আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
১. হুজুর আমি থুথু ফেলবো তাই গলাটা একটু ঝেড়ে থুথু ফেলতে গিয়েছি সঙ্গে সঙ্গে একটা শর্ত তালাক এর কথা মনে মনে হয়ে জাই, যেহেতু আমি গলা ঝাড় ছিলাম , তাই গলাতে শব্দ হয়েছে এবং থুথু ফেলার জন্য জিহ্ববা ও নড়েছে। আর সেই সময় মনে মনে শর্ত তালাক এর কথা মনে হয়। দিয়ে গলা ঝারা র জন্য শব্দ হয়েছে দিয়ে মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়ে গেলো নাকি তাই বলে ভয় হয়ে জাই। আমি মুখে কিছু উচ্চরণ করিনি। মনে মনে ভেবেছি আর গলা ঝেড়ে থুথু ফেলেছি। এর জন্য কি শর্ত তালাক হবে?

২. দিয়ে আমি একবার গলা ঝেড়ে থুথু ফেলেছি আর মনে মনে শর্ত তালাকের কথা ভেবে দেখলাম উচ্চরণ হয়েছে নাকি, হুজুর এর জন্য কোনো তালাক হবে না তো?

৩. হুজুর আমি শুয়ে আছি, পা এর ওপর পা দিয়ে শুয়ে আছি, দিয়ে পা এর ওপর পা দিয়ে ঘষা ঘষি করছি, দিয়ে মনে মনে এমন হচ্ছে , পা এর ওপর পা ঘষলে তালাক এই রকম মনে মনে হচ্ছে, হুজুর দিয়ে আমি আবার পা এর ওপর পা দিয়ে ঘষা ঘষি করেছি তাহলে কি তালাক হবে? আমি মুখে উচ্চরণ করিনি মনে মনে এমন হচ্ছে এর জন্য কি তালাক হবে? আমি যদি পা এর ওপর পা দিয়ে ঘষা ঘষি করি তাহলে কি তালাক হবে?

৪. হুজুর মনে মনে এমন হচ্ছে , মনে মনে বলছি তিন গুনতে গুনতে যদি অমুক কিছু হয় তাহলে তালাক ,এই রকম মনে মনে হচ্ছে, দিয়ে মনে মনে তিন গুনছি, দিয়ে যদি অমুক কিছু হয় তাহলে কি তালাক হবে,? যা হয়েছে সব মনে মনে মুখে উচ্চরণ করিনি।
৫. হুজুর এই খানে প্রশ্ন করতে গিয়ে তালাক শব্দ টা লিখতে  হয়েছে , লিখতে গিয়ে মনেহচ্ছে সত্যি সত্যি লিখছি এই রকম মনে মনে ভাবনা হচ্ছে এর জন্য কি কোনো তালাক হবে? মনে মনে এমন ভাবনা হয়ে যাচ্ছে এর জন্য কি কোনো তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (716,120 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)হুজুর আমি থুথু ফেলবো তাই গলাটা একটু ঝেড়ে থুথু ফেলতে গিয়েছি সঙ্গে সঙ্গে একটা শর্ত তালাক এর কথা মনে মনে হয়ে যায়, যেহেতু আমি গলা ঝাড় ছিলাম , তাই গলাতে শব্দ হয়েছে এবং থুথু ফেলার জন্য জিহ্ববা ও নড়েছে। আর সেই সময় মনে মনে শর্ত তালাক এর কথা মনে হয়। দিয়ে গলা ঝারার জন্য শব্দ হয়েছে দিয়ে মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়ে গেলো নাকি তাই বলে ভয় হয়ে যায়। আমি মুখে কিছু উচ্চরণ করিনি। মনে মনে ভেবেছি আর গলা ঝেড়ে থুথু ফেলেছি। 
এর জন্য শর্তযুক্ত তালাক হবে না।

(২)দিয়ে আমি একবার গলা ঝেড়ে থুথু ফেলেছি আর মনে মনে শর্ত তালাকের কথা ভেবে দেখলাম উচ্চরণ হয়েছে কি না?
এর জন্য কোনো তালাক হবে না।

(৩) হুজুর আমি শুয়ে আছি, পা এর ওপর পা দিয়ে শুয়ে আছি, দিয়ে পা এর ওপর পা দিয়ে ঘষা ঘষি করছি, দিয়ে মনে মনে এমন হচ্ছে , পা এর ওপর পা ঘষলে তালাক এই রকম মনে মনে হচ্ছে, হুজুর দিয়ে আমি আবার পা এর ওপর পা দিয়ে ঘষা ঘষি করেছি তাহলে কি তালাক হবে? আমি মুখে উচ্চরণ করিনি মনে মনে এমন হচ্ছে এর জন্য কি তালাক হবে? আমি যদি পা এর ওপর পা দিয়ে ঘষা ঘষি করি,

এজন্যও তালাক হবে না।

(৪) হুজুর মনে মনে এমন হচ্ছে , মনে মনে বলছি তিন গুনতে গুনতে যদি অমুক কিছু হয় তাহলে তালাক ,এই রকম মনে মনে হচ্ছে, দিয়ে মনে মনে তিন গুনছি, দিয়ে যদি অমুক কিছু হয় তাহলে কি তালাক হবে,? যা হয়েছে সব মনে মনে মুখে উচ্চরণ করিনি।

প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।

(৫)হুজুর এইখানে প্রশ্ন করতে গিয়ে তালাক শব্দটা লিখতে  হয়েছে , লিখতে গিয়ে মনেহচ্ছে সত্যি সত্যি লিখছি এই রকম মনে মনে ভাবনা হচ্ছে এর জন্যও কোনো তালাক হবেনা।
মনে মনে এমন ভাবনা হয়ে যাচ্ছে, এর জন্যও কোনো তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (716,120 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...