আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ভাই
নিচের এই দোয়া সম্পর্কে জানতে চাই। নিচের এই দোয়াতে সাত দিন রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে এই রোজা কি যে কোন সাত দিন রাখলে হবে নাকি যখন স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকবে তখন এই রোজা পালন করতে হবে? আর মাষিক শেষ হওয়ার পর রোজা রাখতে হবে?

আল-মুসাওয়িরু' অর্থ : আকৃতিদাতা, আকৃতি গঠনকারী। আমলের ফজিলত>> কোনো দম্পতি (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ে সহবাসের পূর্বে আল্লাহ তাআলার এ গুণবাচক নাম )اَلْمُصَوّرُ( 'আল- মুসাওয়িরু'এর জিকির ৭ বার পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে নেক সন্তান লাভ করবে।>> যে স্ত্রী লোকের সন্তান হয় না (বন্ধ্যা) কিংবা সন্তান গর্ভে নষ্ট হয়ে যায়, সে নারী (বন্ধ্যা) ৭ দিন রোজা রেখে প্রত্যেক দিন ইফতারের সময় আল্লাহ তাআলার গুণবাচক এ নাম )اَلْمُصَوِّرُ( 'আল-মুসাওয়িরু' ২১ বার পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে ঐ পানির দ্বারা ইফতার করে এবং ইফতারের পর এই পবিত্র নামটি ২১ বার পড়ে, আল্লাহ তাআলা তাকে নেক সন্তান দান করবেন। সন্তান গর্ভে আসলে আল্লাহ তাআলা সে সন্তানকে হিফাজত করবেন।>> তাছাড়া যে ব্যক্তি কোনো বিপদের সময় এ পবিত্র গুণবাচক নাম )الْمُصَوِّرُ( 'আল-মুসাওয়িরু' পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির বিপদকে সহজ করে দেবেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল সন্তানহীন দম্পতিকে এবং বিপদগ্রস্ত লোকদেরকে এ পবিত্র নাম )الْمُصَوِّرْ( 'আল-মুসাওয়িরু'-এর আমল করার তাওফিক দান।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


প্রশ্নে উল্লেখিত আমলের কথা কুরআন হাদীসের কোথাও নেই।
,
তাই এটিকে সুন্নাহ বা আবশ্যকীয় মনে করে করলে বিদ'আত হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসুল সাঃ বলেন-

وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)

আরেক হাদীসে আছে-

مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .

‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উক্ত সুন্নাহ বা আবশ্যকীয় মনে করে না করে এমনিতেই বুযুর্গানে দ্বীনের পরীক্ষিত আমল হিসেবে করা যেতে পারে।
সেক্ষেত্রে তাহা বিদ'আত হবেনা।

এই রোযা যেকোনো সাত দিন রাখলেই হবে।
মাসিক শেষ হওয়ার পরেও রাখা যাবে,আগেও রাখা যাবে। কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...