আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কিছু টাকা জমেছিলো। সেপ্টেম্বরে বৈবাহিক সূত্রে কিছু স্বর্ণালংকার হাতে আসে। নভেম্বরে অল্প কিছু রুপার অলংকার পেয়েছি। কিন্তু টাকা ১ বছরের আগে খরচ হয়েছিলো কিনা মনে নেই। আমি কবে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছি ধরে নিয়ে যাকাত আদায় করব?
আগে জানতাম না ব্যবহৃত স্বর্নেরও যাকাত দিতে হয়।
১. ২০২০ সালের যে মাসে ফরজ হয়েছে কিভাবে জানবো ওইমাসে ভরি কতো ছিলো?
২.সব অলংকার কি দোকানে নিয়ে গিয়ে একসাথে হিসাব করতে হবে?
৩.প্রতিবছর একই অলংকারের ক্ষেত্রে প্রতিবারই যাকাত আসবে?

 ৪. ডিপিএস মোট যত টাকার করা হবে ততো টাকার উপর প্রতিবছর যাকাত আসবে?
উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন প্লিজ।

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব হল বিশ মিসকাল। -সুনানে আবু দাউদ ১/২২১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক  হাদীস ৭০৭৭, ৭০৮২
আধুনিক হিসাবে সাড়ে সাত ভরি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْخُذُ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِينَارًا فَصَاعِدًا نِصْفَ دِينَارٍ وَمِنْ الْأَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارًا

ইবনু ‘উমার ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বিশ দিনার বা তার চেয়ে কিছু বেশি হলে অর্ধ দিনার এবং চল্লিশ দিনারে এক দিনার (যাকাত) গ্রহণ করতেন।

ইবনে মাজাহ ১৭৯১ ইরওয়াহ ৮১৩।
দারাকুতনী ১৮৭৯, ১৮৯২।

সাড়ে ৫২ ভরি রুপা হলে তার উপর যাকাত ফরজ। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
عن أبي سعيد الْخُدْرِي رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «ليس فيما دون خمس أَوَاقٍ صدقة، ولا فيما دون خمس ذَوْدٍ صدقة، ولا فيما دُونَ خمسة أَوْسُقٍ صدقة».  
[صحيح] - [متفق عليه]

আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ উকিয়ার কম রৌপ্যমুদ্রায় যাকাত নেই এবং পাঁচটি উটের কমের ওপর যাকাত নেই। পাঁচ ওয়াসাক এর কম শষ্যের ওপর যাকাত নেই।”
(বুখারী,মুসলিম)

শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো কাছে সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্য-দ্রব্য- এগুলোর কোনোটি পৃথকভাবে পূর্ণ  নিসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু এসবের একাধিক সামগ্রী এ পরিমাণ রয়েছে, যা একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে সকল সম্পদ হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৬৬,৭০৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৩৯৩)

আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
২০২০ সালের জানুয়ারিতে আপনার যে কিছু টাকা জমেছিলো,এখানে কতটাকা জমেছিলো?

যদি তাহা সেই সময়ের সাড়ে বাহান্ন ভরি রুপার সমপরিমাণ টাকা হয়,সেক্ষেত্রে ২০২১ সালের জানুয়ারী আপনি যাকাত আদায় করে দিবেন।

(এক্ষেত্রে আরবী মাসের হিসাব জানা থাকলে ভালো হতো।)

আর যদি তাহা সেই সময়ের সাড়ে বাহান্ন ভরি রুপার সমপরিমাণ টাকা না হয়,সেক্ষেত্রে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বৈবাহিক সূত্রে যে কিছু স্বর্ণালংকার আপনার হাতে এসেছিলো,এই স্বর্ণালংকার ও জমানো টাকা সব মিলে যেহেতু নেসাব পরিমান সম্পদের সমপরিমাণ হয়ে যায়,তাই আপনি 

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আপনি যাকাত আদায় করে দিবেন।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে স্বর্ণের দোকান থেকে হিসাব জেনে নিবেন।

(০২)
অলংকার দোকানে না নিয়ে গেলেও চলবে,শুধু কতভরি অলংকার, সেটি দোকানদারকে জানাবেন।

(০৩)
হ্যাঁ, প্রতিবছর একই অলংকারের ক্ষেত্রে প্রতিবারই যাকাত আসবে।
যতদিন নেসাব পরিমান সম্পদ থাকবে,যাকাত দিতেই হবে।

(০৪)
সে ব্যাক্তি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়, সেক্ষেত্রে ডিপিএস মোট যত টাকার করা হবে, ততো টাকার উপর প্রতিবছর যাকাত আসবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...