আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (75 points)
edited by
# السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

হুজুর,

১. মাঝে মাঝে ওষুধ কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট কোনো ওষুধের সাপ্লাই থাকে না। তখন ফার্মাসিস্টদের নিকট উক্ত ওষুধ কিছু থাকলেও সেটা সহজে বিক্রি করতে চায় না, আর বিক্রি করলেও বেশি দামে বিক্রি করে, এটা কি জায়িয?

যেমন: বর্তমানে K-one ইনজেকশনের সাপ্লাই নেই, এটার mrp ২০ টাকা, কিন্তু এখন সাপ্লাই না থাকার কারণে এটা সহজে বিক্রি করে না কেউ, আর করলেও বেশি দামে বিক্রি করে, কাস্টমারকে বলে নেয় যে "সাপ্লাই নেই, বেশি দাম দিতে হবে।"

তারপর ১০০,২০০ করে বিক্রি করে, কেউ কেউ ৪০০ করেও বিক্রি করে।

২. অনেক সময় ওষুধ বিক্রি করার কিছুদিন পর ক্রেতা এসে যেগুলো কাজে লাগেনি সে ওষুধগুলো ফেরত দিয়ে টাকা নিতে চায়, আমরা বলি, "আমরা ওষুধ ফেরত নেই না"। এটা কি ঠিক আছে?

২.১. আরেকটা শর্ত দেই যে, "টাকা নিতে হলে অর্ধেক দাম ফেরত দেয়া যাবে।" এটা জায়িয?
২.২. ক্রেতা যদি উক্ত শর্তে রাজি হয়, তাহলে জায়েজ হবে?

২.৩. আরেকটা শর্ত দেই যে, "ওষুধ ফেরত দিলে টাকা দিব না, সমপরিমাণ অন্য ওষুধ দিতে হবে।", এটা জায়েজ?

৩. বর্তমানে ১ডলার সমান ১০৯ টাকা। কেউ যদি আমাকে ১ডলারের বিনিময়ে ২০০ দেয়, এটা কি সুদের আওতায় পড়বে?


৪. অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবসার জন্য একটা পণ্য ৫০০ টাকা দিয়ে কিনলাম, বিক্রয়মূল্য ৬০০ টাকা। কয়দিন পর দেখা গেল, ঐ একই পণ্যের দাম বেড়ে গেল, যেমন এখন ৮০০ দিয়ে কিনতে হয়, এবং ১০০০ টাকা বিক্রি করতে হয়।


এখন আমি যদি আগের কেনা ৫০০ টাকার মাল, এখনের বাজারের বর্তমান বিক্রয়মূল্য (১০০০টাকায়) বিক্রি করতে পারবো? (যদিও গায়ে লেখা আছে MRP ৬০০ টাকা)

1 Answer

0 votes
by (714,080 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯) আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

মূল্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গোদামজাত করা নাজায়েয ও হারাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7334


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)যদি ওষুধ কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট কোনো ওষুধের সাপ্লাই থাকে না। তখন ফার্মাসিস্টদের নিকট উক্ত ওষুধ কিছু থাকলেও তারা সেটা সহজে বিক্রি করতে চায় না। বেশি দামে বিক্রি করে,যেহেতু এখানে ক্রেতা নিজ সম্মতিতে মাল ক্রয় করছে, তাই নাজায়েয হচ্ছে না। তবে অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণ করে ক্রেতার উপর জুলুম করাটাও ঠিক হবে না।

(২) ওষুধ বিক্রি করার কিছুদিন পর ক্রেতা এসে যেগুলো কাজে লাগেনি সে ওষুধগুলো ফেরত দিয়ে টাকা নিতে চায়, এক্ষেত্রে " ওষুধ বিক্রেতার উচিৎ ঔষধ গ্রহণ করে টাকা ফেরত দেয়া"।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ أَقَالَ مُسْلِمًا بَيْعَتَهُ, أَقَالَهُ اللَّهُ عَثْرَتَهُ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَابْنُ مَاجَهْ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالْحَاكِمُ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের (বা অনুতপ্ত ব্যক্তির অনুরোধে) চুক্তি ভঙ্গের সুযোগ দিলো, আল্লাহ তার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন। —ইবনু হিব্বান ও হাকিম একে সহীহ বলেছেন।( আবূ দাউদ ৩৪৬০, ইবনু মাজাহ ২১৯৯, আহমাদ ৭৩৮৩)

(২.১) "টাকা নিতে হলে অর্ধেক দাম ফেরত দেয়া যাবে।" এমন বলা জায়েয হবে না।

(২.২) ক্রেতা উক্ত শর্তে রাজি হলেও, এমনটা স্পষ্টত জুলুম হিসেবে বিবেচিত হবে।

(২.৩) "ওষুধ ফেরত দিলে টাকা দিব না, সমপরিমাণ অন্য ওষুধ দিতে হবে।" এমনটা করাও অনুচিৎ।

(৩) বর্তমানে ১ডলার মূল্য ১০৯ টাকা। কেউ যদি ১ডলারের বিনিময়ে ২০০ দেয়, তাহলে সেট সুদের আওতায় পড়বে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,080 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...