ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَضْحَى بِالْمُصَلَّى، فَلَمَّا قَضَى خُطْبَتَهُ نَزَلَ مِنْ مِنْبَرِهِ وأُتِيَ بِكَبْشٍ فَذَبَحَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ، وَقَالَ: «بِسْمِ اللَّهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، هَذَا عَنِّي، وَعَمَّنْ لَمْ يُضَحِّ مِنْ أُمَّتِي
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাঃ এর সাথে ঈদুল আযহায় নামাযে শরীক ছিলাম। যখন খুতবা শেষ হল। তখন তিনি মিম্বর থেকে নামলেন। তারপর তার কাছে একটি ভেড়া আনা হল। তারপর তিনি তা জবাই করলে নিজ হাতে। জবাইকালে বললেন, বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার, এটি আমার এবং আমার ঐ উম্মতীর পক্ষ থেকে যারা কুরবানী করতে পারেনি। [আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮১০]
কোন ব্যাক্তির উপর কুরবানি ফরজ না হলেও সে যদি কুরবানি দিতে চায়, তাহলে এটি জায়েজ হবে।
কোনো সমস্যা নেই,এতে সে কুরবানী দেয়ার ছওয়াব পাবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ঋণগ্রস্ত ব্যাক্তি কুরবানী দিতে চাইলে সে কুরবানি দিতে পারবে। অর্থ্যাৎ কুরবানির ভাগ নিতে পারবে। এটা জায়েজ আছে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ঋণগ্রস্ত ব্যাক্তি যদি ব্যবসার জন্য লোন নিয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে উক্ত লোন তার উপর কুরবানী আবশ্যক হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হবেনা।
তার কাছে যদি নেসাব পরিমান সম্পদ থাকে,তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব।
আর যদি ঋণগ্রস্ত ব্যাক্তি ব্যবসার জন্য নয়,বরং নিজের আবশ্যকীয় প্রয়োজন পূরনের জন্য লোন নিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তার লোনের টাকা ব্যাতিত নেসাব পরিমান সম্পদ থাকলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।
আত যদি তার লোনের টাকা ব্যাতিত নেসাব পরিমান সম্পদ না থাকে, তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।
তারপরেও সে নফল কুরবানী আদায় করতে চাইলে করতে পারবে,সমস্যা নেই।
তবে ঋন পরিশোধ করাই তার উপর অতিব জরুরী।
(০২)
বিয়ের সময় পাত্রের ভাবীরা অথবা অন্য কেউ বাসর ঘর সাজাতে পারবে।
তবে পর্দাহীনতার যেনো কিছু না ঘটে,শরীয়াহ খেলাফ যেনো কিছু না ঘটে,অতিরিক্ত ও অতিরঞ্জন যেনো না করা হয়।
অথবা ফুলের দোকানের লোকজন অনেক সময় কন্ট্র্যাক্টে ঘর সাজিয়ে দিয়ে যায়, এগুলো জায়েজ।