আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম। চেষ্টা করছি সংক্ষেপে লেখার।তারপরও কিছুটা বড় হওয়ায় আফওয়ান।

স্কুলে পড়া অবস্থায় একটা ছেলের সাথে আমার খুব ফ্রেন্ডশিপ হয়। রিলেশনশিপ/প্রেমের সম্পর্ক  ছিল না।এসএসসি পরীক্ষার পর আমরা দ্বীনের পথে আসি। কলেজে উঠার পর আমরা চ্যাটিং করতাম। সরাসরি দেখা করতাম না। বুঝতাম চ্যাটিং করাটাও হারাম কিন্তু ছাড়তে পারছিলাম না। একপর্যায়ে সে খুব ইমোশনাল হয়ে আমাকে বলেছিল যে আমরা আর কথা বা চ্যাটিং করবো না ও কোনো যোগাযোগ রাখবো না। আমরা ইন শা আল্লাহ একদিন বিয়ে করবো। আমিও খুব ইমোশাল হয়েছিলাম এবং সে ধার্মিক হওয়ায় তাকে ওয়াদা করেছিলাম যে, আমার ফ্যামিলি যদি মেনে নেয় ইন শা আল্লাহ তাই হবে। সেও আমাকে ওয়াদা করেছে।সে স্টাডি শেষ করে জব করবে তারপর বিয়ে করবে এমনটা বলেছিল। প্রায় ১০ বছরের মতো সময় লাগবে এটা বলেছিল।সমাজে মেয়েদেরকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়া হয়।সে আমাকে বার বার বলেছিল এত বছর তার জন্য অপেক্ষা করতে পারবো কিনা। এটা তিন বছর আগের ঘটনা।
তখন আমার জ্ঞান অনেক কম ছিল। বেশি বয়সে বিয়ে করাটা ইসলামী শরীয়তে উচিত না এবং সমাজে মেয়েদেরকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়া হয় এটাও বুঝতাম না।
আমার ফ্যামিলির ইচ্ছা ছিল আমাকে মেডিকেলে পড়াবে। কিন্তু চান্স হয়নি। ভার্সিটিতেও এডমিট হয়নি।পর্দা  রক্ষার জন্য মহিলা কলেজে অনার্সে পড়ছি। মেডিকেল/ভার্সিটিতে পড়লে নাকি আরো দেরিতে বিয়ে দিত।

এখন আমি ও সে অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি। আমি ক্লাস অনুযায়ী পড়াশুনা পিছিয়ে গিয়েছি। আমার বয়স ২৩ বছর ৬ দিন।আমার ধারণা হয়তো আমার বয়স তার থেকে ১/২ বছর বেশি হতে পারে। তাই সমাজ আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য যেভাবে বলাবলি করছে ছেলে হওয়ায়  তার ক্ষেত্রে হয়তো এমনটা নয়।

আমার বাবার অনেক লাখ টাকা ঋণ আছে এবং তিনি এখন প্রবাসী। মেয়েদেরকে বিয়ে দেওয়ার সময় সমাজের মানুষ আগে নতুন বাড়ি করে কিন্তু আমাদের তা এখন  করতে পারছে না।করতে আরো সময় লাগবে । লোকজন আম্মুকে বলছে ভাড়া বাসায় থাকা অবস্থাতেই ভালো ছেলে পেলে বিয়ে দিতে। আব্বুকে বিয়ে বিষয়ে কিছু বলতে শুনি নি। আম্মু চাচ্ছেন যারা প্রস্তাব দিচ্ছে এদের মধ্যে কাওকে ভালো লাগলে দিয়ে দিবে।ফ্যামিলি পাত্র খোঁজাখুঁজি এখনো করছে না।

প্রস্তাব যা আসছে পছন্দে মিলছে না।যারা  প্রস্তাব দিচ্ছে  আমার ফ্যামিলির পছন্দ হলে দিয়ে দিবে। ফ্যামিলির মাঝে দ্বীনের বুঝ অনেকটাই কম।
এই অবস্থাতেই যে দ্বীনদার ছেলে খুঁজবে তা বুঝে না। বিয়ে রিলেটেড হাদিস শুনাতেও পারি না লজ্জায়। তবে আমি দৃঢ় যে তাক্বওয়াবান/ মুমিন ছেলে ছাড়া কাওকে বিয়ে করবো না।

এমনও হতে পারে অল্প সময়ের মধ্যেই বিয়ে হয়ে যেতে পারে।আবার এমনও হতে পারে বছরের পর বছর হয়তো চলে যাবে কিন্তু বিয়ে হবে না। বলা তো যায় না। আল্লাহু আ'লাম।

১.আমি যে তাকে ওয়াদা করেছিলাম।
ওয়াদাটা কি জায়েজ পদ্ধতি ছিল?

সে খুব ধার্মিক ছিল। জানি না এখন কি অবস্থা তার! এজন্য পার্সোনালি আমার তাকে পছন্দ।আমি জানি না সে এখনো আমাকে চায় কিনা। আমি তাকে আমার বিষয়টা মেসেজিং এ জানাতে চাই।

২. সে গায়রে মাহরাম হওয়ায় এই বিষয়ে মেসেজিং এ বললে কি সেটা জায়েজ হবে?

মেসেজ করতেও একটা সমস্যা হলো। সে ও তার বন্ধু ভালো স্টুডেন্ট ও ধার্মিক হওয়ায় আম্মু প্রায়ই তাদের স্টাডি বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে যদিও তিনি জানেন আমি গায়রে মাহরামদের সাথে কথা বলি না।আমি বলি যে, আমি জানি না। আবার স্কুল পড়ুয়া ফ্রেন্ডদের সাথে কখনো কথা হলে তারাও জিজ্ঞেস করে।
মেসেজ করার পর যদি আম্মু আবার জিজ্ঞেস করে যে তাদের সাথে কথা হয়েছে কিনা।আমি যদি বলি হয়েছে তাহলে তো জানতে চাইবে কোন বিষয়ে হয়েছে। আমি তো এটা বলতে পারবো না। আবার মিথ্যাও আমি বলি না।
আমার বাবা প্রবাসী।যা কিছু দায়িত্ব সব আম্মু পালন করেন।আমি কোনোভাবে আম্মুকে পাত্র হিসাবে তার কথা জানাতে পারবো না। এমনকি বিয়ে রিলেটেড কোনো কথাই আম্মুকে তেমন বলতে পারি না।আম্মু আমার সাথে ফ্রেন্ডলি না আর বদমেজাজি কিন্তু তিনি বাহিরের মানুষের কাছে রসিক মানুষ। শুনেছি সে নাকি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ইন্জিনিয়ারিং এ পড়ছে আবার বেশ ধার্মিক। পাত্র হিসাবে আম্মু চয়েজ করতে পারে।কিন্তু আমি আমার পক্ষ থেকে আমার আম্মুকে কিছু বলতে পারবো না।অনেক কারণ আছে বললে লিখা বড় হয়ে যাবে।
যা বলার সে তার পক্ষ থেকে করতে হবে।

৩.কিন্তু আমি তাকে এসব বিষয় জানাবো কিভাবে?? জানালে ফ্রেন্ডরা স্পেশালি আম্মু জিজ্ঞেস করলে কি বলবো?

বিয়ে রিলেটেড আরো প্রশ্ন আছে।পরবর্তীতে জিজ্ঞেস করবো ইন শা আল্লাহ। <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_231022_073932_035.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/6260/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান হলো কোন গোনাহের কাজের প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূর্ণ করা জায়েজ নয়। তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহ পূর্ব প্রেম ভালোবাসায় কৃত কোনো ওয়াদা পালন করাই জরুরি নয়।  শরীয়ত বলে যে গোনাহের কর্মের কোন প্রতিশ্রুতিই পূর্ণ করা আবশ্যক নয়।
এমন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে কোনো গুনাহ হবেনা। 

وَلَا تَجْعَلُوا اللَّهَ عُرْضَةً لِّأَيْمَانِكُمْ أَن تَبَرُّوا وَتَتَّقُوا وَتُصْلِحُوا بَيْنَ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ [٢:٢٢٤

আর নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিও না মানুষের সাথে কোন আচার আচরণ থেকে পরহেযগারী থেকে এবং মানুষের মাঝে মীমাংসা করে দেয়া থেকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ সবকিছুই শুনেন ও জানেন। {সূরা বাকারা-২২৪}

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم– « مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِ الَّذِى هُوَ خَيْرٌ وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন কিছুর কসম খায়, তারপর এর বিপরীত কাজে কল্যাণ দেখে, তাহলে সে যেন উক্ত কল্যাণধর্মী কাজটি করে এবং স্বীয় কসমের কাফফারা প্রদান করে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৩৬২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৩৫২,৪৩৪৭, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-৫৯৩১, মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং-১৮২৫১, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-৫১৬, মুসনাদে ইবনুফ জিদ, হাদীস নং-১৩৬, মুসনাদে তায়ারিসী, হাদীস নং-১৩৭০, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১৪৫৭, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৩৪৫, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৭২৭, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৮৬৩৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২১০৮, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬২৪৭}
,
আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
আপনি যে তাকে ওয়াদা করেছিলেন,সেই ওয়াদা জায়েজ পদ্ধতি ছিলোনা।

এই ওয়াদা পূরন করব আবশ্যক নয় 
এই ওয়াদা পূরন না করলে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা। আপনি নিশ্চিত থাকুন।

(২.৩)
এভাবে তার সাথে মেসেজিং করা শরীয়ত অনুমোদন দেয়না।

আপনি নিজের মাহরাম কোনো ছেলেকে তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়ে তার মাধ্যমে কথা গুলি বলতে পারেন।
,
তার পক্ষ থেকে আপনার পরিবারে বিবাহের প্রস্তাব দেয়ার কথা আপনার কোনো মাহরামকে দিয়ে বলতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
আমার এমন কোনো মাহরাম নেই, শায়খ।
আমি এই প্রশ্ন লিংকটা তাকে দিয়ে দিবো।আর কিছুই লিখবো না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...