আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (54 points)
আসসালামু আলাইকুম।  আমি একটা সময় যখন ফাইভ সিক্সে সেভেন এইটে পড়ি তখন খুব খারাপ মানুষ ছিলাম। অত বোধ বুদ্ধিও ছিল না প্লাস অসম্ভব রাগ ছিল। সবার সাথে খারাপ ব্যবহার কর‍তাম।স্পেশালি বাসার কাজের সাহায্যের জন্য যে মেয়েরা থাকত তাদের সাথে অকল্পনীয় সব খারাপবভাবে বকাবাজি করেছি। আম্মার কাছে পরে শুনেছি তারা আমার ব্যবহারে মারাত্নক কষ্ট পেয়ে আম্মার কাছে অনেক কান্নাকাটি করেছে। বড়রা আমাকে নিষেধ করলেও বা বুঝালে তাদের কথায় আমি কর্নপাত করিনি। এর মধ্যে একটা মেয়ে আমাদের বাসা ছেড়ে যায় আমার দুর্ব্যবহার এর কারনে৷ পরে আরেক বাসায় চাকরি নেয়। সেই বাসায় থাকতে ওই মেয়েটা মারাও যায় পরে।
আমি ২০১৫ সালের দিকে দ্বীনের বুঝ পাই। এর পর থেকে আমি আমার অতীতের কুকর্মের জন্য অত্যন্ত অনুতপ্ত৷ লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী হই। কিন্তু বাসায় কাজ করা ওই খাদিমাদের কাছে আমি আর পৌছাতেই পারিনি মাফ চাওয়ার জন্য। তারা কে কোথায় আছে জানিও না। একজন তো মারাই গেসে।
আমি কিভাবে এই জঘন্য দুর্ব্যবহার এর কারনে হওয়া গুনাহের জন্য মাফ পেতে পারি? আমি অত্যন্ত অনুতপ্ত

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যার যার সাথে এরকম ব্যবহার করেছেন, জুলুম করেছেন, প্রত্যেকের কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করতে হবে।

এই দুই কাজ করলে আপনি দুনিয়ার শাস্তি ও আখিরাতের শাস্তি থেকে বাঁচতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। তবে হক নষ্টকারী মাফ চাওয়ার পরও তাঁকে যদি মাফ না করা হয়, তাহলে এর বদলা তাকে হাশরের মাঠে দিতে হবে কি নাসেটা আল্লাহই ভালো জানেন। তবে যিনি মাফ করবেন না, উনাকেও আল্লাহ মাফ করবেন না। এমনটাই হাদীসের ভাষ্য থেকে বুঝা যায়।

যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলে বা তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো সুযোগই যদি না থাকে তাহলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং মাল সম্পদ সম্পর্কীয় হক হলে তা সদকাহ করে দিতে হবে।  যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে তার গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা শর্ত নয়, তবে কেউ করলে তা অবশ্যই উত্তম বলে বিবেচিত হবে। হ্যা, সর্বদা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...