আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)

(এই মাসয়ালাটি মেয়েরা পড়লে কুবুদ্ধি শিখতে পারবে, তাই মুফতি সাহেবের নিকট অনুরোধ - এটি যেন আমি ছাড়া কেউ পড়তে/দেখতে না পারে- সেই ব্যবস্থা করতে)

 

স্ত্রী নিচে লেখা বাক্যগুলো স্বামীকে দিয়ে পাঠ করিয়েছে এবং ভিডিও রেকর্ড করেছে

আল্লার কসম করে আমি মন থেকে বলতেছি, লিখাগুলো মন থেকে পড়ব- 
আমি তোমাকে বিয়ে করার পর - সালমা বিনতে ছিদ্দিকুর রহমানকে 
#আমি জীবনে কোনোদিন ১,২,৩, বা একসাথে তিন তালাক দিবনা, যদি এমনটি করি, আমি জীবনে চার মাযহাবের যত শরীয়তী মাসয়ালা আছে সে মাসালা মতে ১মেয়েকে বারবার বিয়ে করি বা একাধিক মেয়েকে একাধিক বিয়ে করি, যতগুলো বিয়ে যতবার করি সব ১,২,৩ তালাক বা একসাথে তিন তালাক


#আমি যাহেরী বাতেনী ভাবে যে কোনো হেকমত সিস্টেম অবলম্বন করে তোমাকে মারবনা, এবং তুমি চলে যাও বা গার্জিয়ান নিয়ে যায়- এমন কোনো ধরনের জাহেরী বাতেনী হেকমত অবলম্বন করবনা, যদি এসব করি, তাহলে আমি শরীয়তের চার মাযহাব মতে ১টা মেয়েকে বারবার বিয়ে করি বা একাধিক মেয়েকে একাধিক বিয়ে করি সব ১,২,৩,তালাক বা এক সাথে তিন তালাক,

#আমি তোমাকে নিয়ে যে কোনো ক্ষতির সিস্টেম অবলম্বন করবনা,যদি লিখিত এসব করি,তাহলে আমি শরয়ী চার মাযহাব মতে যতো বিয়ে করব বা একটাকে বারবার করব সব তিন তালাক, বা একসাথে তিন তালাক

 

স্বামী এই লেখাগুলো পড়েছে।

 

এখন যদি স্বামী স্ত্রীকে একদিনও একবারও রাগ করে মারে (প্রহার করে) বা তালাক দেয় বা অন্য কোনো কিছু করে যা সে করবে না বলেছিল- তাহলে কি ভবিষ্যতে বিয়ে করলে বিয়ের সাথে সাথেই অটোমেটিক তালাক হয়ে যাবে? 

যদি প্রতিবার অটোমেটিক তালাক হয়, তাহলে এটা থেকে বাঁচার উপায় কী? 

নাকি স্ত্রীর এই কাজ/পদ্ধতি কার্যকরই হবে না?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


মুয়াল্লাক তালাক দেওয়ার পদ্ধতি হলো কেহ যদি এমন বলে যে আমি যাকেই বিবাহ করবো,সেই তালাক,বা এমন বলে যে  আমি যদি অমুক মহিলাকে বিবাহ করি,তাহলে সে তালাক,বা এমন বলে যে আমি যখনই বিবাহ করিবো,তখনই তালাক ইত্যাদি। 
,
উক্ত শব্দ না বলে এমনিতেই কোনো অবিবাহিত পুরুষ  কোনো মেয়েকে বলে  যে আমি তোমাকে মুয়াল্লাক তালাক দিলাম তাহলে তালাক হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ الشَّعْبِیِّ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ قَالَ لامْرَأَتهِ: کُلُّ امْرَأَةٍ أَتَزَوَّجُهَا عَلَیْک فَهَیَ طَالِقٌ، قَالَ: فَکُلُّ امْرَأَةٍ یَتَزَوَّجُهَا عَلَیْهَا، فَهِیَ طَالِقٌ.
ابن أبي شیبة، المصنف، 4: 65، رقم: 17838، الریاض: مکتبة الرشد
সারমর্মঃ
শা'বি রহঃ থেকে বর্ণিত,তার নিকটে এক ব্যাক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, যে তার স্ত্রীকে বলেছে যে আমি যেই মহিলাকেই তোমার উপরে বিবাহ করবো,সে তালাক।
ইমাম শা'বী রহঃ বলেন,তাহলে যেই মহিলাকেই সেই তার স্ত্রীর উপরে (স্ত্রী থাকা অবস্থায়) বিবাহ করবে,তার উপরেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।     
(মুছান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৪ঃ৬৫ হাদীস নং ১৭৮৩৮।)

★এক্ষেত্রে বিবাহের একটি পদ্ধতি আছে,তাহা হলোঃ-

“আপনার কোন পরিচিত জন আপনাকে না জানিয়ে আপনার পক্ষ থেকে দুইজন স্বাক্ষ্যির সামনে কনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। উক্ত মহিলা সেই বিয়ে কবুল করে নিবে। প্রস্তাবকারী আপনার কাছে এসে বলবে যে, “আমি তোমার বিয়ে ওমুক মেয়ের সাথে এত টাকা মোহরের বিনিময়ে দিয়ে দিলাম, সুতরাং তুমি মোহর হিসেবে কিছু টাকা/গহনা দাও”। 

তারপর আপনি কোন কথা না বলে কমপক্ষে দু’জন স্বাক্ষীর সামনে চুপচাপ মোহর বাবত কিছু টাকা/গহনা দিয়ে দিবেন। তখন উক্ত মোহর বাবত প্রাপ্ত টাকা/গহনা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর কাছে পৌঁছিয়ে বলবে যে, এটা তোমার স্বামী মোহর বাবত দিয়েছে। এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

তখন আর পূর্বোক্ত কথার দরূন কোন তালাক পতিত হবে না।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
স্ত্রীর এই কাজ/পদ্ধতি কার্যকর হবে,তবে প্রশ্নে উল্লেখিত লেখা স্বামী পড়েছে ঠিকই,তবে সে তো উক্ত বাক্য জেনে বুঝে মুখে উচ্চারণ করেনি।

তাই এক্ষেত্রে এখন যদি স্বামী স্ত্রীকে একদিনও একবারও রাগ করে মারে (প্রহার করে) বা তালাক দেয় বা অন্য কোনো কিছু করে যা সে করবে না বলেছিল- তাহলে ভবিষ্যতে বিয়ে করলে বিয়ের সাথে সাথেই অটোমেটিক তালাক হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...