আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
101 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।।

আমি বিয়ে করে প্রায় ১ বছর ৮ মাস হয়েছে।।আমার পরিবার ঋণগ্রস্ত ও অভাবী।আমি একটি কোম্পানিতে জব করি স্যালারি ১০ হাজার টাকা।আমার বিয়ের সময় আমার অবিভাবক ও মেয়ের অবিভাবকের আলোচনা হয় বিয়ের পর ছেলেকে ব্যবসা করার জন্য ৩ লক্ষ্য টাকা প্রদান করা হবে।।তো এখনো সে টাকা দেইনি আর এটা ছিলো একটা প্রতারণা। ( আমার শ্বশুর বাড়ি আর্থিকভাকে অনেকটা গরীব) ইদানীং আমার আব্বার ঋণের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সে আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে কিছু টাকা আমাকে ধার করে এনে দিতে বলে আমিও কয়েকবার আমার শ্বাশুড়ির কাছে টাকা চায় কিন্তু সে আমাকে না বলে যে আমি টাকা কোথা থেকে দিব ( আমার শ্বশুর নেই উনি আমার স্ত্রী ছোট থাকতেই মারা যান আর আমার স্ত্রী তার পরিবারে একাই তার কোন ভাইবোন নেই তাই আমার শ্বাশুড়ি সামান্য কিছু জমি জমা চাষাবাদ করে কোনরকম সংসার চালায়)।।

এই টাকা দিতে না বলায় আমার আব্বা বলে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে। আবার বিয়ের আগে ৩ লাখ দিতে চাইছে এটা আদায়ের জন্য আমার আব্বা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তার কথা যেভাবেই হোক এই টাকা আদায় করে ছাড়বো এবং টাকা না দিলে বউ বাদ দেওয়াবে। আর আমি যদি তার কোথায় সম্মতি না দেয় এবং বউ ও শ্বশুর বাড়ির প্রতি চাপ সৃষ্টি না করি তাহলে আমার সাথে তার যোগাযোগ বন্ধ ও তার বাড়িতে আমার ও আমার স্ত্রীর যাওয়া একেবারেই নিষেধ।।
আলহামদুলিল্লাহ আমি যথেষ্ট দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করি  তাই আমি মনে করি এভাবে টাকা আদায় করা বা তাদের থেকে টাকা নেওয়া ইসলামে বড় ধরনের অপরাদ।।আর আমি আমার বিয়ের পর এ পর্যন্ত শ্বশুরবাড়ি থেকে সুতা পরিমাণ কিছু নেই নি।আর এর জন্য আমার পিতামাতা আমার বউকে অনেক কোথা শোনায় যে এখনো বাপের বাড়ি থেকে কিছুই আনতে পারেনি।
প্রিয় শায়েখ,
(১) এক্ষেত্রে এখন আমি কি করব বুঝতেছি না পিতার আনুগত্য করব না তাদের ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে দূরে কোথায় চলে যাব?

(২) পিতার এ কথা না শোনার কারণে কি আমি তার অবাধ্য সন্তান হবো এবং সে যদি আমায় বদদোয়া দেয় তা কি আল্লাহ কবুল করবেন?
দয়া করে বিষয়টি কোরআন ও হাদিসের আলোকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) এক্ষেত্রে আপনার জন্য পিতার আনুগত্য করা জায়েয হবে না। তাদের ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে দূরে কোথায় চলে যাওয়া আপনার জন্য নাজায়েয হবে না।

(২) পিতার এ কথা না শোনার কারণে আমি তার অবাধ্য সন্তান হবেন না। এবং সে যদি আপনাকে বদ দোয়া দেয়, তাহলে আল্লাহ সেটাকেও কবুল করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...