আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
284 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আমাদের একটি সংগঠন আছে যেখানে সদস্য ১৮ জন, আমাদের একজন বন্ধু  ক্যাশিয়ার হিসেবে দাইত্ত রত আছে,

সে অর্থ সংক্রান্ত বিষয় গুলো কে তদারকি করে থাকেন
এর বিনিময়ে তাকে আমরা কিছু দিচ্ছি না(বেতন বা অন্যান্য বাতসরিক সম্মাননা) ,

তার কাছ থেকে শুনে ছিলাম যে কখনো কখনো  হিসাব মিলাতে ১০০৳,বা ২০০৳ গরমিল হলে সে তার পকেট থেকে দিয়ে হিসাব মিলিয়ে দেয়।

বেশির ভাগ সময় তার হাতে সমিতির টাকা থাকে,

সে যদি সমিতির কমিটি কে না জানিয়ে ফান্ড  থেকে কিছু সংখ্যক টাকা ১০,০০০৳- ১৫,০০০৳ তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করে এবং তা পরে আবার দিয়ে দেয় এতে করে কি তার গুনাহ হচ্ছে,সে কি বাকি ১৭ জন এর হক নষ্ট করছে?

সে কমিটি থেকে  কিছু সুবিধা নিতে চেয়ে আবেদন করেছিলো  যে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যেনো সে টাকা ব্যবহার করতে পারে ৫,০০০৳ এর জন্য কার কাছে থেকে অনুমতির প্রয়োজন যেন না পরে,  তা ৬ মাসের মধ্যে আবার পরিশোধ করে দেয়ার প্রস্তাব রেখেছিলো, যেহেতু সে বেতন নিচ্ছে না তাই সে এই সুবিধা চাচ্ছিল।

কারণ নাকি অনেক সময় হঠাৎ করেই ৫০০৳,  ১০০০৳ টাকা দরকার পরে যায় তখন যেন, কাউকে না বলতে হয় তার জন্য
তাই কমিটি সদস্য রা সিদ্ধান্ত জানিয়েছে যে ৫০০৳ বা যত টাকাই ব্যবহার করুক তাও তাদের জানাতে হবে

এখন সে যদি এই অল্প টাকা ব্যবহার করে কমিটি কে না জানিয়ে  এবং পরে আবার তা পরিশোধ করে দেয় তাহলে কি সে গুনাহগার হবে বা কার হোক নষ্ট করছে?

1 Answer

0 votes
by (664,170 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে কোনো সংগঠনের ক্যাশিয়ার নিকট জমাকৃত টাকা  আমানতের টাকা হিসেবেই বিবেচিত হবে। আর আমানতের টাকায় মালিকের অনুমতি ব্যতিত হস্তক্ষেপ করা নাজায়েয। হ্যা, যদি কেউ মালিকের অনুমতি ব্যতিত খরচ করে ফেলে, তাহলে তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সাধারণত আমানত নষ্ট হয়ে গেলে জামানত আসেনা।তবে বিনা অনুমতিতে খরচ করলে তাতে জামানত আসে।

الفتاوى الهندية - (4/338):
"وأما حكمها فوجوب الحفظ على المودع وصيرورة المال أمانة في يده ووجوب أدائه عند طلب مالكه ، كذا في الشمني .الوديعة لا تودع ولا تعار ولا تؤاجر ولا ترهن ، وإن فعل شيئا منها ضمن ، كذا في البحر الرائق ".

لو أودع رجلا عشرین ذھبا عثمانیا لزم الودیع أن یرد ھذہ الذھبات عینا۔ ( شرح المجلة لسلیم رستم باز، ص: ۱۲۴، رقم المادة : ۲۴۳)

قال الحصکفی: لو خلطہا المودع) بجنسہا أو بغیرہ (بمالہ) أو مال آخر ابن کمال (بغیر إذن) المالک بحیث لا تتمیز) إلا بکلفة کحنطة بشعیر ودراہم جیاد بزیوف مجتبی (ضمنہا) لاستہلاکہ بالخلط۔ ( الدر المختار مع رد المحتار: ۶۶۸/۵، کتاب الایداع، دار الفکر، بیروت )


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...