আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
reshown by
হুজুর আমার প্রস্রাবের সমস্যা তীব্র আকার ধারন করেছে। গোসলের পর থেকে খেয়াল করলাম প্রায়  ২-৩ ঘন্টা ৪-৫ মিনিট, আবার কখনো ৫-১০ মিনিট পরপর লজ্জাস্থানে কণা সমান প্রস্রাব বের হয়ে থাকছে। যোহরের নামাজের আগে আমি ৫ মিনিট চেক করি। করার পর যখন কিছু বের হয় নি আমি সবসময়ের মত টিস্যু দিয়ে নামাজ পড়ে চলে আসি। এখন ভাত খাওয়ার পর প্রায় ১ ঘন্টা পর চেক করি এবং ২-৩ মিনিট হাটাহাটি করলেই সেই একই প্রস্রাব এসে জমে থাকছে। এখন বুঝতে পারছি না আমি মাঝুর কিনা। সেজন্য বিষয়টা আমার জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাড়াচ্ছে। আমি যেহেতু সবসময় লজ্জাস্থানে টিস্যু বেধে রাখি(এক দিরহামের কম) যাতে কাপড় সেফ থাকে। তাই সবমসয় বলাও যায় না কখন বের হচ্ছে আর হচ্ছে না। এখন যেহেতু ৩-৪ ঘন্টা ধরে এই সমস্যা আমার করনীয় কি। আমার অজু আর ২ রাকাত নামাজ পড়তেও সময় লাগে ১০-১৫ মিনিট।
আমার প্রশ্ন,
হুজুর এখন কি আমি নিজেকে মাঝুর হিসেবে ধরে নিয়ে সপ্তাহ খানেক নামাজ পড়ে দেখব যে অবস্তার উন্নতি হচ্ছে কিনা যেহেতু আমি কেগেল ব্যায়াম করা শুরু করছি।

নাকি বারবার চেক করে পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ আাদায় করতে হবে? যেটা আমার জন্য কঠিন হয়ে দাড়াচ্ছে। নামাজও মন দিয়ে পড়তে পারছি না।

আর যদি আমি মাঝুর হিসেবে ধরে নিয়ে নামাজ পড়ে নি। আসলেই মাঝুর না হয় আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবেন?
মাঝুর হয়েছি কিনা সেটা বের করা আমার জন্য কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। আর মেন্টালি অনেক পেরেসান করতেছে।

1 Answer

0 votes
by (718,040 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
শরীয়তে ইসলামি সহজতার উপর নির্ভরশীল। শরীয়ত চায় না মানুষ কষ্টে নিপতিত হোক।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ
আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না (সূরা বাক্বারা-১৮৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(إِنَّ الدِّينَ يُسْرٌ)
নিশ্চয় দ্বীনে ইসলাম সহজ।(সহীহ বুখারী-৩৯)

আপনার প্রশ্ন থেকে আমরা যা বুঝেছি,আপনার এ বিষয়টা হয়তো মনস্তাত্ত্বিক। এটা শয়তানের পক্ষ্য থেকে ওয়াসওয়াসা।যাতে করে শয়তান আপনাকে কষ্টে নিপতিত করে।এবং শেষ পর্যন্ত ইবাদতকে আপনার নিকট অসহনীয় ও কষ্টকর করে তুলতে পারে।সুতরাং এমন পর্যায়ের কাউকে আবার ওজু করার নির্দেশ দেয়া হবে না।এবং খুজতে আদেশ করা হবে না যে,কিছু বের হল কি না? বরং তার উপর দায়িত্ব হল সে প্রথমে ইস্তেঞ্জা করবে,তারপর লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবে।যাতেকরে তার সামনে ওয়াসওয়াসার দরজা সমূলে ধংশ হয়ে যায়।অতঃপর সে অজু করবে এবং নামায পড়বে।সে শয়তানের প্ররোচনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না যে,কিছু বের হয়েছে কি না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4271

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রস্রাবের পর লিঙ্গের মাথাকে আঙ্গুল দ্বারা ধরে আগপিছ করে নিলে এরকম সমস্যার অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। তারপর ঢেলা কুলুপ ব্যবহার করে কয়েক কদম হেটে লজ্জস্থান ধৌত করে লজ্জস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবেন। মনকে বলবেন, আর কিছুই বের হয়নি।তাহলে দেখবেন, বাস্তবেই প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 60 views
...