আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম,

প্রশ্ন: আমি আমার প্রোফাইলে ইসলামিক পোস্ট করি যেমন ইসলামিক কথা,লেকচার বা আয়াত,তিলাওয়াত। আমি বারবার মনকে বুঝাই এটা যেনো আমার জন্য সাদকায়ে জারিয়ার অংশ হয় এইজন্য পোস্ট করি। কিন্তু পোস্ট করার পর বারবার মনে হয় দেখি কে কয়টা রিএক্ট দিয়েছে। ইভেন মাঝে মাঝে দেখেও ফেলি। বেশি রিএক্ট আসলে ভালো লাগে আরও নতুন নতুন কিছু পোস্ট করার জন্য উৎসাহ পাই। আবার কেউ যদি রিয়েক্ট না দেয় তাহলে খুব খারাপ লাগে। আর পোস্ট করতে মন চায়না। কিন্তু আমি মনকে বুঝাচ্ছি যে আমি এগুলো রিয়েক্ট পাওয়ার আশায় পোস্ট করছিনা।তবুও খারাপ লাগে। আমার এখন ভয় হচ্ছে,আমার এইরকম মন মানসিকতার কারণে কি রিয়া হয়ে যাচ্ছে? আমি এই বিষয়টা নিয়ে খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি। মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় আর আসবোনা। কিন্তু বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাধ্য হয়েই আসা লাগে। আমি মাঝে মাঝে ফেইক একাউন্ট খুলে আমার যে পোস্টগুলো নন ইসলামিক কিন্তু পছন্দের আমার সেগুলোতে রিয়েক্ট দেই। এতেও কি রিয়া হয়?? এবং আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (676,480 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ 

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে।
বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে রিয়া হবেনা।

আপনি একনিষ্ঠ ভাবে শুধু মাত্র আল্লাহ তায়ালাকে রাজি আর খুশির নিয়তে পোস্ট করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 83 views
0 votes
1 answer 92 views
...