আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (66 points)
আসসালামু আ'লাইকুম

১.ওয়াফিয়া আয়াত নাম রাখা কি ঠিক হবে কোনো মেয়ে বাচ্চার?

২.

মুহাম্মদ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যাইনাব বিনতু আবূ সালামাহ (রাঃ) তাকে প্রশ্ন করেন, তোমার মেয়ের কি নাম রেখেছো? তিনি বললেন, আমি, তার নাম রেখেছি বাররা (পুণ্যবতী)। অত:পর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ধরনের নাম রাখতে বারণ করেছেন। আমার নামও বাররা রাখা হয়েছিল। নবী (সল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “তোমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ দাবি করো না। কেননা আল্লাহই ভাল জানেন, তোমাদের মধ্যে কে পুণ্যবান”। অত:পর তিনি বললেন, আমি এর কি নাম রাখবো? নবী (সল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এর নাম রাখো যাইনাব।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৯৫৩

এই হাদিস দ্বারা " সুন্দর অর্থ " বলতে কি ধরনের  নাম বুঝানো হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
وَافِي ، وَافٍ مث وَافِيَة [وفي]
[ওয়াফী,ওয়াফিয়া] শব্দের অর্থঃ-
পূর্ণাঙ্গ
পূর্ণ
সম্পূর্ণ
যথেষ্ট
পূরণকারী
বিশ্বস্ত

আয়াত ( آيات ) নামের অর্থ হলঃ নিদর্শন,আলামত, প্রমাণ, বাক্য বা সূত্র । 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কোনো মেয়ে শিশুর জন্য ওয়াফিয়া আয়াত নাম রাখা ঠিক হবে।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، سَأَلَتْهُ: مَا سَمَّيْتَ ابْنَتَكَ؟ قَالَ: سَمَّيْتُهَا مُرَّةَ، فَقَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ هَذَا الِاسْمِ، سُمِّيتُ بَرَّةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمْ، اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ فَقَالَ: مَا نُسَمِّيهَا؟ قَالَ: سَمُّوهَا زَيْنَبَ

মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। যাইনাব বিনতু আবূ সালামাহ (রাঃ) তাকে প্রশ্ন করেন, তোমার মেয়ের কি নাম রেখেছো? তিনি বললেন, আমি তার নাম রেখেছি বাররা (পূণ্যবতী)। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরণের নাম রাখতে বারণ করেছেন। আমার নামও বাররা রাখা হয়েছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ‘‘তোমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ দাবি করো না। কেননা আল্লাহই ভালো জানেন, তোমাদের মধ্যে কে পুণ্যবান।’’ অতঃপর তিনি বললেন, আমি এর কি নাম রাখবো? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এর নাম রাখো যাইনাব।
(মুসলিম, বুখারীর আদাবুল মুফরাদ.আবু দাউদ ৪৯৫৩)

যায়নাব (রাঃ) বলেন, আমার নাম ছিল বাররাহ্ (পুণ্যবতীর কাছ থেকে উত্থিত হয়েছে)। অতঃপর আমার নাম রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়নাব রাখলেন। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ১৯-[২১৪২])

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উল্লেখিত হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘তোমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ দাবি করো না। কেননা আল্লাহই ভালো জানেন, তোমাদের মধ্যে কে পুণ্যবান।’’ 

সুতরাং যে নাম গুলির অর্থ এমন,যাহা দ্বারা নিজেকে পরিশুদ্ধ দাবি করা মূলক হয়,সেক্ষেত্রে এমন নাম রাখা হতে এই হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে।

তবে এমন নাম রাখা নাজায়েজ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...