আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (2 points)

Toggle navigation

ব্রেকিং নিউজ

ডেঙ্গুতে এক দিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৮৪৪  |   কাঁচপুর টার্মিনাল নির্মাণ হলে ঢাকার যানজট কমে আসবে : তাপস  |   নাইকো দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার আবেদনের পরবর্তী শুনানি ১৪ আগস্ট  |   ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে ৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু  |   সন্দেহাতীত নেতৃত্বে আসছেন সাকিব আল হাসান  |   টেকনাফে ৭ লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড  |   মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নির জামিন আবেদন ফের হাইকোর্টের কার্যতালিকায়  |   মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ  |   শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিল করবে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো  |   হালদায় ডুবে যাওয়া সেই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  |  

ডেঙ্গুতে এক দিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৮৪৪  |   কাঁচপুর টার্মিনাল নির্মাণ হলে ঢাকার যানজট কমে আসবে : তাপস  |   নাইকো দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার আবেদনের পরবর্তী শুনানি ১৪ আগস্ট  |   ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে ৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু  |   সন্দেহাতীত নেতৃত্বে আসছেন সাকিব আল হাসান  |   টেকনাফে ৭ লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড  |   মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নির জামিন আবেদন ফের হাইকোর্টের কার্যতালিকায়  |   মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ  |   শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিল করবে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো  |   হালদায় ডুবে যাওয়া সেই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  |  

ইসলাম

কারো মন ভাংঙা প্রসঙ্গে মুহাম্মাদ (সাঃ) যা বলেছেন

 অ    অ    প্রিন্ট

  ১৯/০৮/২০১৫

image

পিএনএস, ইসলাম : একদিন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বিবি আয়েশা (রাঃ) কে ঢেকে জিজ্ঞেস করলেন, -----হে আয়েশা, আজকে আমি অনেক খুশি, তুমি আমার কাছে যা চাইবে তাই দেব, বল তুমি কি চাও? হযরত আয়েশা (রাঃ) চিন্তায় পড়ে গেলেন, হঠাৎ করে তিনি এমন কি চাইবেন, আর যা মন চায় তা তো চাইতে পারেন না! যদি কোন ভুল কিছু চেয়ে বসেন, নবীজী যদি কষ্ট পেয়ে যান? এমন অনেক প্রশ্নই মনে জাগতে লাগলো! আয়েশা (রাঃ) নবীজী কে বললেন, আমি কি কারো কাছ থেকে কিছু পরামর্শ নিতে পারি? নবীজী বললেন, ঠিক আছে তুমি পরামর্শ নিয়েই আমার কাছে চাও।

আয়েশা (রাঃ) হযরত আবুবকর (রাঃ) এর কাছে পরামর্শ চাইলেন। আবুবকর (রাঃ) বললেন, যখন কিছু চাইবেই, তাহলে তুমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কাছে, মিরাজের রাতে আল্লাহ পাক রাব্বুল আ'লামীন এর সাথে হইছে এমন কোন সিক্রেট কথা জানতে চাও। আর কথা দাও নবীজী যা বলবেন তা সর্বপ্রথম আমাকে জানাবে।

আয়েশা (রাঃ) নবীজী (সাঃ) এর কাছে গিয়ে মিরাজের রাতের কোন এক গোপন কথা জানতে চাইলেন, যা এখনও কাউকে বলেন নি। মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হেসে দিলেন, বললেন বলে দিলে আর গোপন থাকে কি করে! একমাত্র আবুবকর ই পারেনন এমন বিচক্ষণ প্রশ্ন করতে। মুহাম্মাদ (সাঃ) বলতে লাগলেন, হে আয়েশা আল্লাহ আমাকে মিরাজের রাতে বলেছেন, "হে মুহাম্মাদ (সাঃ) তোমার উম্মাতের মধ্যে যদি কেউ, কারো ভাংঙা যাওয়া মন জোড়া লাগিয়ে দেয় তাহলে আমি তাহাকে বিনা হিসাবে জান্নাতে পৌঁছে দেব। সুবাহানাল্লাহ।

প্রতুশ্রুতি মত, আয়েশা (রাঃ) ইনার আব্বু হযরত আবুবকর (রাঃ) এর কাছে এসে নবীজীর বলে দেওয়া এই কথাগুলো বললেন। শুনে আবুবকর (রাঃ) কাঁদতে শুরু করলেন। আয়েশা (রাঃ) আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আব্বু আপনি তো কত ভাংঙা যাওয়া মন জোড়া লাগিয়েছেন, আপনার তো সোজা জান্নাতে যাওয়ার কথা কাঁদছেন কেন? আবুবকর (রাঃ) বললেন, আয়েশা এই কথাটার উল্টা চিন্তা করে দেখো, কারো ভাংগা মন জোড়া লাগালে যেমন আল্লাহ সোজা জান্নাতে দিবেন, কারো মন ভাংঙলে ও আল্লাহ যদি সোজা জাহান্নামে দিয়ে দেন, আমি না জানি নিজের অজান্তে কতজনের মন ভেংঙেছি। আল্লাহ যদি আমাকে জাহান্নামে দিয়ে দেন, সেই চিন্তায় আমি কাদতেছি। সুবাহানাল্লাহ। (বুখারি শরিফ)

এই হাদিস কি সহিহ?সহিহ হলে এর ব্যাখ্যা কি?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
উপরোক্ত ঘটনা সম্বলিত কোন হাদীসের অস্তিত্ব আমরা অনেক তথ্য তালাশ করেও খুঁজে পাইনি।
তাই এটাকে হাদীস হিসেবে প্রচার করার কোন সুযোগ নেই। হাদীস হিসেবে প্রচার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
তবে একথা ঠিক যে, অন্যায়ভাবে কারো মন ভাঙ্গা, কষ্ট দেয়া হারাম ও মারাত্মক গোনাহের কাজ। এতে কোন সন্দেহ নেই।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُّبِينًا
“যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।” (সূরা আহযাব: ৮৫)

আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে উচ্চ স্বরে বলেন:
يَا مَعْشَرَ مَنْ أَسْلَمَ بِلِسَانِهِ، وَلَمْ يُفْضِ الْإِيْمَانُ إِلَى قَلْبِهِ! لَا تُؤْذُوْا الْـمُسْلِمِيْنَ، وَلَا تُعَيِّرُوْهُمْ وَلَا تَتَّبِعُوْا عَوْرَاتِهِمْ ؛ فَإِنَّهُ مَنْ تَتَبَّعَ عَوْرَةَ أَخِيْهِ الْـمُسْلِمِ تَتَبَّعَ اللهُ عَوْرَتَهُ، وَمَنْ تَتَبَّعَ اللهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ وَلَوْ فِيْ جَوْفِ رَحْلِهِ
‘‘হে লোক সকল! তোমরা যারা মুখে ইসলাম গ্রহণ করেছো; অথচ ঈমান তোমাদের অন্তরে ঢুকেনি,
– তোমরা মুসলিমদেরকে কষ্ট দিও না।
– তাদেরকে লজ্জা দিও না।
– তাদের দোষ অনুসন্ধান করো না।
কারণ, যে ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইয়ের দোষ অনুসন্ধান করলো আল্লাহ্ তা‘আলাও তার দোষ অনুসন্ধান করবেন। আর যার দোষ আল্লাহ্ তা‘আলা অনুসন্ধান করবেন তাকে অবশ্যই তিনি লাঞ্ছিত করে ছাড়বেন যদিও সে নিজ ঘরের অভ্যন্তরেই অবস্থান করুক না কেন’’। [সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং- ২০৩২]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...