আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমরা যে কোম্পানির কাজ বা অর্ডার সবচেয়ে বেশি করি সেখানে কিছু অসাধু অফিসার আছে ওনাদের ঘুষ না দিয়ে কাজ করা পসিবল হয় না। এ ক্ষেত্রে যদিও আমি বাধ্য হয়ে দিচ্ছি মানে আমি মজলুম অনেক আলেম যদিও এটাকে গুনা হিসেবে গন্য করে না। তারপর পরও আমরা ধিরে ধিরে প্রতিষ্ঠানটার বিকল্প দেখতেছি।এই ঘুষ দিলে কি গুনাহ হবে?যেহেতু ঘুষ না দিলে কোম্পানির কাজটা আমরা কর‍তে পারবো না।

1 Answer

0 votes
by (712,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদিয়ার বিবিধ বিধি-বিধান বর্ণনা করতে যেয়ে
ইমাম মুহাম্মদ ইবনে হাসান শাইবানী রাহ হাদিয়ার বিভিন্ন প্রকার উল্লেখ করে বলেন,
ﺃﻥ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﺃﺭﺑﻌﺔ ﺃﻗﺴﺎﻡ ﺑﺎﻋﺘﺒﺎﺭ ﺍﻟﻤُﻬﺪِﻱ ﻭﺍﻟﻤُﻬﺪَﻯ ﺇﻟﻴﻪ ﻭﻫﻲ :
( 1 ) ﺣﻼﻝٌ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺎﻧﺒﻴﻦ ﻛﺎﻹﻫﺪﺍﺀ ﻟﻠﺘﻮﺩﺩ .
( 2 ) ﻭﺣﺮﺍﻡٌ ﻣﻨﻬﻤﺎ ﻛﺎﻹﻫﺪﺍﺀ ﻟﻴُﻌﻴﻨﻪ ﻋﻠﻰ ﻇﻠﻢ .
( 3 ) ﻭﺣﺮﺍﻡٌ ﻋﻠﻰ ﺍﻵﺧﺬ ﻓﻘﻂ، ﻭﻫﻲ ﺃﻥ ﻳﻬﺪﻳﻪ ﻟﻴﻜﻒَّ ﻋﻨﻪ ﺍﻟﻈﻠﻢ .
( 4 ) ﺃﻥ ﻳﺪﻓﻌﻪ ﻟﺪﻓﻊ ﺍﻟﺨﻮﻑ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻬﺪﻱ ﺇﻟﻴﻪ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ ﺃﻭ ﻣﺎﻟﻪ ﺃﻭ ﻋﻴﺎﻟﻪ ﺃﻭ ﻋﺮﺿﻪ، ﻓﻬﺬﻩ ﺣﻼﻝٌ ﻟﻠﺪﺍﻓﻊ ﺣﺮﺍﻡٌ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺪﻓﻮﻉ ﺇﻟﻴﻪ، ﻓﺈﻥ ﺩﻓﻊ ﺍﻟﻀﺮﺭ ﻋﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻭﺍﺟﺐٌ، ﻭﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﺃﺧﺬ ﺍﻟﻤﺎﻝ ﻟﻴﻔﻌﻞ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ-
ﺍﻟﻤﻮﺳﻮﻋﺔﺍﻟﻔﻘﻬﻴﺔ ﺍﻟﻜﻮﻳﺘﻴﺔ 42/258
প্রেরক ও প্রাপক হিসেবে হাদিয়া চার প্রকার যথা-
(১)প্রেরক- প্রাপক উভয়ের জন্য হালাল।যেমন- মহব্বত বাড়ানোর উদ্দেশ্যে হাদিয়া যা সাধারণত প্রচলিত।
(২)প্রেরক-প্রাপক উভয়ের জন্য হারাম।যেমন-কারো উপর যুলুম করতে সঙ্গ দানের জন্য কাউকে হাদিয়া প্রদান।
(৩)শুধুমাত্র প্রাপকের জন্য হারাম।যেমন- কারো যুলুম থেকে নিষ্কৃতিলাভ হেতু তাকে হাদিয়া প্রদান।
(৪)নিজ জান-মাল,পরিবারবর্গ ও ইজ্জত-আব্রুকে হেফাজত করার উদ্যেশ্যে হাদিয়া প্রদাণ,প্রেরকের জন্য জায়েয।লক্ষণীয় যে,প্রেরকের জন্য হালাল হলেও প্রাপকের জন্য তা সম্পূর্ণই হারাম।
কারণ একজন মুসলমান থেকে ক্ষতিকে দূর করা অন্য মুসলমানের উপর ওয়াজিব।আর এ ওয়াজিব কাজ সম্পাদন করার জন্য বিনিময় গ্রহণ সর্বাবস্থায় নাজায়েয।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1382

আরো জানতে ক্লিক করুন-

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ করে দেন, এবং এদ্বারা অন্যর কোনো ক্ষতি করা না হয়, তাহলে ঘুষ দেয়ার রুখসত থাকলেও ঘুষ আদান প্রদাণ না করাই উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,600 points)
সংযোজন  ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...