আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

১)কুরআন নশ্বর নাকি অবিনশ্বর?আমরা জানি সব মাখলুক ই ধবংশীল।আল্লাহই শুধুমাত্র স্থায়ী।

২)লাওহে মাহফুজ সম্পর্কে ধারণা দিলে ভালো হয়।বিষয় টা আসলে কী?লাওহে মাহফুজে কুরআন সংরক্ষিত আছে, কোন ভাবে কিভাবে সেটা আমরা জানিনা তবুও সেটাও তো আল্লাহর ই সৃষ্টি অর্থাৎ মাখলুক।তাহলে কি সেগুলোও ধবংসশীল?

৩)কুরআনের মুসহাফ যেটা দেখি সেটা ব্যাপারে কি হবে এটা কি ধবংসশীল?কুরআনের পাতা কি পুড়ে যায়,অনেক সময় অনেক জায়গাতে দেখি কুরআনের এর লেখা গুলো অক্ষত।সেগুলো কি সত্যি?সত্যি হলে,কুরআনের লেখা যে পুড়ে যায় না—এটাকে কি আমরা দলিল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবো?

৪)অন্যান্য আসমানি কিতাব ও কি লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত আছে?

এবং অন্যান্য আসমানি কিতাবগুলোর ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন।কিন্তু বিশেষ ভাবে কুরআনের উক্ত বিষয়গুলো জানতে চাচ্ছিলাম।


মানে উপরের বিষয় গুলোতে আমরা কি ধরনের আকিদা রাখবো?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/21800 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

কুরআন আল্লাহ তায়ালার কালাম।
এটি মাখলুক নয়।
গায়রে মাখলুক।

কুরআন আল্লাহর কালাম বা বাণী। তা আল্লাহর সৃষ্টি জগতের অন্তর্ভুক্ত নয় বরং এটি তার যাত বা স্বত্বার এক অবিচ্ছেদ্য সিফত (বৈশিষ্ট্য)। সিফত বা গুণ-বৈশিষ্ট্য কখনো যাত বা স্বত্বা থেকে আলাদা হয় না। 

আল্লাহ তা’আলা বলেন, “ নিশ্চয় এটা সম্মানিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে”। ( সুরা ওয়াকিয়াঃ৭৭-৭৮ )।

আল্লাহ আরও বলেন, ” আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না। ( সুরা কাহাফ-২৭)

তিনি আরও বলেন: “আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়।” ( সুরা তাওবাঃ ০৬) ।

وإن القرآن کلام اللہ، منہ بدا بلا کیفیة
 قولاً وأنزلہ علی رسولہ وحیاً وصدقہ الموٴمنون علی ذلک حقاً وأیقنوا أنہ کلام اللہ تعالی بالحقیقة لیس بمخلوق ککلام البریة (العقیدة الطحاویة، ص: ۱۲)،

সারমর্মঃ  কুরআন আল্লাহ তায়ালার কালাম    


 والقرآن کلام اللہ تعالی غیر مخلوق (العقائد النسفیة مع شرحھا للتفتازاني، ص: ۴۶) 
সারমর্মঃ  
কুরআন আল্লাহ তায়ালার কালাম। মাখলুক নয়।

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রা. বলেন,
والقرآن كلام الله، ليس بمخلوق، فمن زعم أن القرآن مخلوق فهو جهمي كافر ومن زعم أن القرآن كلام الله عز وجل ووقف ولم يقل مخلوق ولا غير مخلوق: فهو أخبث من الأول،

“কুরআন আল্লাহ কালাম (বাণী); মাখলুক বা সৃষ্ট নয়। যে ব্যক্তি মনে করে যে, কুরআন আল্লাহর মাখলুক (সৃষ্ট) সে জাহমী-কাফির। আর যে ব্যক্তি কুরআন আল্লাহর কালাম বলে চুপ থাকে- মাখলুক না কি মাখলুক নয় সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য করে না-সে ১ম ব্যক্তির থেকেও নিকৃষ্ট।

 ইমাম ইবনে আব্দুল ইয আল হানাফি (তাহাবীয়া গ্রন্থের ভাষ্যকার), বলেন:
فأهل السنة كلهم من أهل المذاهب الأربعة وغيرهم من السلف والخلف متفقون على أن كلام الله غير مخلوق

“চার মাযহাব সহ পূর্বসূরি ও পরবর্তী মনিষীদের সকলেই একমত যে, আল্লাহর কালাম মাখলুক নয়।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কুরআন আল্লাহ তায়ালার কালাম।
কুরআন যাহা লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত আছে,তাহা মাখলুক নয়।
এটা ধ্বংস শীল নয়।

আমাদের হাতে যেই কুরআন আছে,এই লিখিত কপি মাখলুক। এটা ধ্বংস শীল।

(০২)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

লাওহে মাহফুজ ধ্বংস হবেনা।

[وكل شيء مما أوجب الله عليه الفناء يفنى، إلا الجنة والنار، والعرش والكرسي، واللوح والقلم والصور، ليس يفنى من هذا أبداً، ثم يبعث الله الخلق على ما ماتوا عليه يوم القيامة فيحاسبهم بما شاء، فريق في الجنة، وفريق في السعير، ويقول لسائر الخلق ممن لم يخلق للبقاء: كونوا تراباً]
(کتاب شرح السنة للبربهارى- ج٨،ص٣)
অনুবাদ-
জান্নাত,জাহান্নাম,আরশ, কুরসি,লাওহ,কলম,শিংগা, এই সাতটি জিনিষ কখনো ধংস হবে না। এছাড়া আল্লাহর সৃষ্ট সবকিছুই ধংস হবে।তারপর আবার তাদেরকে জীবিত করা হবে।

(০৩)
এই লিখিত কপি মাখলুক।

(০৪)
অন্যান্য আসমানি কিতাব গুলি সংরক্ষিত থাকার ব্যপারে কোনো দলিল পাইনি।
আর সেগুলো সংরক্ষণের ওয়াদাও আল্লাহ তায়ালা করেননি।
সেসব আসমানি কিতাব গুলি বিকৃত,এমনটিও আল্লাহ তায়ালা বলেছেন।

বিস্তারিত জানুনঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...