আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর
১।ধরেন বউ হাসবেন্ড কে বলছে তুমি যে আমাকে কাল ইশারা দিয়া বুজাইছো তখন কি আমার দিকে ইশারা দিসিলা।হাসবেন্ড বলছে না।তুমার সোজা ত ইশারা দেই নাই একটু অন্য দিকে ইশারা দিয়া বুজাইছি।আর মনে ছিল অন্য একজন কে আমি অইভাবে বলতে দেখছিলাম সেঈটা চোখে ভাসতেছিল তুমাকে বুজানোর সময়।তখন বউ বলছে  তাহলে কি ইশারা সরাসরি আমার দিকে দিতে হবে।তখন হাসবেন্ড বলছে হুম।বউ বুজে না দেইখা সে বউয়ের দিকে ইশারা করে দেখাতে গেসে বউ বলছে না দেখাতে হবে না।তখন হাসবেন্ড বলছে আচ্ছা।তখন সে বিষয় টা বুজানোর জন্য অন্য একদিকে ইশারা দিয়ে  বলছে ধর এটা তুমি এখন আমাকে তুমাকে এভাবে এভাবে এভাবে বলতে হবে।এভাবে এভাবে বলার সময় সে অই দিকে হাত নাড়াইছে।হাত নারানোর সময় যদি  মনে তা...আসে কিন্তু মুখে সরাসরি তা...উচ্চারণ করে নাই।এখন আমার চিন্তা হচ্ছে আমাকে বুজানোর যে বউকে ধরে বা মনে করে একদিকে এভাবে ইশারা দিয়ে বুজাইল এতে মুখে উচ্চারণ করে নাই।এতে কি তা..হবে।???বউকে বুজানো তার উদ্দেশ্য ছিল।।সে বলতেছে বুজাইলে তা..হবে কেন।আমার নিয়ত আমার উদ্দেশ্য ত বুঝতে হবে।এই ইশারার বিষয় টা যদি ক্লিয়ার করতেন। আমি খুবই চিন্তায় আছি।


ক।বউ রাতে হাসবেন্ড কে বুজানোর জন্য বলছে যে তুমি যে আমাকে ধইরা অইভাবে ইশারা দিয়া বুজাইলা হাসবেন্ড ঘটনা ক্লিয়ার বুজতে না পারাই বউ হাসবেন্ড  জেভাবে বলছে বউ সেভাবে বইলা বুজানোর চেস্টা  করছে।যেমন বউ বলছে তুমি যে বল্লা মনে কর এটা তুমি (অন্য একদিকে ইশারা দিসে নিজের দিকে দেয় নাই)তারপর ৩ বার সে দিকে এভাবে এভাবে এভাবে (বউও হাত নারিয়া দেখাইছে)ইশারা দিয়া বল্লা।তখন হাসবেন্ড বুঝতে পারছে।এখন বউ হাসবেন্ড থেকে অই ঘটানার নিয়ত জানার জন্য হাসবেন্ড কে মনে করিয়া দেওয়ার জন্য হাসবেন্ড জেভাবে বলছে অইভাবে কইরা দেখাইছে এতে কি কোন সমস্যা হবে।বলার সময় মনে তা..আসতে পারে কিন্তু মুখে উচ্চারণ করে নাই।  যেহেতু বউ ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত।অধিকার আসে কিনা জানিনা।


২।আরেকটা বিষয় এর উত্তর দেওয়া হইছে তাও ভিতরে শান্তি লাগার জন্য জিজ্ঞেস করতেছি। মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে মুক্তি দিলাম,জাও গা,জা মন চাই তাই কর,বাসাই আইসা জেন তুমাকে না দেখি, যাব গা আমার সন্তান দিয়া যেখানে খুশি জাও। এক্ষেত্রে হাসবেন্ড এর নিয়ত না থাকলে কাজায়ান তালাক হবে।একাধিক কাযায়ান তালাক হইলেও সংসার করা যাবে।আর না থাকলা,সংসার না করলা,যাও গা,মানে উপরের কেনায়া বাক্য গুলা মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে না বলে শুধু জগরার সময় রাগ কইরা তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে তাইলে এতে কোন তালাক ই হবে না।এই মাসালা ত সঠিক তাইনা হুজুর??
৩।।অনেক আগে বউ কে অধিকার দেওয়ার কথা বউয়ের মনে আছে যে হাসবেন্ড তাকে মেসেজে সাময়িক অধিকার দেওয়ার কথা বলছিল।হাসবেন্ড  ও সিকার করছে।আরেক দিন বউ জিজ্ঞেস কছে তুমি কবে অধিকার দেওয়ার কথা বলছিলা তখন হাসবেন্ড বলছে এক মেয়ে নিয়ে জগরা হইছিল অইদিন।তখন বউ বলছে তুমি কি সিওর।তুমি না বল যে মেয়েদের যখন সমসসা হইছে তখন তুমি কিছু বল নাই।তুমার দুশ দেইখা চুপ থাকছ।তখন হাসবেন্ড বলছে কিজানি তুমি এত এত বার আমাকে এসব প্রশ্ন কর আমি আইলিয়া জাই।আমার এত কিছু মনে থাকে না।তবে একদিন বলছি আর অই সময়ের জন্যই বলছিলাম।তুমার ভাল না লাগলে দেও গা।জখন মন চাই তখন দিতে পারবা এমন ভাবে বলি নাই আর অই নিয়তে ও নিয়তেও বলি নাই।তাহলে ত সাময়িক ই বুজাবে?? এরকম ভাবে তারে জিজ্ঞেস করলে কোন ঘটনা উল্টো পাল্টা বলে আবার আমি যেভাবে বলি সেভাবেই সিকার করে আর বলে আমার মনে নাই।তাহলে হুজুর এ অবস্থায় কি তাকে জিজ্ঞেস করা বাদ দিব।তারে অনেক বার জিজ্ঞেস করা হইছে সে উত্তর দিছে মাজে মাজে গুলায়া অন্য ভাবএ বলে তখন  আমি যা বলি মানে এটা না একদিন তুমি এইভাবে বল্লা তখন তাই সিকার করে।বলে তুমি এত বার বার জিজ্ঞেস করে আমাকে বিব্রত কর।আমার আগের কোন কিছুই হুবুহু মনে নাই।আমি শুধু এটা বলতে পারি আজ পরজন্ত তুমাকে ছাড়ার চিন্তা আসে নাই মনে।মুখে যদি কেনায়া বলি তাও অই নিয়ত আসে নাই আর কোন দিন আসবেও না।তুমাকে মরার আগ পরজন্ত  ছারব না।আর তুমার কোন অধিকার নাই।যদি কোন কথায় হইয়া থাকে তাও অই সময় এর জন্য বলছি।আর মনে বিশ্বাস থাকত যে তুমি আমাকে কোন দিন ছারবা না।আমাকে আর এগুলা নিয়া পেরা দিও না আজ পরজন্ত এসব চিন্তা আসে নাই।তুমি যদি এমন করতে থাক তাহলে হঠাৎ কোন খারাপ কিছু ঘটতে পারে।এখন কি তারে জিজ্ঞেস না করে তার কথার উপর ভরসা করে সংসার করলে আমি কি গুনাহগার হব।সে বলছে আমি ত বুজি এখন কিছু হই নাই।তুমার যদি গুনাহ দেখে এত ভয় করে তাহলে এগুলার জবাব দিব আমি।আমার উপর এগুলা।তুমি আর এসব নিয়া আমাকে পেরা দিও না।হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করলে একেক দিন একেক ভাবে বলে আরো চিন্তা বারে।উপরের বরননা অনুযায়ী আমার করনিয় কি হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭) 

তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সমস্ত বিবরণ পড়েছি। আপনি যে ওয়াসওয়াসার রোগে আক্রান্ত এ কথা অনায়াসে বলা যায়, সুতরাং আপনার বর্ণিত এ সকল কথাবার্তা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...