আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in ওয়াসওয়াসা by (17 points)
edited by
আমি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত।
১. প্রশ্রাবের পর লিংগের ছিদ্রের আশে পাশেও তো প্রশ্রাব লেগে যায়। এক্ষেত্রে টিসু দিয়ে মুছে ফেলার পর প্রচন্ড গরমে গেমে ভিজে তা ছড়ানোর কথা নয়?

২. লিংগের আগায় নাপাকি লাগলে গোসলের সময় দাঁড়িয়ে পানি ঢাললে কি পায়খানার রাস্তা নাপাক হয়ে যায়? গড়িয়ে কি সেখানে যেতে পারে? আমাকে প্রতিদিন গোসলের সময় পায়খানার রাস্তা পরিষ্কার কর‍তে হয় - এই ভয়ে যে নাপাকি গড়িয়ে পায়খানার রাস্তায় গেল।

৩. আমার সামান্য উত্তেজনা ছাড়াও লিংগ নিংড়ালে মযী বের হয়। অন্য সময় হয়তো বের হয়ে পায়জামা তে লাগলতেও পারে। এই ভয়ে আমি প্রায় ৮-৯ মাস যাবত নগ্ন হয়ে গোসল করি। এটা কিভাবে সমাধান করবো?

৪. আমার কাছে মনে হয় যে, আমি হয়তো ইচ্ছা করেই খারাপ চিন্তা আনি ইসলামের ব্যাপারে। ফলে, কালিমা পাঠ করতে থাকি। এটা কিভাবে সমাধান করতে পারি?
৫. কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত মনে মনে কুফুরি চিনা করার পর যদি ১ মিনিটের মধ্যেই নিজের ভুল বুঝতে পারে - তাহলেও কি ঈমান চলে যাবে?

৬. কোন কাজ করতে গেলে মনে হয় আমি ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ চিন্তা করে ঈমানহারা হয়ে গিয়েছি। তখন মনে হয় আমি যদি ঈমান আনার আগে কাজটি সম্পন্ন করি তাহলে এই কাজ যতোদিন থাকবে ততদিন ঈমান আসবে না। এতে অনেক সময় কাজ কিছুটা করে ফেললেও কেটে দিয়ে ঈমান এনে তারপর আবার কাজটি করি। আমার এই ধারণা থেকে বের হবো কিভাবে?
৭. যদি এমন হয় যেটি বৈধ কাজ করার সময় খারাপ চিন্তা মাধ্যমে কিংবা খারাপ চিন্তা শব্দ উচ্চারণ করার মাধ্যমে ঈমান চলে গেল। এক্ষেত্রে ইমানবিহীন অবস্থায় যদি বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করার পর ঈমান আনলে যেটুকু করা হয়েছে সেটা কেটে কি আবার করতে হবে?

৮. নিজেকে আটকানোর জন্য আমি আপাতত কসম করি যে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওয়াসওয়াসাবশত কালিমা পাঠ করবো না। এটা থেকে কিভাবে বের হবো? যদি বলেন কালিমা পাঠ করার প্রয়োজন নেই,  তাহলে সত্যি সত্যিই ঈমান চলে গেলে এবং সেই অবস্থায় মৃত্যু হলে আমার কি হবে?

৯. এই প্রশ্নটি ইনবক্সে করেছি।

১০. আমার পায়জামায় মযী / ওদী / পেশাবের ফোটা লেগে যায় সেক্ষেত্রে গোসলের সময় মাথায় ও শরিরে দাঁড়িয়ে মগ দিয়ে ৫-৬ মগ পানি দিলে কি পায়জামা পাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
সাধারণত পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের ঐ অংশ ঘেমে যায়না।
পেশাব শুধু সেই অংশে লেগে থাকলে তাহা তেমন ছড়ানোর আশংকা থাকেনা।

তারপরেও শরীরের অন্য কোথাও হতে ঘাম লেগে যদি সেই অংশ ভিজে যায়,তাহলে এক্ষেত্রে শরীরের সেই ঘেমে যাওয়া স্থান পাক করতে হবে। 

তবে ঐ সুপারির ন্যায় অংশ ছাড়া লিঙ্গের অন্যত্রে পেশাব লাগলে তো সেটি ধুয়ে পাক করতে হবে।

(০২)
দাঁড়িয়ে পানি ঢাললে পায়খানার রাস্তার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই বসে ধোয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(০৩)
চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ রইলো।

(৪.৬,৮)
আপনি এ সংক্রান্ত কোন মাসআলা পড়বেন না। কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না। মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না। 

আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন। 

ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان
‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

★ইয্য ইবনে আব্দুস সালাম রহ. বলেন, ওয়াসওয়াসার প্রতিষেধক হচ্ছে- ব্যক্তি এ বিশ্বাস করা যে, এটি শয়তানী কুমন্ত্রণা। ইবলিস এটি তার অন্তরে আরোপ করছে এবং তার সাথে লড়াই করছে। এতে করে সে ব্যক্তি জিহাদ করার সওয়াব পাবে। কেননা সে ব্যক্তি আল্লাহ্র শত্রুর সাথে লড়াই করছে। যদি কেউ এভাবে অনুভব করতে পারে তাহলে শয়তান তার থেকে পালিয়ে যাবে।

★সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন-–أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও শয়তানের সংস্পর্শ থেকে।)

★ফজর ও মাগরিবের পর এবং ঘুমানোর আগে সূরা ফালাক ও নাস পড়ুন। হাদিসে এসেছে, উকবা ইবনে আমের রাযি. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
أَلَمْ تَرَ آيَاتٍ أُنْزِلَتِ اللَّيْلَةَ ، لَمْ يُرَ مِثْلُهُنَّ قَطُّ ؟ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ، وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
তোমার কি জানা নেই আজ রাতে আমার ওপর যে আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে এগুলোর মতো কোনো আয়াত দেখা যায় নি। আর তা হলো কুল আয়ুজু বি রাব্বিল ফালাক ও কুল আয়ুজু বি রাব্বিন নাস। (মুসলিম ৮১৪)

আরো করনীয় জানুনঃ- 

(০৫)
এক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৭)
আবারো করতে হবেনা।

(১০)
এক্ষেত্রে পায়জামা তিনবার ধোয়া লাগবে ও প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...