টাকা দিয়ে হজ্ব করতে কোন সমস্যা নেই।

এক্ষেত্রে যত টাকা সূদ হয়েছে,সেই টাকা উত্তোলন করে গরিব মিসকিনকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবেন। 
আর আপনার মূলধন উত্তোলন করে হজ্জ করবেন,সমস্যা হবেনা।


(০২)
হ্যাঁ, বিধর্মীর কাছ থেকে টাকা নেয়া যাবে।

(০৩)
আপনি এই জায়গা বিক্রির টাকা দিয়েও হজ্জ করতে পারেন, চাইলে জায়গা বিক্রয় না করে আপনার একাউন্টে জমানো সূদের অংশ বাদ দিয়ে মূলধন দিয়েও হজ্জ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...