আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আমার হায়েজ প্রথম ২দিন অনবরত থাকার পর তৃতীয় দিন বন্ধ থাকে আবার চতুর্থ দিন একটু রক্ত দেখি আবার বন্ধ হয়ে পঞ্চম দিন একটু রক্ত দেখি পুরো দিনে একবার...আর ব্লাড যায় না,, একদম সপ্তম বা অষ্টম দিনে সাদা স্রাব যায়

এইরকম আমার ১বসর যাবৎ হায়েজ হচ্ছে,,

এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি কখন পাক হবো আর নামাজ শুরু করবো?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১৪) মাসআলাঃ 
যদি কোন মেয়েলোক এক দিন বা দুই দিন ঋতুস্রাব দেখিয়া পনের দিন পাক থাকে এবং আবার এক দিন বা দুই দিন রক্ত দেখে, তবে সে যে পনের দিন পাক রহিয়াছে তাহা তো পবিত্রতারই সময়, আর এদিক-ওদিক যে কয়দিন রক্ত দেখিয়াছে, উহাও হায়েয নহে বরং ইস্তেহাযা।

(১৫) মাসআলাঃ 
এক দিন, দুই দিন বা কয়েক দিন ঋতুস্রাব দেখা দিয়া যদি কয়েক দিন—পাঁচ দিন, সাত দিন বা দশ দিন, পনের দিনের কম রক্ত বন্ধ থাকিয়া আবার রক্ত দেখা দেয়, তবে মাঝের রক্তের বন্ধের দিনগুলিকে পাক ধরা যাইবে না, সে দিনগুলিকেও স্রাবেরই দিন ধরিতে হইবে। অতএব, যে কয় দিন হায়েযের নিয়ম ছিল, সেই কয় দিনকে হায়েয ধরিয়া বাকী দিনগুলিকে ইস্তেহাযা ধরিতে হইবে। 
যেমন, একটি মেয়েলোকের নিয়ম ছিল, চাদের পহেলা, দোসরা এবং তিসরা এই তিন দিন তাহার হায়েয আসিত। তারপর একমাসে এমন হইল যে, পহেলা তারিখে স্রাব দেখা দিয়া চৌদ্দ দিন রক্ত বন্ধ থাকিল, ষোল তারিখে আবার রক্ত দেখা দিল, এইরূপ অবস্থা হইলে মনে করিতে হইবে যেন, ষোল দিনই রক্তস্রাব অনবরত জারী রহিয়াছে। এই ষোল দিনের মধ্য হইতে প্রথম তিন দিনকে হায়েয ধরিয়া বাকী তের দিনকে ইস্তেহাযা ধরিতে হইবে। (অতএব, প্রথম তারিখে রক্ত দেখা দিলে নামায পড়া বন্ধ করিতে হইবে। পরে যখন দুই এক দিন পর রক্ত বন্ধ হইল, তখন গোছল করিয়া নামায পড়া আরম্ভ করিতে হইবে এবং ঐ এক দুই দিনের নামায কাযা পড়িতে হইবে। পরে যখন আবার ষোল তারিখে রক্ত দেখা দিল এবং সাব্যস্ত হইয়া গেল যে, প্রথমের তিন দিন হায়েয ছিল, পরের তের দিন ইস্তেহাযা ছিল, তখন জানা গেল যে, প্রথম তিন দিন নামায মা'ফ ছিল, সেই কয় দিনের নামাযের কাযা পড়ার দরকার নাই। তার পরের নামাযগুলি যদি গোছল করিয়া পড়িয়া থাকে, তবে নামায হইয়া গিয়াছে। আর যদি গোছল না করিয়া থাকে, তবে সেই কয় দিনের নামায কাযা পড়িতে হইবে। পরে যখন ষোল তারিখে রক্ত দেখা দিয়াছে, তখন রক্ত দেখা সত্ত্বেও গোছল করিয়া নামায পড়িতে হইবে। কারণ উহা হায়েযের রক্ত নহে—ইস্তেহাযার রক্ত, এই মেয়েলোকটির যদি ৪/৫/৬ তারিখে (এই তিন দিন) হায়েয আসার নিয়ম ছিল, তবে ৪/৫/৬ এই তিন দিন তাহার হায়েযের মধ্যে গণ্য হইবে। (যদিও এই তিন দিন রক্ত না দেখা গিয়া থাকে) আর প্রথম তিন দিন এবং পরে ১০ দিন ইস্তেহাযা ধরিবে। আর যদি কোনো নিয়মই না থাকিয়া থাকে বরং প্রথম বারেই এইরূপ হইয়া থাকে, তবে প্রথম দশ দিনকে হায়েয এবং পরের ছয় দিনকে ইস্তেহাযা ধরা হইবে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...