আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।

বাসার সামনে একটা বড় বিড়াল তার দুটো বাচ্চা নিয়ে থাকে। এর মাঝে একটা ছোট বিড়ালের বাচ্চা, দরজা খোলা থাকার সময় বোধহয় ঘরে ঢুকে পড়েছিল। আমি তো না দেখে দরজা লাগিয়ে রাখি। অনেকক্ষণ পরে এসে দেখি ঘোরাফেরা করছে, আমাকে দেখে খাটের নিচে লুকিয়েছে। এরপর কোনোভাবেই বের হচ্ছে না। দরজা খুলে রাখলাম অনেকক্ষণ, বের হয় না, কাপড়চোপড়ের উপর গিয়ে শুয়ে থাকে, লুকিয়ে থাকে। এখন আমি বাসায় একা, বাসার অন্যরা দেখলে হয়তো মেরে বের করে দিবে। তাই আমি চাচ্ছিলাম অন্য কেউ না জানুক। পরে শুধু ভয় দেখানোর জন্য খাটের নিচে ঝাড়ু দেখালাম, আলমারির নিচে গেল, ওখানেও ভয় দেখাচ্ছিলাম যেন বের হয় দরজা দিয়ে। পরে কোনোমতে বের হলো। ছোট বাচ্চা, এত ভয় পেয়েছে যে বের হওয়ার সময় কাঁপছিল আর পা পিছলে যাচ্ছিল। বের হয়ে বারান্দায় গিয়েই এত জোরে জোরে কাঁদছে, চিৎকার করছে, আমার খুব কষ্ট হলো ডাক শুনে ও এমনিই মানুষ ভয় পেত, আজ আরো ভয় পেল কিনা। আমার কি গুনাহ হলো? আমি কি একটা নিষ্পাপ অবুঝ জীবকে কষ্ট দিয়ে ফেললাম?
আমি কি ভুল করেছি??
যদি ভুল করে থাকি, তাহলে দুটো প্রশ্ন,

১) আমার কী করা উচিত ছিল? ভবিষ্যতে এমন হলে কী করব?

২) ভুল হয়ে গেলে এটার কাফফারা কিভাবে দিব? আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবেন?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/42375/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

পশু-পাখির প্রতি নম্রতা প্রদর্শন ইবাদতের পর্যায়ভুক্ত। পশু-পাখিকে কষ্ট দেয়া গুনাহের কাজ।

,

 রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন : “আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বিষয়ে তোমাদের ওপর ‘ইহসান’ অত্যাবশ্যক করেছেন। অতএব তোমরা যখন হত্যা করবে, দয়ার্দ্রতার সাথে হত্যা করবে; আর যখন যবেহ করবে তখন দয়ার সাথে যবেহ করবে। তোমাদের সবাই যেন ছুরি ধারালো করে নেয় এবং তার যবেহকৃত জন্তুকে কষ্টে না ফেলে” (সহিহ মুসলিম : ১৯৫৫)।

 

পশু-পাখির সাথে যথাসম্ভব দয়াশীল আচরণ করতে হবে। এদের সঙ্গে যথেচ্ছ ব্যবহার করা যাবে না। পশু-পাখির অঙ্গহানি করা নিষিদ্ধ।

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা: থেকে বর্ণিত, ‘রাসূলুল্লাহ সা: ওই ব্যক্তিকে অভিশাপ দিয়েছেন, যে প্রাণীদের অঙ্গচ্ছেদ করে’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫৫১৫)।

 

হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।  (সহীহ বুখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)

 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

 

উপরোক্ত ঘটনার কারণে আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে মাফ চাইবেন এবং তাওবা করবেন। আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা আপনাকে মাফ করে দিবেন। আর পরবর্তীতে কোনো বিড়াল এমন ভাবে ঘরে প্রবেশ করলে তাকে কষ্ট না দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...